বিবেকের কাছে বন্দী আইনজীবি নাসরিন সোতৌদি ৪৯ দিন পর তাঁর অনশন ধর্মঘট ভঙ্গ করায় ইরানি ব্লগোস্ফিয়ার আনন্দে ভরে গেছে। কালেমে ওয়েবসাইট সহ নানা সূত্র, যারা বিরোধী দলের সবুজ আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছে তারা নাসরিন সোতৌদির স্বামী রেজা খানদানের উক্তি হুবহু তুলে ধরেছে। তিনি বলেন, এমপিদের সাথে সাক্ষাত এবং ইরানি পার্লামেন্ট স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধানের সাথে সমঝোতার ফলশ্রুতিতে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ভ্রমণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। নাসরিন সোতৌদির দাবি পূরণ হওয়ায় তিনি তাঁর অনশন ধর্মঘট ভঙ্গ করেন।
খুবই গর্বিত ও আনন্দিত একজন ইরানি ব্লগার, আজাদি ইসতেঘলাল এদালাত (মুক্তি, স্বাধীনতা ও বিচারের সংজ্ঞা) লিখেছেন [ফার্সী]:
নৃশংসতা এবং অবিচারের বিরুদ্ধে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দাঁড়ানো এবং তাঁর প্রাণপ্রিয় মেয়ের [মেহরাভেহ] প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বকে যুদ্ধে সামিল করা আমাদের প্রিয় নাসরিন সোতৌদি এখন অনশন ভেঙ্গেছেন। কারণ মেহরাভেহের বিরুদ্ধে বৈধ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ইরানি জনগণকে তিনি আশা ও প্রতিরোধ করার এক নতুন দীক্ষা দিয়েছেন। নাসরিন সোতৌদিহ ইরানের সিংহী। তিনি প্রতিটি উদারপন্থি ইরানির গর্ব। বিজয় আরো আনন্দময় হোক!
নাসরিন সোতৌদির সাহসের প্রশংসা করে আজাদেঘি বলেছেন [ফার্সী]:
একজন ইরানি মহিলার এই বিজয় হবে তালেবান [কিছু ইরানি আন্দোলনকারী ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে আফগানিস্তানের তালেবানদের সাথে তুলনা করেন] শাসন পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিজয়। নাসরিন সোতৌদির জানা উচিত তিনি একা নন এবং অনেক ইরানিই তাঁর সাথে আছেন।
নাসরিন সোতৌদিহ শিশুদের প্রাণদন্ড সম্পর্কে কথা বলেছেন
এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে (ইংরেজী উপশিরোনামসহ) নাসরিন ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন এবং শাসনতন্ত্রের কাছে ১৮ বছরের নিচে যেসব বন্দী রয়েছে তাদের প্রাণদন্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।