জেনেভায় ইরান ও ছয় বিশ্ব পরাশক্তির মধ্যে দুই দিন ধরে নিবিড় সংলাপের পর পরমাণু আলোচনা গত বুধবার শেষ হয়েছে। ইরান ও তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা উভয়ই এই আলোচনার ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এখন তাঁরা আগামী নভেম্বরে আরেক প্রস্থ আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
কূটনৈতিক সূত্র মতে, ইরানী প্রতিনিধি দল বলেছে, ইরান জরুরী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে সংবেদনশীল পরমাণু কার্যক্রমের আকার পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তুত।
ইরানী নেটিজেনরা এই বিষয়ে তাদের অনুভূতি এবং মতামত শেয়ার করেছেন, যেটি গত দশ বছর ধরে চলে আসছে। শহরের পর শহরে আলোচনার পর আলোচনা চলছে, কিন্তু এই সঙ্কট এখনও রয়ে গেছে।
এখন কি সেই সময়? যখন এই বিষয়টির একটি শুভ সমাপ্তি ঘটবে ?
টুইটারে আরাশ সোবহানি বিদ্রূপ করে বলছেন:
انرژی هسته ای حق مسلم ماست ولی مفاد مذاکرات در مورد حق مسلم ما محرمانه میمونه! فقط 5+1 میدونن و نظام / دانستن حق مردم نیست عجالتاً
— arashsobhani (@arash_sobhani) October 16, 2013
পারমাণবিক শক্তি আমাদের পরম অধিকার [ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি বছরের পর বছর ধরে এই স্লোগানটির পুনরাবৃত্তি করেছে] কিন্তু, এই পরম অধিকার সম্পর্কে আলোচনার সমস্থ বিবরণ গোপন থাকে। শুধু শাসক দল এবং বিশ্বের ক্ষমতাধররা জানে কি ঘটেছে। এটা জানা মানুষের অধিকার নয়।
এছাড়াও টুইটারে মাদিয়ার আশাবাদী এবং বলছেন:
از مذاکرات ژنو خبرهای خوبی می رسد؛ به نظر اولین گام های #عملی در حال برداشته شدن است
— madyar (@madyar) October 16, 2013
জেনেভা থেকে ভালো খবর আসছে। প্রথম বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
করশ বলেছেন, এই আলোচনার ক্ষেত্রে শীর্ষ পরমাণু আলোচক, ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভেদ জারিফের একটি বাস্তব সমস্যা আছে: পিঠে ব্যাথা যা তাকে হুইলচেয়ারে বসতে বাধ্য করে। করশ লিখেছেনঃ
کمر درد و پادرد زمین گیرش کرده ولی با لبخند میره جلو تا دشمنا فکر نکن کم اورده و نمی تونه حق ملت ایران رو بگیره #ژنو pic.twitter.com/hEJY4vuiVc — Korosh (@Korosh6606) October 16, 2013
তাঁর পিঠ ব্যাথা সত্ত্বেও, হাসি মুখে তিনি সামনে এগিয়ে চলেন। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর শত্রুদের জানাতে চান যে, তিনি এখনও ইরানিদের অধিকার রক্ষা করতে সক্ষম।
এছাড়াও টুইটারে দ্রেকশেপারড মনে করেন, আলোচনাটি ইরান-মার্কিন সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করতে পারেঃ
از این به بعد بجای شعار مرگ بر آمریکا بگوییم: درود بر صلح و انسان, از آمریکا تا ایران #ژنو #ظریف #اشتون
— صابر←درِک شپرد (@derekshepherd_2) October 16, 2013
এখন থেকে “মার্কিনিদের সঙ্গ ত্যাগ” এর পরিবর্তে, চলুন “ইরান থেকে আমেরিকা পর্যন্ত শান্তি ও মানবতা দীর্ঘজীবী হোক” বলে স্লোগান দিই।