গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে চীনের জাতীয় দৈনিক শিনহুয়াতে ইন্টারনেটে তদারকি বাড়ানোর জন্য ‘আসল নামে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে’ এমন একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীন সরকার ৫০০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আসল নাম নিবন্ধনের জন্য আইন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
শিনহুয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন এই আইন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতারণা ও অপবাদ থেকে ‘রক্ষা’ করবে। এনপিসি স্ট্যান্ডিং কমিটির লেজিসলেটিভ অ্যাফেয়ার্স-এর ডেপুটি ডিরেক্টর লি ফেই বলেছেন:
এই ধরনের পরিচয় ব্যবস্থাপনার অন্তরালেও সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই ভিন্ন নামে তথ্য শেয়ার করতে পারবেন।
এই বছরের শুরুতেই চীনা মাইক্রোব্লগ সার্ভিস সিনা উইবু আসল নাম নিবন্ধন চালু করে। কিন্তু নানা ধরনের কারিগরি জটিলতার কারণে এটাকে আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয়নি। এখন সরকার এটাকে আইনে পরিণত করলে উইবু’র মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক সার্ভিসের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, উইবুতে ৪০০ মিলিয়ন নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছে। কিছু নেটিজেনের ধারণা, চীনের মতো দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দেশে প্রতারণা ও দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার কথা বলে এই ধরনের আইন দিয়ে আসলে কথা বলার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করবে।
আইনবিদদের উদ্বেগ
廖睿:该议案提出者的直接动因,是近来微博等网络媒体上络绎不绝的反腐败举报。 恳请全国人大常委,在审议此议案时, 如有涉及限制宪法规定的公民言论自由权利的违宪条款时, 能严肃对待,以对国家、民族负责任的态度,投下你自己一票!
廖睿:এই প্রস্তাবের সরাসরি মোটিভেশানল দিক হলো, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মিডিয়াতে দুর্নীতিবিরোধী মন্তব্যগুলো। আমি ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে সুপারিশ করবো, তারা যেন এটাকে গভীরভাবে বিবেচনা করে। আর সংবিধান নিয়ন্ত্রিত নাগরিকদের বাক স্বাধীনতাকে সম্পৃক্ত করে। দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার জন্য আপনার ভোট দিন।
法客瑾爷:对于保障他人名誉权、防止网络犯罪具有重大意义,
但难保不会成为政府干涉言论自由的帮凶。
法客瑾爷:এই আইনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সুনাম রক্ষা করবে এবং সাইবার অপরাধ প্রতিহত করবে। যদিও সরকার বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করবে না, এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই।
লিউ জিয়াওইউয়ান নামের আরেক আইজীবী, উইবুতে যার ৭০ হাজার অনুসারী রয়েছে, তিনি দক্ষিণ কোরিয়াতেও আসল নাম নামে অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার উদাহরণ টেনে আইনটির সমালোচনা করেন:
刘晓原律师: 2012年8月23日,韩国宪法法院做出裁决,8名法官均认定网
络实名制违背了宪法。 宪法法院称互联网实名制阻碍了用户自由表达意见, 没有身份证号的外国人很难登录留言板, 此外留言板信息外泄的可能性增大,从这些因素来看, 这一制度的不利影响并不小于其公益性。
刘晓原律师: ২৩ আগস্ট ২০১২ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ার কনস্টিটিউশনাল কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে আটজন বিচারক আসল নামে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সংবিধান লংঘনের বিষয় খুঁজে পান। কনস্টিটিউশনাল কোর্ট বলে, আসল নামে ইন্টারনেট নিবন্ধন বাক স্বাধীনতাকে ব্যাহত করবে। বিদেশীরা আইডি নম্বর ছাড়া মেসেজ বোর্ডে ঢুকতে অসুবিধায় পড়বে। এছাড়াও মেসেজ বোর্ডে তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। এইসব অসুবিধার ছাড়া আসল নাম নিবন্ধনে কোনোই ফায়দা পাওয়া যাবে না।
সাধারণ অনলাইন ব্যবহারকারীরা কী ভাবছে?
东来和西去:我不知道你们立法的初衷是什么?
是维护公民的言论自由还是扼杀?
东来和西去:আমি জানি না কী জন্য এই আইন করা হচ্ছে? এটা কি আমাদের বাক স্বাধীনতা রক্ষা করবে, না নিয়ন্ত্রণ করবে?
扬尘无导:实名没什么可怕,怕的是应言获罪。
扬尘无导:আসল নাম নিবন্ধনে ভয়ের কিছু নেই। তবে অনলাইনে কথা বলার জন্য এই আইনের কারণে শাস্তি ভোগ করা লাগতে পারে।
zhang3:原来准备了那么多天的圣诞大礼,是网络实名制。
实际也没啥。本来真要找你也是分分钟的事,现在就少走一个程序。 短期会让人恐惧,长期会给人勇气,让人有担当。掘墓的, 焉知不是为自家准备。
জিয়াং৩: ইন্টারনেটে আসল নাম নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া এই বড়দিনের সবচেয়ে বড়ো উপহার। যদিও নিবন্ধন সেরে ফেলাটা তেমন ঝামেলার কিছু নয়। যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা জেনে ফেলেছেন, তাদের জন্য আরো সহজ। স্বল্পমেয়াদের জন্য এটা আমাদের ভয় পাইয়ে দিলেও দীর্ঘকালীন সময়ে এটা আমাদের আরো সাহসী করে তুলবে। কে না জানে, নিজের জন্য খবর খুঁড়তে কেউ-ই চাইবে না।
游离的世界已经灰白:网络是悬在官员头上的一把利剑!
立法是应当的,关键看这法怎么立? 关键是如何处理保护官员与保护公民言论自由孰轻孰重的问题。
游离的世界已经灰白:ইন্টারনেট অফিসারদের মাথার ওপর তলোয়ারের মতো ঝুলছে! এজন্য তাদের একটা আইন দরকার। কিন্তু এর চাবি অফিসাররা নিজেদের এবং নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কীভাবে ব্যবহার করবে এটাই বড়ো প্রশ্ন। কোনটা আগে আসবে?
বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জিহাং জিয়াং পরামর্শ দিয়েছেন:
展江教授: 应该首先将《政府信息公开条例》上升为法律,
并扩大政府信息公开范围;同时对言论自由制定保护性法律, 然后才能进行限制性立法。否则,网络实名制最后可能法不责众, 不了了之。
প্রথমে সরকারি তথ্য জনগণের কাছে তুলে ধরে সরকারি তথ্য প্রচার নিয়মকে আমরা আইনে উন্নীত করতে পারি। একই সময়ে নিয়ন্ত্রণমূলক নিয়মকানুন তৈরির আগে আইনটি কীভাবে বাক স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে তা তুলে ধরতে হবে। এটা ছাড়া, জনগণের সমালোচনার মুখে আসল নাম নিবন্ধনের ব্যাপারটা কাজ করবে না।
এখন পর্যন্ত পরিষ্কার না আইনটি কবে থেকে কার্যকর হবে। বিদেশী ভিপিএন সার্ভিসের মাধ্যমে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকার সেন্সরশিপের নিয়মে ফেলে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করছে। চীনে ইন্টারনেটের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ কমায় যেকোনো আশাবাদীকে হতাশ করবে।