রাইজিং ভয়েসেস-এর আমাজোনিয়া অনুদান প্রকল্পের তাজা সংবাদ।
৫-৬ ডিসেম্বর-২০১৪-এ সান রোরজা, বলিভিয়ায়, অংশগ্রহণকারী ও রাইজিং ভয়েসেস-এর সমন্বয়ে, এবং বলিভীয় গবেষণা ও সামগ্রিক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (এর স্প্যানিশ নামের আদ্যক্ষর দিয়ে যাকে সিবিডিসি নামে অভিহিত করা হয়) সহযোগিতায়, প্রথম তিসিমানে লিঙ্গুয়িস্টিক ইউনিভার্স প্রকল্প অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মশালার লক্ষ্য ছিল কম্পিউটার এবং স্যোশাল মিডিয়ার বিস্তারিত ব্যবহারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু করা, যা এউ প্রকল্পের উন্নয়নে অনেক বেশী ব্যবহার হবে। এই কর্মশালা থেকে যে দক্ষতা অর্জন করা হবে তা যোগাযোগের কাজে এবং সংগৃহীত তিসিমানে ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পৃক্ত তথ্য তুলে ধরায় সাহায্য করা হবে।
প্রথম দিনের কর্মশালায়, নিম্নলিখিত সূচি অর্ন্তভুক্ত ছিল:
- প্রকল্প উপস্থাপন।
- তিসিমানে ভাষাকে পুনর্জীবিত করার গুরুত্ব এবং ইন্টারনেট এই বিষয়ে যে সুবিধা প্রদান করে তা নিয়ে আলোচনা।
- আদিবাসী ভাষার পুনরুজ্জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত অন্য ল্যাটিন আমেরিকার প্রকল্পের উপস্থাপন।
- ওয়েবে তিসিমানে ভাষা ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা এবং কর্মকৌশল।
- ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে প্রারম্ভিক কর্মশালায় হাতে কলমে শিক্ষা।
- টুইটার, ফেসবুক, ব্লগ, অডিও এবং ভিডিও-র জন্যঃ ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন কর্মী দল তৈরী করা।
দ্বিতীয় দিন:
- পূর্ব পাঠের পর্যালোচনা।
- যৌথভাবে ব্লগ তৈরী করা।
- অনুশীলন: কন্টেন্ট তৈরী।
- ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতি।
এমন কি যদিও স্যান্ডি রিচির করা মূল প্রস্তাবনায়, বিষয়টি আরো অনেক বিস্তারিত ভাবে আনা হয়েছিল ছিল, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে অংশগ্রহণকারী এবং সময় স্বল্পতার কারণে তা সংক্ষিপ্ত করে আনা হয়।
এই প্রকল্পের উন্নয়নে, রাইজিং ভয়েসেস-এর ডিরেক্টর এডি আভিলা, সিবিডিসি থেকে থমাস হুয়ানকা এই কর্মশালায় যোগ দেন। এডি আভিলা ছিলেন সোশাল মিডিয়া কর্মশালার ফ্যাসিলেটর এবং জনাব হুয়ানকা, সমন্বয়কারী ও কর্মশালার ফ্যাসিলেটর হিসেবে কাজ করেন।
সিবিডিসির দপ্তরে এই কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয় এবং তিসিমানে দলের নিম্নোক্ত সদস্যরা এতে অংশ গ্রহণ করে:
- তিসিমানে মহা পরিষদের দুজন সদস্য।
- তিসিমানে শিক্ষা পরিষদের দুজন সদস্য।
- তিসিমানে লিঙ্গুয়িস্টিক ইউনিভার্সাল প্রকল্পের দুজন সদস্য।
- তিনজন দ্বিভাষিক শিক্ষক।
এই কর্মশালায়, অংশগ্রহণকারীদের সামনে স্যোশাল মিডিয়ার টুলস সমূহের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, যা তাদের অন্য কোন ব্যক্তি, আত্মীয় এবং পরিবারে সাথে যোগাযোগ করার এক উপায়, আর প্রাথমিক ভাবে এটা করা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। বর্তমানে নাগরিকরা, সামাজিক বিষয়সমূহ এবং এই নিয়ে আলোচনার জন্য এই সকল টুলস ব্যবহার করে এবং একে অন্যকে যাতে বিভিন্ন তথ্য জানাতে পারে তার জন্য তারা এখানে তাদের লিখিত নথি, ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করে। এছাড়াও, অন্য স্যোশাল মিডিয়াসমূহ তাদের সামনে তুলে ধরা হয়,যেমন:
- ফেসবুক, যা বন্ধু এবং অন্য দলের সকলের ক্ষেত্রে যে কোন কিছু একজনকে উন্মুক্ত ভাবে শেয়ার করতে দেয়, আর নতুন কোন স্যোশাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
- ইউটিউব, যা এর ব্যবহারকারীকে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করতে দেয়।
এই কর্মশালা চলাকালীন সময়ে, স্যোশাল মিডিয়ার আলোচনা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরী করে এবং সেটি করা হয় সমন্বয়কের নির্দেশনায়,অনুশীলনের জন্য ছোট আকারের দল তৈরী করা হয়, বিশেষ করে অডিও ও ভিডিও ব্যবহারের জন্য। প্রাথমিক ভাবে করা এই কাজগুলো প্রকল্পের ফেসবুকের পাতায় এবং ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।
অংশগ্রহণকারীদের প্রবল উৎসাহ সত্ত্বেও এবং কম্পিউটার, ভিডিও ক্যামেরা, ক্যামেরার সহজলভ্যতা সত্ত্বেও, আমাদের অবশ্য বুঝতে হবে যে এখনো প্রযুক্তিগত অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে, বিশেষ করে ইন্টারনেটের গতির সীমাবদ্ধতা। একই সাথে চারটি কম্পিউটারে কাজ করা সম্ভব নয়, আর আমাদের কাছে ইন্টারনেটের সেই গতি নেই, যা আমাদের অনুসন্ধান এবং যোগাযোগ করতে দেয়।
সর্বোপরি, এটি ছিল দারুণ কৌতূহল উদ্দীপক এক কর্মশালা এবং অংশগ্রহণকারীরা এক আশা নিয়ে এই কর্মশালা শেষ করে। অংশগ্রহণকারীরা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে যে এই কর্মশালায় যা শেখানো হয়েছে তা ব্যবহারের উপায় হিসেবে তারা প্রতি মাসে ছোট ছোট তথ্যচিত্র তৈরী করবে।