আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিনা ফার্নানদেজ ডে ক্রিচনার তার এক বিখ্যাত টুইটে সম্প্রতি সরকারি ভাবে গণ প্রজাতন্ত্র চীন ভ্রমণের সময় চীনা নাগরিকদের স্প্যানিশ উচ্চারন নিয়ে বিদ্রূপ করেন, যা সারা বিশ্বের প্রচার মাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিব্রত করে।
এক সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে রাষ্ট্রপতি যার সাথে আর্জেন্টিনার একদল ব্যবসায়ী তার সফর সঙ্গী হয়েছিল, আর তাদের উদ্দেশ্য ছিল চীনের সাথে কৌশলগত এক অর্থনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা:
“La alianza estratégica y el intercambio comercial con China tendrán una fuerte participación del empresariado argentino”, afirmó la presidenta Cristina Fernández, ante empresarios chinos y argentinos, al cerrar las deliberaciones del Foro Empresarial Argentino-Chino.
La presidenta realizó su discurso este mediodía (la madrugada argentina), ante más de 100 empresarios argentinos y 400 chinos, al cerrar las deliberaciones del Foro Empresarial Argentino-Chino en el hotel Shangri-La, en Beijing, China.
আর্জেন্টিনা-চীনা ব্যবসায়ী সমিতির ফোরাম আয়োজিত উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এক রুদ্ধদ্বার আলোচনা সভায় প্রদত্ত বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিনা ফার্নানদেজ বলেন, “ চীন হচ্ছে আমাদের কৌশলগত সহযোগী এবং চীনের সাথে বাণিজ্য করার মানে হচ্ছে ব্যবসায়িক বিশ্বে এক জোরালো অংশগ্রহণ
রাষ্ট্রপতি আজ বিকেলে (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) চীনের বেজিং-এ অবস্থিত সাংগ্রি লা হোটেলে আর্জেন্টিনা- চীন ফোরাম-এ তার এই ভাষণ প্রদান করেন(আর্জেন্টিনার সময় অনুসারে সকাল বেলা), যেখানে আর্জেন্টিনার ১০০ জন এবং চীনের ৪০০ জন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিল।
একই দিনে রাষ্ট্রপতি চীনা নাগরিকদের উচ্চারণ নিয়ে মজা করে তার টুইটার একাউন্টে এক টুইট করেন, যেটিতে তিনি আরোজ (স্পানিশ ভাষায় ভাত) এবং পেট্রোলেও (পেট্রোলিয়াম) শব্দ থেকে ‘আর’ অক্ষরটি সরিয়ে তার বদলে সেখানে ‘এল’ অক্ষরটি বসিয়ে লেখাটি পোস্ট করেন:
Más de 1.000 asistentes al evento… ¿Serán todos de “La Cámpola” y vinieron sólo por el aloz y el petlóleo? …
— Cristina Kirchner (@CFKArgentina) febrero 4, 2015
প্রায় ১০০০ নাগরিক এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন… সকলে কি “ক্যাম্পালা” থেকে এসেছিল, আর তারা কেবল “লাইস” (ভাত) এবং “ পেটলোলিয়ামের” (জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের) জন্য এসেছিল?…
এই টুইটে একই সাথে ক্রিচনার “ক্যাম্পোরা”- শব্দটিতে তে আর সরিয়ে এল বসিয়ে দিয়েছেন “ক্যাম্পোরা” হচ্ছে, তার এবং এর আগে দেশটিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তার স্বামী নেস্টর ক্রিচনারের সরকারের সমর্থক তরুণদের এক সংগঠন। .
তবে এর মাত্র এক মিনিট পরে, তিনি টুইট করেন:
Sorry. ¿Sabes qué? Es que es tanto el exceso del ridículo y el absurdo, que sólo se digiere con humor. Sino son muy, pero muy tóxicos.
— Cristina Kirchner (@CFKArgentina) febrero 4, 2015
দুঃখিত। আপনি জানেন যে? কখনো কখনো বাড়াবাড়ি রকমের বিদ্রূপ এবং অদ্ভুত বিষয় ঘটে, যা কেবল হাস্যরসের মাধ্যমে হজম করা সম্ভব। অন্যথায় এটা আসলে খুব খুব বিষাক্ত।
আর্জেন্টিনা, যেখানে নাগরিকরা এখনো অ্যাটর্নি জেনারেল আলবার্টো নিসম্যানের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে আলাপ করছে, যার আর মাত্র ঘন্টা পরে ক্রিচনার সরকারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করার কথা ছিল, সে ক্রিচনার এবং তার সরকারের অন্যদের দূর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এনেছিল, এই অবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধানের করা এই টুইট এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
ক্রিচনারের কাছে সাংবাদিক জর্জ লান্টানার বার্তাটা ছিল এ রকম- “ক্রুক” (প্রতারক), “রোবার” (চোর), গুড ফর নাথিং (অকর্মার ঢেকি)-করাপ্ট (দুর্নীতিগ্রস্ত)-আর এ ক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রপতি মত একই আচরণ করেছেন-সবগুলোর শব্দ থেকে ‘আর’ অক্ষর সরিয়ে তাতে ‘এল’ অক্ষর বসিয়ে দিয়েছেন :
Chola. Ladlona. Atolanta. Colupta. pic.twitter.com/k4XBdVn7Ku
— Jorge Lanata PPT (@Lanataenel13) febrero 4, 2015
“ক্লুক”, “লোবাল”, গুড ফল নাথিং, কলাপ্ট
অন্যেরা টুইট করেছে:
@CFKArgentina ignorante, estúpida y racista, una joya vamos. Y esta es la representante de un país, pobrecitos argentinos
— Jose Fernandez (@fernanjos) febrero 4, 2015
উপেক্ষিত, নির্বোধ এবং বর্ণবাদী, এক রত্ন, কোন অসুবিধা নাই। তবে সে কিনা একটা রাষ্ট্রের প্রতিনিধি, অসহায় আর্জেন্টিনার নাগরিকেরা।
@CFKArgentina En China el Twitter esta prohibido asi que me parece de mal gusto hablar mal de la gente que la fué a ver usando un medio que
— Natalia Colman E. (@nataliacolman) febrero 4, 2015
চীনে, টুইটারের ব্যবহার নিষিদ্ধ, কাজে আমি মনে করি যারা দেখতে চায় ক্রিচনার এই মাধ্যম ব্যবহার করছে, তাদের কারো সম্বন্ধে বাজে কিছু বলা মোটেও রুচিকর নয়।
আর্জেন্টিনার সাংবাদিক আন্দ্রেস ওপেনহাইমার সন্দিহান যে চীনারা এই বার্তা পছন্দ করবে।
তবে শীঘ্রই তার সমর্থনে বার্তা আসতে শুরু করে:
@CFKArgentina cuanta razon. A gente tan pesimista y despreciale hay q digerirla con mucha alegria. Admiro tu fuerza!!! Vamos presidenta!!
— Eri (@EriAndenmatten) febrero 4, 2015
ঠিক আছে! হতাশাবাদী এবং নীচ মানসিকতার মানুষের একে অনেক আনন্দের সঙ্গে হজম করেছে। আমি আপনার শক্তির তারিফ করছি!!! রাষ্ট্রপতি, আপনি আপনার এই ধরনের রসিকতা চালিয়ে যান
@bblaiotta @CFKArgentina Vamos Cris ojala gobiernes varios años mas!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
— Sergio (@sernic192) febrero 4, 2015
এগিয়ে যাও ক্রিস, আশা করি তুমি আরো আরো অনেক বছর আমাদের শাসন করবে
!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
“যেহেতু এটা চীনাদের নিয়ে বলা, তাই চীনারাও এমন করে কথা বলে” নামক শিরোনামে ব্লগ রিলেটো ডেল প্রেজেন্টো (বর্তমানের এক একাউন্ট) এই বিতর্কিত টুইটের পর রাষ্ট্রপতির খোশ মেজাজের বিষয়টি তুলে ধরেছে:
Del mismo modo que la rebeldía, el humor desde el Poder no es humor. Es gastada, tomada de pelo, bullying, falta de respeto; es cualquier cosa, menos humor. No causa gracia. Y esto es así porque el humor es rebelde. Podrá ser anárquico, negro, sucio, inocente, exagerado, simple o absurdo, pero es la forma de sobrellevar las desgracias entre las cuales se cuenta al Poder mismo.
যেমনটা বিদ্রোহীদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে, ক্ষমতায় থেকে রসিকতা করা আসলে রসিকতা নয়। এটা কাউকে বিরক্ত করে, কাউকে জ্বালাতন করে, এটা এক ধরনের উৎপীড়ন। এটা অশ্রদ্ধা; এটা কোন ধরনের রসিকতা নয়, এটা মজাদার কিছু নয়। আর এর কারণ হচ্ছে হাস্যরস হল এক ধরনের বিদ্রোহ। এটা হতে পারে নৈরাজ্যজনক, কৃষ্ণকায়, নোংরা, নিষ্পাপ, বাড়াবাড়ি, সরল অথবা অদ্ভুত, কিন্তু কেবল এর মাধ্যমে স্বয়ং ক্ষমতার মাঝে থাকার বেদনা সহ্য করা সম্ভব ।
টুইটার নিষিদ্ধ চীনে মাইক্রোব্লগ সেবা প্রদানকারী সাইট ওয়েবো অত্যন্ত জনপ্রিয়, সেখানে যথারীতি আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতির করা টুইটার নিয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করা হয় :
阿根廷总统访华期间在推特上对我们老大开了一个极具冒犯性的玩笑。这女人活腻了吗?