
সেনাইডা উরবি, ছবিটি ফ্লিকার ব্যবহারকারী Congreso de la República del Perú এর সৌজন্যে। সিসি বাই ২.০।
কংগ্রেস ম্যান জুলিও গ্যাগো এবং সেনাইডা উরিবেকে গত ১৮ জুন বুধবারে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি নীতিগত বিষয়ে একমত হওয়ার পর তাদেরকে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে ১২০ দিনের জন্য বরখাস্ত করা হয়। পৃথক পৃথক ঘটনায় পার্লামেন্টের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সংসদীয় নিয়ম শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ মূলক কাজের অভিযোগ তুলে দুইটি পৃথক পৃথক অভিযোগ পত্র প্রকাশ করার পর লিমার কংগ্রেসে এই দুই জনকেই আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, জনাব গ্যাগো একটি চুক্তি বিষয়ক আইন ভঙ্গ করেছেন। এই চুক্তি আইন অনুযায়ী, কোন কংগ্রেস ম্যান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করতে পারবেন না। কপি ডেপোট নামক একটি দাপ্তরিক যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের অংশ রয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পেরুর সরকারের কাছে কোটি কোটি অর্থের পণ্য দ্রব্য বিক্রি করে। গ্যাগো স্বার্থ বিষয়ক বিরোধ ঘোষণা করতে এবং তিনি যে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত নন তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জনাব গ্যাগোকে কেন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা উচিৎ তাঁর পাঁচটি কারণ [স্প্যানীশ] দেখিয়ে মিস নোটাস শিরোনামের একটি ওয়েবসাইটে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই পাঁচটি কারণের মাঝে চার নম্বর কারনটিতে বলা হয়েছেঃ
No importa que los audios sean antiguos
Gagó ha reconocido que la voz de los audios difundidos es suya pero dice que ahí no hay ningún delito, pues fueron grabados antes de que él jure como congresista. Pero lo que de verdad importa no es que le haya dado órdenes a los trabajadores de Copy Depot, sino que el fin de eso era seguir beneficiándose de las licitaciones con el Estado mientras era congresista. Y eso es lo mismo a lo que ha llegado este informe.
অডিওগুলো সাম্প্রতিক সময়ের না হলেও তাতে দোষ প্রমাণ করতে কোন সমস্যা হবে না।
প্রকাশিত অডিও ট্যাপের (যেখানে তিনি কয়েকটি ভবিষ্যৎ ব্যবসা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন) কণ্ঠস্বরটি যে গ্যাগোর তা তিনি নিজেই সনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে তিনি দাবি করছেন, এই ব্যবসা পরিকল্পনা করে তিনি কোন অপরাধ করেননি। কারন, তিনি কংগ্রেস ম্যান হিসেবে শপথ নেয়ার অনেক আগে এই অডিওটি ধারণ করা হয়েছিল। তবে এখানে কপি ডেপোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকেদের বিভিন্ন দাপ্তরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অর্ডার দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি কংগ্রেস ম্যান হওয়ার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠান ঘোষিত টেন্ডার থেকে লভ্যাংশ নেয়ার উদ্দেশ্য প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। এই প্রতিবেদনের পরিসমাপ্তিতে একই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
কংগ্রেসের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট, ফুজিমোরিস্তা দলটির একজন সংসদ সদস্য তিনি। দলটি এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দলটির মোট ৭২ জন সংসদ সদস্য রয়েছে। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন বেশিরভাগ সদস্য। তাঁর মধ্যে ২৯ জন ভোট বর্জন করেছেন এবং ১ জন্য সদস্য তাঁর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
মিস উরিবের বিরুদ্ধে পুনটো ভিজুয়াল নামের একটি মার্কেটিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজ্ঞাপন প্রচারাভিযান চালানোর জন্য একটি বিদ্যালয়কে বিলবোর্ড পুনরায় স্থাপন করতে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিচালকের মতে, পুনটো ভিজুয়াল নামক প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপকের সাথে মিস উরিবের কোন সম্পর্ক আছে বলে তিনি ধারণা করছেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে দাপ্তরিক নিয়ম ভঙ্গ করে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেই ব্যাবস্থাপককে তাঁর সাথে বিদেশ ভ্রমণে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
এই বরখাস্তের কিছুদিন আগে নোটিসিয়াসপেরু-হোয় নামক একটি ওয়েবসাইট তাঁর পরিস্থিতি সংক্ষেপে বর্ননা [স্প্যানীশ] করেছেঃ
Se sabe, que la legisladora Uribe, es acusada de haber realizado gestiones ajenas a su trabajo como funcionaria pública ante el Colegio Alfonso Ugarte, lo cual habría dañado la investidura parlamentaria, y a su vez, habría infringido los principios éticos.
জনগণের একজন সেবক হিসেবে আলফনসো উগারটে (সরকারি বিদ্যালয়) বিদ্যালয়টির সাথে অপ্রাসঙ্গিক কিছু কাজ করার অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য মিস উরিবের বিরুদ্ধে। এটি এখন সবারই জানা। এই কাজ করে তিনি সংসদের মর্যাদা নষ্ট করেছেন। একই সময়ে তিনি কিছু নীতিগত আদর্শ লঙ্ঘন করেছেন।
তাঁর পক্ষে ৬০ টি ভোট পরেছে। তাঁর মধ্যে ২১ টি ভোট তাঁর বিপক্ষে দেয়া হয়েছে এবং ২৪ জন সদস্য ভোট বর্জন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেয়া এই ২১ টি ভোটই তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য যথেষ্ট। এই বিচার কার্য চলাকালীন গানা পেরু মহিলা সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।
কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ফ্রেডি ওটারোলা বলেছেন, আমাদের দেশ যথেষ্ট “দ্রুত গতিতে এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে” পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে। সাময়িক ভাবে বরখাস্ত থাকা অবস্থায় দুইজন সংসদ সদস্যের কেউই বেতন পাবেন না।
পেরুভিয়ান রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কিছুদিন পর পরই দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। আলবার্তো ফুজিমুরি যখন “মানবতা বিরোধী অপরাধের” দায়ে সাজা ভোগ করছেন, ঠিক তখন দেশটির সাবেক দুইজন প্রেসিডেন্ট এলান গারসিয়া এবং আলেজান্দ্রো টোলেডোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি পাবলিক প্রসিকিউটর তদন্ত করা শুরু করেছে।
টুইটার ব্যবহারকারীরা অসম্মানিত রাজনীতিবিদদের জন্য প্রচন্ড ঘৃণা এবং অশ্রদ্ধা জড়ো করে রেখেছেন। এল কমেরসিও পত্রিকাটির সোমবারের সংখ্যায় প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, মিস উরিবের নামটি সবচেয়ে কম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদের তালিকাতে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
@VeroLinaresC todavía les dan vacaciones ………. que verguenza me da este @congresoperu
— Mario Vélez (@medio_dedo) June 19, 2014
তারা এত কিছুর পরেও সে দুইজন রাজনীতিবিদকে ছুটিতে পাঠিয়েছেন… পেরুর কংগ্রেসের কারণে আমরা কতোটা লজ্জাস্কর পরিস্থিতিতে পড়েছি।
@VeroLinaresC les pagamos miles de soles, para q se aprovechen de sus cargos y encima pasen el tiempo defendiéndose de acusaciones.
— PEPE GALLO (@PEP_L) June 19, 2014
তারা তাদেরকে হাজার হাজার অর্থ দিয়েছেন। আর তারা তাদের অবস্থান ব্যবহার করে তাঁর সুযোগ নিয়েছেন। তারা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য প্রমাণ করে নিজেদেরকে রক্ষা করতেও সময় ব্যয় করেছেন।
@verolinaresc Nada más? Solo un descuento en sus sueldos? Y la cárcel?
— Jonathan (@CDBufalo) June 19, 2014
শুধুমাত্র এটুকুই? কেবলমাত্র তাদের বেতন কমিয়ে দিলেই হবে? কারাদন্ডে দন্ডিত করা হবে না ?
@Agencia_Andina que bien, esos sinvergüenza tienen que aprender
— frehison calle akaro (@frehisoncalleac) June 18, 2014
খুব ভালো, এই নির্লজ্জ লোকগুলোর শিক্ষা নেয়া উচিৎ।