অক্টোবর ২০১২-এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জর্জিয়ার সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে, বর্তমান সংসদের স্পিকার ডেভিড বাকরাদজে, ফেসবুকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় সদস্যে পরিণত হয়েছে।
এই লেখাটি শেষ করার সময় পর্যন্ত ফেসবুকে তার নিজস্ব একাউন্টে [জর্জিয়ান ভাষায়] ২৭,৫২৬ জন ব্যাক্তি তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে পছন্দ করেছিল, যার মধ্যে ছিল, তার ভ্রমণ এবং সাক্ষাতের ছবি এবং এর সাথে তার পরিবারের ছবি। বাকরাদজে একটি গেমও চালু করেছেন, যার নাম নির্বাচন। এতে যারা তার ফেসবুকের পাতা লাইক বা পছন্দ করবে, তারা এই খেলায় এক ভার্চুয়াল বা কল্পিত সংসদের বিভিন্ন পদে নির্বাচন করতে পারবেন।
এই খেলার নিয়ম খুব সহজ: এখানে যে কেউ প্রার্থী অথবা অন্য আরেক প্রার্থীর ভোটার হিসেবে নাম নিবন্ধন করতে পারবে। এখানে যারা প্রার্থী হিসেবে নাম নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক, তারা তাদের বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত পুরণ করতে সক্ষম হবে এবং তাকে মনোনীত করার জন্য বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাবে। যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশী ভোট পাবে সে স্পিকার এবং চারজন রানার আপ ভার্চুয়াল, ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হবে।
ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে যার সবচেয়ে ফেসবুক ব্যবহার করেন,বাকরাদজে হচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম। আগস্ট, ২০১১-এ বাকরাদজে, তার ফেসবুকের সংসদ বিষয়ক পাতায় সবচেয়ে সক্রিয় সদস্যদের অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠক এবং সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানায়, আর গতমাসে সে দশজনকে তার দপ্তরে আমন্ত্রণ জানায়। বাকরাদজে সাংবাদিকদের বলেন যে, গেমটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণদের নির্বাচনের প্রতি আকৃষ্ট করে তোলা এবং সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে উত্সাহ প্রদান করা।
যাই হোক, এই ঘটনায় জনতার প্রতিক্রিয়া মিশ্র, কেউ কেউ মনে করে যে এটা একটা ভালো উদ্যোগ, অন্যরা মনে করে যে এই খেলা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নয়। যেমন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফেসবুকে একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, “শীঘ্রই আমরা ‘লাইক বা পছন্দ’ প্রদান করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করব”। এদিকে “অন্যরা মনে করে যে” ফেসবুকে সরকারি অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে এটি এক ধাপ অগ্রগতি”।
চিটি “(পাখি), এটি জর্জিয়ার ওনিয়ন নিউজের সমতুল্য, যা তার নিজস্ব বিদ্রুপাত্মক ভাষ্যে এই ঘটনার মূল্যায়ন করছে।
თბილისი, 21 სექტემბერი – სოციალურ ქსელ Facebook-ზე პარლამენტის თავმჯდომარის ინიციატივას, “ვირტუალური არჩევნები,” მხოლოდ სიმბოლური დატვირთვა არ ექნება. პარლამენტის აპარატის მიერ გავრცელებულ განცხადებაში ნათქვამია, რომ თამაშში გამარჯვებული ადამიანი, დავით ბაქრაძესთან ერთი დღის გატარებასთან ერთად ხელფასსა და პენსიასაც მიიღებს.
এখন পর্যন্ত, ৭৬০ জন ব্যক্তি ভার্চুয়াল নির্বাচন নামক গেমের জন্য নাম নিবন্ধন করেছে এবং এই গেমে বর্তমানে যে ব্যক্তি প্রথম স্থানে রয়েছে সে ৩২৮ টি ভোট পেয়েছে।এই ঘটনার ক্ষেত্রে আরো উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়, সম্ভবত এই কর্মটি জর্জিয়ান সরকারের ক্রমাগত সামাজিক প্রচার মাধ্যমের ক্ষমতাকে গ্রহণ করার এক প্রচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।