২৩শে জুন শনিবার সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষ তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে, আগের দিন বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘটিত সংঘটিত সহিংস সংঘাতের পর। ২২শে জুন শুক্রবার সামাজিক ন্যায়বিচার (#জে১৪ হ্যাশট্যাগ) বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের রথশিল্ড বুলেভারে তাঁবু স্থাপন করে পুনরায় দখলে রাখার চেষ্টা করলে মারাত্বক পুলিশী সহিংসতার শিকার হয়। পুলিশ প্রধান ইয়োরাম ওচিওন বলেছেন আইনী “সমস্যা”র কারণে বিক্ষোভটির অনুমোদন ছিল না।
#জে১৪ দাপ্তরিক ওয়েবসাইটটি শনিবার সন্ধ্যায় হাবিমা স্কোয়ারে জড়ো হতে এর সমর্থকদের আহবান করে:
২২শে জুন শুক্রবার শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং উদ্বিগ্ন নাগরিকদের হিংস্রভাবে পেটানো হয় কারণ তারা সবচেয়ে মৌলিক অধিকার – বিক্ষোভ করার অধিকার – প্রয়োগ করেছিল। বুলেভারে আমাদের একটা তাঁবু স্থাপনের প্রচেষ্টার পরিণতি হলো রক্তাক্ত পা এবং বহু বিক্ষোভকারীর গ্রেপ্তার। আমরা ইজরায়েলের নাগরিকরা যে ভারসাম্যহীন ক্ষমতা এবং নিপীড়নের প্রয়োগ লাভ করেছি, সেটা দিয়েই ইস্রায়েলি শাসকগোষ্ঠী আজ আমাদেরকে হিংসাত্মক ভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের এপার্টমেন্ট, আমাদের কাজ, আমাদের মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যত, আশা ছিনিয়ে নিয়েছে – এবং বর্তমানে তারা আমাদের স্বাধীনতা কেঁড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। আপনার সোফা থেকে, টেলিভিশন থেকে, এ/সি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) এবং কেনাকাটার স্থান থেকে উঠে দাঁড়ান। আপনার গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসুন, দেয়াল ভেঙ্গে ফেলুন এবং আমাদের সঙ্গে জেগে উঠুন – আমাদের ভবিষ্যত সংগ্রামের জন্যে গর্বিত ও সংকল্পবদ্ধভাবে।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে হাজার হাজার জনগণ তেল আবিবের রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে তীব্র সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার পর ৮০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়। ব্যাংকের জানালাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে যায় এবং শত শত লোক দুটি প্রধান রাস্তা এবং এয়ালন মহাসড়কের মাঝে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সারা সন্ধ্যা জুড়ে বিভিন্ন স্লোগান যেমন “জনগণ সামাজিক ন্যায়বিচার চায়”, “সকল জনগণ বিরোধীদলীয়” এবং “জনগণ গণতন্ত্র চায়” উচ্চারিত হয়।
এখানে তেল আবিবের কিছু টুইট এবং ছবি রয়েছে। ওর্লি বার্লি [হিব্রু ভাষায়] লিখেছেন:
עשרות עצורים. ביצים נזרקו על העיריה קודם. איילון, אבן גבירול ודרך בגין נחסמו בו זמנית. 3 בנקים הושחתו. אלפים מול העירייה עכשיו #জে১৪
- ওর-লি বার্লি (@ওর্লিবার্লি) ২৩শে জুন, ২০১২
নিতে পেরেৎজ মন্তব্য করছেন:
במדינה שבה בעלי ההון, הבנקים, הממשלה, המשטרה והמתנחלים רומסים ברגל גסה כל יום את החוק – מה אתם מתרגשים פתאום מזה שעוברים על החוק? #জে১৪
— নিতে পেরেৎজ (@নিতেপি)২৩শে জুন, ২০১২
নিচের ছবিটিতে বিক্ষোভকারীদের এয়ালন মহাসড়কের দখল নিতে দেখা যাচ্ছে:
সাব্বাস! বিক্ষোভকারীরা সম্পূর্ণভাবে তেল আবিবের এয়ালন মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। #দখল #জে১৪ #ইস্রায়েল টুইটপিক.কম/৯জেডকিউপি৬৫
— গিলাদ লোতান (@গিলগুল) ২৩শে জুন, ২০১২
নিচের টুইটটি দুইদিন আগে পোস্ট করা হলেও সহিংসতা তূঙ্গে থাকার সময় বেশী পরিমাণে এর পুণঃটুইট করা হয়:
שים אוהל בשדרות רוטשילד ויעצרו אותך באלימות. שים קראוונים על קרקע פרטים בשטחים ויממנו לך בית #জে১৪
— এমএল (@টুলটপ) ২২শে জুন, ২০১২
এবং সবশেষে কোন একজন ট্যাগ দেয়া একটি পুলিশের গাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন। পুলিশের গাড়ির পিছনে লেখা আছে “মিশতা –রা’আল”। “মিশতারা” মানে পুলিশ এবং “রা’আল’ মানে বিষ। কার্যকরী শব্দের খেলাটি সরকার এবং পুলিশ উভয়কেই বিষাক্ত হিসেবে নির্দেশ করে।
“משטרעל”…. #জে১৪ টুইটার.কম/বিনেইব্রাকি/স্ট্যাট…
— דוס מחמד ® (@বিনেইব্রাকি) ২৩শে জুন, ২০১২
যারা ইসরায়েলি সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনকে অনুসরণ করতে চান তাদের জন্যে এখানে দরকারী কিছু তথ্য রয়েছে:
– এলিয়্যানের উৎকৃষ্ট লাইভস্ট্রীম
– #জে১৪ টুইটারে
– জে১৪ পাবলিক ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেটস
– দাপ্তরিক জে১৪ ওয়েবসাইট