পঁচিশ বছর আগে, ইরানের ইসলামী প্রজাতন্ত্র হাজার হাজার ইরানী রাজনৈতিক বন্দীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে এবং অচিহ্নিত গণকবর বিশেষ করে দক্ষিণ তেহরানের খাভারানে তাঁদের সমাহিত করে। কয়েকটি শহরে মাস ব্যাপী সেই হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকলেও, ৩১ আগস্ট তারিখটি হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী হিসেবে গণ্য করা হয় এবং নিহতদের আত্মীয় এবং বন্ধুরা এই দিনে তাঁদের স্মরণ করে।
এই বছর হত্যাকাণ্ডের ২৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে খাভারান কবরস্থানের নামবিহীন কবরের ওপর বিদেশ ভিত্তিক ইরানী মিডিয়া এবং নেটিজেনরা উভয়েই বিশেষ ফিচার, টুইট, পোস্ট, চলচ্চিত্র ও রিপোর্ট প্রকাশ করে। ১৯৮৮ সালের নিহতদের নিবেদন করে একটি ফেসবুক পাতাও খোলা হয়েছে।
মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা সংখ্যাগরিষ্ঠরা বিপ্লবী আদালতে অন্যায্য বিচারের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্য কারাগার বন্দি ছিলেন। কিন্তু তারা কেউ মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ছিলেন না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মত মানবাধিকার সংস্থার চাপ সত্ত্বেও ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা এখনও স্বীকার করেনি।
গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ মন্তাজেরি যিনি সম্ভবত ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ খামেনির দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিলেন, একবার এই হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেন, কিন্তু তারপর তা আবার এড়িয়ে যান।
এই বছর নিহতদের পরিবারের সদস্যদের তাদের প্রিয়জনের জন্য খাভারানে স্মৃতিচারণা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
শাবেকে আনারহিস্ট (“নৈরাজ্যবাদ নেটওয়ার্ক”) খাভারানের নির্যাতিতদের জন্য একটা পেইন্টিং শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, বর্তমান বিচার মন্ত্রী মোস্তফা পওর মহাম্মাদি, বন্দীদের নিয়মানুগ বর্জন ক্রম সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অনেক নেটিজেন ২০১০ সাল থেকে খাভারানে থাকা একজন শোকাতুর মহিলার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
জার্মানি সহ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দেশের ইরানিরা দিনটিকে “কালোদিন” বলে অভিহিত করেছেন এবং সেখানকার অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, “এই অপরাধকে বিস্মৃত হতে দিতে চাই না”।
http://www.youtube.com/watch?list=UUnkDnqZCTEFXSKxZGLpAzoQ&feature=player_detailpage&v=P5dOKp9jYCc
টুইটারেও অনেক প্রতিক্রিয়া ছিলো।
جلوگیری از برگزاری مراسم برای اعدام شدگان سال 67 در خاوران http://t.co/o2tSsmVdDl #حقوقبشر #حقوقشهروندی
— madyar (@madyar) September 1, 2013
নিরাপত্তা বাহিনী নিহতদের আত্মীয়স্বজনকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের স্মৃতিরক্ষা করতে দিচ্ছে না।
روزی از روز ها در گلزار خاوران شهریور سال 1385 زیر پایم هزاران جوان در گورهای دسته جمعی بی نام و نشان ، خفته… http://t.co/20ZRWWZfqR
— Freedom Messenger (@freedommesenger) August 18, 2013
আমাদের পায়ের নীচে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হাজার হাজার তরুণদের সমাধিস্থ করা হয়।