এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া থেকে ক্রস-পোস্ট করা এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের আরবি ভাষা থেকে অনুবাদিত
স্বাধীনতা এবং দেশের একটি নতুন ভিত্তি স্থাপনের জন্য সিরীয়দের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, খুনাখুনি, জেল, এবং অবকাঠামোগুলো ধ্বংসের ফলে প্রলম্বিত হচ্ছে। এসব ধ্বংসের মধ্য দিয়ে কি আদৌ তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
একমাত্র সিরীয়রাই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। “বাস্তববাদী হও, অসম্ভবকে দাবি কর”- ফ্রেঞ্চ ছাত্রদের উজ্জীবিত করার এই স্লোগানটিকে তাঁরা “বাস্তববাদী হও এবং অসম্ভবকে সম্ভব কর” তে বদলে দিয়েছে।
মার্চ ২০১৩ তে রাক্কা থেকে সিরীয় সৈন্যদের অপসারণের পর শহরটি প্রচন্ড জ্বালানি সংকটের ভোগান্তিতে পরে। বিশেষকরে সরকারি কাজকর্মগুলোতে। ময়লা আবর্জনা এবং শাসনতন্ত্রের প্রতিবন্ধকগুলোর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে সব রাস্তাগুলো ভর্তি ছিলো।
ঐ শহরেই থেকে যাওয়া ৩৫ জন সক্রিয় কর্মীর একটি দল একটি আলোচনা শুরু করেছে। এই দলটি “রাক্কার তরুণ” নামে একটি র্যালীতে নেতৃত্ব দেয়। সার্জন আয়মান আল-খালাফ নামের সেই সক্রিয় কর্মীদেরই একজন অব্যক্ত সিরিয়াকে ব্যাখ্যা করেছেনঃ
![The poster reads [ar]: To people who love freedom, know that the factory of heroes is in Syria. Source: Syria Untold](https://globalvoicesonline.org/wp-content/uploads/2013/05/lrq-375x178.jpg)
পোস্টারটিতে লেখা আছে [আরবি]: তাঁদের উদ্দেশ্যে, যারা স্বাধীনতা ভালবাসে, যারা মনে করে সিরিয়া হচ্ছে বীরদের জন্মস্থান। উৎস: অব্যক্ত সিরিয়া
র্যালীটি পৌরসংঘের দায়িত্ব পালন করছে। যেমন, রাস্তা পরিষ্কার করা, ময়লা আবর্জনাগুলো কেন্দ্রীয় শহর থেকে দূরে নিয়ে ফেলা এবং শাসনতন্ত্রের প্রতিবন্ধকগুলো অপসারণ করা ইত্যাদি। আয়মানের ভাষায়ঃ
“আমরা বহুকাল ধরে এই শাসনতন্ত্র ছাড়া জীবনযাপন করার স্বপ্ন দেখেছি। এখন সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ববান হতে হবে এবং শহরটিকে স্বাধীনতার সত্যিকার প্রতিমূর্তিতে পরিণত করতে হবে”।
নতুন অর্জিত স্বাধীনতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্রচারাভিযানের আয়োজন করেছ। সেগুলোর একটি হল, “আমাদের সড়কগুলোতে মুক্তির নিঃশ্বাস”। সক্রিয় কর্মীরা জনহিতকর কার্যালয় এবং রাস্তাগুলোতে বিপ্লবের পতাকা বন্টন, শহর পরিষ্কার, প্রতিবেশীর প্রতি খেয়াল, সৃজনশীল চারুকলা ও দেয়ালের ছবি দিয়ে সমস্ত রাস্তা অলঙ্করণ করেছে।
সক্রিয় কর্মীরা “জাতীয় হাসপাতাল পরিষ্কারকরণ” প্রচারাভিযানও শুরু করেছে, যা শহরের প্রধান হাসপাতাল থেকে বোমা বিস্ফোরণের ভগ্নাবশেষ ও ধ্বংসস্তূপ সরানো পর্যন্ত চলেছিল। শিশুরা যাতে তাড়াতাড়ি লেখাপড়া আবার শুরু করতে পারে সে জন্য “আমি আমার বিদ্যালয় ত্যাগ করবো না” প্রচারাভিযানটি বিদ্যালয়গুলোর পুনর্বাসনের জন্য করা হয়েছিল।
“আমি আমার বিদ্যালয় ত্যাগ করবো না” প্রচারাভিযানে সক্রিয় কর্মীরা
সক্রিয় কর্মীরা সারা বিশ্ব থেকে আসা সিরীয় উদ্বাস্তুদের ভুলে যায় নি। ঘাটতির কারণে রুটির অভাব থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৫০০ জন উদ্বাস্তুকে প্রতিদিন খাবার দেবার জন্য একটি রিলিফ রান্নাঘর স্থাপন করা হয়েছে। এটি “আমাদের রুটি” প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে ছোট ছোট ব্যাগে রুটির টুকরা বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে “আমার রুটির টুকরাটি তোমারও”। তাঁর পাশাপাশি ব্যাগটিতে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) –এর বানী “তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যতক্ষণ না তোমরা নিজের জন্য যা চাও, তা অন্যের জন্যও চাও”।
এই সংগ্রামের শুরু থেকে যেসব শিশু ভয়ানক দুর্ভোগের শিকার তাঁদের ব্যাপারেও তরুণ র্যালীটি গুরুত্ব দিয়েছে। “শিশুদের বাঁচার অধিকার” এর মতো প্রচারাভিযানগুলোর উদ্দেশ্য হলো শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং বিভিন্ন থিয়েটার কর্মশালা, একতা, সহযোগীতা এবং একত্রে কাজ করতে শেখাবে এমন সব কর্মকাণ্ডে যুক্ত করে তাঁদের সাহায্য করা। শিশুদের সত্যিকারের গুণাবলী অর্জন করতে শিক্ষা দেওয়া, যা দেশ সম্পর্কে নতুন ধারণাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অন্যান্য প্রচারাভিযানগুলো সিরিয়ার ন্যায় পরায়ণ বন্দীদের উদ্দেশ্যে করা, যেমন ৭ ই এপ্রিলের “কাঠগড়ার পেছনের লোকদের মুক্ত কর” অবস্থান কর্মসূচী।
সিরিয়ার অন্যান্য শহরের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে রাক্কাতে “ইউফ্রেটিসের মুক্তির মোমবাতি” মতো প্রচারাভিযান বের হয়েছে।
রাক্কার তরুণেরা সেসব কাজ করে দেখাচ্ছে, যা সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর করা উচিৎ ছিলো। তরুণ সক্রিয় কর্মী এবং ডাক্তার আয়েমানের ভাষায়ঃ
“আমরা শক্ত থাকবো, কারন রাক্কা হলো স্বাধীনতার রাজধানী এবং আমরা এই শহরকে জাগিয়ে রাখতে আমাদের কাজ করে যাবো”।
এই পোস্টটি অব্যক্ত সিরিয়া থেকে ক্রস-পোস্ট করা এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের আরবি ভাষা থেকে অনুবাদিত
1 টি মন্তব্য
আপনাদের উদ্যোগ সত্যিই প্রসংশনিয়। তবে আপনাদের ময়দানের যোদ্ধারা মনে হয় না যুদ্ধের পরে আপনাদের কার্যক্রম চালু রাখবে। আজকেই খবর পেলাম Mohammed Qataa নামক এক ১৫ বছরের বালককে নবী অবমাননার দায়ে জনসম্মুখে পিতামাতার সামনে গুলি করে মারেছে।