মেক্সিকো: মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

শার্লট কিং-এর তথ্য চিত্র এ সিজোফ্রেনিক স্টেট-এ, সান সালভাদর এটেনকো এবং ওয়াক্সাকার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। মেক্সিকোর এই দুটি এলাকায় শাসক দল, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়, যার মধ্যে একজন গর্ভণর যুক্ত যে কিনা এখন দেশটির রাষ্ট্রপতি হতে ইচ্ছুক।

দুটি সামাজিক আন্দোলন তুলে ধরছে যে মেক্সিকোর সরকার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব রয়েছে, বিশেষ করে যখন ভুমি অধিকারের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় এবং শিক্ষার দাবীতে লড়াই-কে মৃত্যু, জেল, এবং যৌন হয়রানি-র মত নির্যাতনের দ্বারা নির্মম ভাবে দমন করা হয়। এই সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামক মানবাধিকার সংগঠন মেক্সিকো সরকারকে মানসিক সমস্যা যুক্ত বলে অভিহিত করেছে, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেক্সিকো মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু নিজ ভূমিতে সে সংঘর্ষ জারী রাখে।

এটেনকো এবং ওয়াক্সাকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর করা রিপোর্ট অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবাসাইটে পাওয়া যাবে। এ্যাটেনকোর ঘটনা:

৩ এবং ৪ মে ২০০৬-এ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের টেক্সোকোকো এবং সান সালভাদর এ্যাটেনকোয় অন্তত ২১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় এক কৃষক সংগঠনের একটিভিস্টরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাদের উপর পুলিশী অভিযানের প্রেক্ষাপটে এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪৭ জন ছিল নারী। এই রিপোর্ট বর্ণনা করা হয়েছে নারীদের ক্ষেত্রে কি ঘটেছিল, বিশেষ করে রিপোর্টে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিষয়ে মনোযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং একই সাথে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে অকার্যকর এবং আংশিক তদন্তের বিষয়টিও রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়াক্সাকার ঘটনা:

২০০৬ সালে ওয়াক্সাকা রাজ্যে, গভর্নরের পদত্যাগের দাবীতে রাজ্য জুড়ে এক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক মাস ওয়াক্সাকা শহর স্থবির হয়েছিল। এই সঙ্কটের সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট মনোযোগ প্রদান করা হয়, যেমন বাড়াবাড়ি রকমের শক্তির ব্যবহার (যার মধ্যে কিছু কিছু ছিল প্রাণঘাতী), অযৌক্তিক এবং এমন ভাবে গ্রেফতার করা যেন কেউ এই গ্রেফতারের ঘটনা জানতে না পারে, খারাপ ব্যবহার এবং অত্যাচার, হুমকি, মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করা, এবং বিচারে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং নিরপেক্ষ ভাবে বিচার পরিচালনা না করা। পৌর, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় পুলিশের হাতে বারবার এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশীর ভাগ ঘটনা ঘটে।

২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই সমস্ত ঘটনা যাচাই এবং লঙ্ঘনকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি জরুরী হয়েপড়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .