ইরানে, ২০০৮ সাল থেকে কানাডার এক নাগরিক মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায়

কানাডার নাগরিক হামিদ ঘাসেমি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ২০০৮ সালে ইরানে আসার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে জানা যায় হামিদ এবং তার ভাই আলবোর্জ ঘাসেমি উভয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক ইমেইল পাঠানোর উপর ভিত্তি করে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয় এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। আলবোর্জ কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুবরণ করে। আর হামেদ কোন ধরনের বৈধ আইনি সহায়তা ছাড়াই মৃত্যুদণ্ডের মত হুমকির মাঝে কারাগারে বন্দী থেকে যায়। কানাডার টরন্টোয় হামিদ-এর স্ত্রী আন্তনেল্লা মেগা তার স্বামীর ফিরে আসার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

অনলাইনে ফ্রিহামিদ.অর্গ নামক সাইটে হামিদকে মুক্ত কর নামক প্রচারণাটি রয়েছে। সেখানে আন্তনেল্লার একটি মুভিং ব্লগ রয়েছে। তবে এই বিষয়ে একেবারে সাম্প্রতিক কার্যক্রম ফেসবুকের একটি পাতায় পরিচালনা করা হচ্ছে, যেটির নাম হামিদ ঘাসেমি শ্যাল ট্রাভেলিং স্ক্রাপবুক। ১২ অক্টোবর তারিখে কানাডায় হামিদ–এর সমর্থকরা তার ওয়ালে এক শুভ জন্মদিন বার্তা পোস্ট করে। সেপ্টেম্বরে, ইরানের সাথে কানাডা সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এই আশাবাদ জোরালো হয়ে উঠছে যে কানাডার সরকার হয়ত এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে পারে

টরন্টোয় বসবাসরত হামিদের প্রতিবেশীরা তার এই ঘটনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্য একটি অনলাইন ভিডিও তৈরি করেছে।

ভিমেও-এ ভিসুয়াভ-এর ভিডিও প্লিজ ওয়াচ

হামেদ-এর সমর্থনে হাইলে বেনডিক্ট এই ভিডিওটি তৈরি করেছে।

৩০ নভেম্বর তারিখে বিশ্বের ১২০০ টি শহরের নাগরিকরা ‘সিটিজ ফর লাইভ‘ নামক এক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। যে কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ। এই দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে টরন্টোর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মীরা আন্তোনেল্লা মেগাকে বক্তব্য প্রদানের আহ্বান জানায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .