উদ্বাস্তু: উদ্বাস্তুদের সেবায় অনলাইন গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি

দুটি ভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান অনলাইন গণমাধ্যম ও প্রযুক্তির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। প্রথমত: রেফুউজিস ইউনাইটেড, অনলাইন তথ্যভান্ডার ব্যবহার করে, যা মোবাইলের মাধ্যমে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন উদ্বাস্তুদের পুনর্মিলনের জন্য ব্যবহার করা যায় এবং অপরটি হংকংরেফুউজি ইনফোচ্যানেল যা ইউটিউবের মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের আইন ও কল্যাণ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করে।

রেফুউজিস ইউনাইটেড উত্তর উগান্ডা থেকে স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু করে বর্তমানে আফ্রিকার অন্যান্য দেশে  এবং পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার কারণে গণ বিতাড়ণ ঘটেছে এবং মানুষ আত্মীয়স্বজন থেকে আলাদা হয়ে গেছে। উৎস অনুল্লিখিত তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে, উদ্বাস্তুরা নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করে, যেখানে তারা তাদের জীবন সম্পর্কে উল্লেখ করে, যা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আত্মীয়স্বজনের দ্বারা চিহ্নিত করা সহজ হয়।

লস্ট এন্ড ফাউন্ডে, চারজন উদ্বাস্তু তাদের পালিয়ে যাওয়া ও বিচ্ছিন্ন হওয়া সম্পর্কে বলেছেন, এটি এমন একটি জীবন ছিল, যেখানে তাদের স্বজনদের সম্পর্কে অজ্ঞাত থেকেই এমনকি জীবিত না মৃত তা না জেনেই জীবন চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। যদিওবা উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান উদ্বাস্তু পরিবারগুলোকে পুনর্মিলিত করার চেষ্টা করেছে, হাতে লেখা কাগজ এবং ছবি একাধিক প্রতিষ্ঠানের ও আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যে বিনিময় করা সহজ ছিল না। অনলাইনে একটি তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিবর্গ তাতে যুক্ত হচ্ছে এবং তথ্য খুঁজে দেখছেন, এর ফলে পরিবারগুলোকে পুনর্মিলিত করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হংকং এ, উদ্বাস্তুদের আইন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা বিষয়ে সাধারণ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য ইউটিউব ভিডিওতে বহুভাষী চ্যানেল যুক্ত করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে, একটি ভিডিওতে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সহকারী অধ্যাপক ক্যালি লোপার উদ্বাস্তু ও আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা করেছেন।

অথবা এই ভিডিওতে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে একজন উদ্বাস্তুকে কি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে হবে, তা বর্ণনা করা হয়েছে:

রেফুউজিস ইউনাইটেড ব্লগে, উদ্বাস্তুদের সাফল্যজনক পুনর্মিলিত হওয়ার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে: দক্ষিণ কিভুতে একটি পরিবার সহিংসতার কারণে আলাদা হয়েছিল এবং তাদের ইন্টারনেট সংযোগ যুক্ত ফোন অথবা ইন্টারনেট ক্যাফে ব্যবহারের মতো অর্থ ছিল না, গোষ্ঠীগত যোগাযোগের মাধ্যমে সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে পেয়েছেন। আপনিও উদ্বাস্তুদের পুনর্মিলিত হওয়ার অগ্রগতি তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অবহিত হতে পারেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .