ড্রোন দিয়ে বিক্ষোভের ভিডিও ধারণ করার উপর ম্যাসিডোনিয়ার সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে

Image tweeted by @Nav_urov. Photo from a drone flying above the massive December 10 student protests.

ছবি টুইট করেছে @নাভ_উরভ। ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশাল এক ছাত্র বিক্ষোভের উপর উড়তে থাকা এক ড্রোন থেকে নেওয়া ছবি।

সরকারি ভবন, গণ সমাবেশ এবং বিক্ষোভের ৫০০ মিটার উপর পর্যন্ত ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নতুন এক আইন জারি করেছে।

সরকারি ভবন, গণ সমাবেশ এবং বিক্ষোভের ৫০০ মিটার উপর পর্যন্ত ড্রোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে নতুন এক আইন তৈরী করেছে।

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের আকার প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ড্রোন দ্বারা ধারণকৃত ভিডিও ও ছবি দারুণ কার্যকারী হয়েছিল, যে বিক্ষোভের সংবাদ খুব স্বল্প পরিমাণে সংবাদপত্রে উঠে এসেছে, কিন্তু এটিকে ম্যাসিডোনিয়ার ২৫ বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ছাত্র বিক্ষোভ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে স্নাতক শ্রেণীর ছাত্রদের পরীক্ষা গ্রহণের সরকারি পরিকল্পনাকে না বলতে হাজার হাজার ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাস্তায় নেমে আসে।

দৈনিক ডেনেভিনিক নামক সরকারপন্থী সংবাদপত্রে নতুন এই আইন সম্বন্ধে এক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা ৩১ জানুয়ারি তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত অনলাইনে সরকার সম্পৃক্ত কোন ওয়েবসাইটে তা পোস্ট করা হয়নি।

„Не може да се вршат операции на летала без екипаж под 150 метри во секоја населено област, под 50 метри растојание од секое лице, брод, возило или инфраструктура…“, стои во уредбата.

Притоа се забранува дронот да се насочува кон лица, животни или собир на луѓе.

„Не може да лета летало без екипаж во радиус од 500 метри од објектите од значење за безбедноста, објектите на државните органи и критични народни маси, како што се објектите на Министерството за одбрана и АРМ, објектите на МВР, Владата, Собранието, резиденцијата на претседателот на државата, дипломатските претставништва, високоризични натпревари и голем собир на луѓе (протести)“, стои во уредбата.

এই আইনে বলা হয়েছে, “বসতিপূর্ণ এলাকায় চালকবিহীন কোন বিমানকে-এর ১৫০ মিটারের মধ্যে উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একই সাথে কোন ব্যক্তি, জাহাজ, যান অথবা কোন স্থাপনার ৫০ মিটার দূরত্বের মাঝে একে পরিচালনা করা যাবে না”।

একই সাথে এই আইনে ব্যক্তি, প্রাণী অথবা কোন জন সমাবেশের প্রতি ড্রোনের লক্ষ্য নির্ধারন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই আইন অনুসারে: নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ভবন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার ভবন এবং সমালোচনার জন্য সমবেত জনতার ৫০০ মিটার ব্যাসের মধ্যে মানববিহীন বিমান উড়ানো যাবে না, যেমন ম্যাসেডোনিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী ভবন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভবন, সরকারি দপ্তর, সংসদ, রাষ্ট্রপতির বাসভবন, দূতাবাস ভবন সমূহ, যে সমস্ত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রচণ্ড ঝুঁকি রয়েছে এবং ব্যাপক গণ সমাবেশ (বিক্ষোভ)”।

১০ ডিসেম্বর ছাত্র বিক্ষোভের সংগঠকদের পূর্নাঙ্গ অধিবেশনে দাবী করা হয় যে উক্ত ড্রোনের ক্যামেরা পরিচালনা করা ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছিল। তবে এই বিষয়ে কোন সরকারি তথ্য নেই যে তাকে কতক্ষণ এবং কোন অভিযোগে আটক করা হয়।

যে কিশোরটি ড্রোন পরিচালনা করেছিল তাকে কারপশ থানার পুলিশ আটক করে। ক্রমশ চাপ বাড়ছে কিন্তু তারা আমাদের থামাতে পারবে না। এটা কেবল শুরু!

দুই বছর আগে ২০ লক্ষ নাগরিকের এই দেশে হাজার হাজার ম্যাসেডোনিয়ান দেশটির দারিদ্র্য ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। এরপর থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ-যার মাধ্যে রয়েছে ছাত্র, শিক্ষক, নগরের বাসিন্দা এবং শ্রমিক। তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনে রাস্তায় নেমে আসে, উন্নত জীবন যাপন এবং অধিকার আদায় ছিল যাদের দাবী। সরকার সাংবাদিকদের ভয় দেখানো সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে যাতে প্রচার মাধ্যমে এই সকল বিক্ষোভের সংবাদ প্রকাশিত না হয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .