
আধা সরকারি ইরানী সংবাদ সংস্থা ফারেস-এর ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পোশাকের জন্য একটি মেয়েকে কঠোরভাবে তিরস্কার করা হচ্ছে।
বিশ্বের অনেক জায়গায় গরমকাল মানে, প্রখর সূর্য, সমুদ্র এবং গরমের লম্বা ছুটি উপভোগের কাল। ইরানে গরমকাল মানে এর সাথে আরেকটি বিষয় যুক্ত হওয়া: ‘অনইসলামিক’ অথবা ‘যথাযথ নয়’ এমন কাপড় পরিধান করা। এ বছর ইরানে সবাই শালীন পোশাক পরছে কিনা তা দেখার কাজে ট্রাফিক পুলিশ সাহায্য করছে। আর যাদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হচ্ছে যে, তারা “যথাযথ পোশাক” পরেনি, তাদের কেবল সর্তকতা প্রদান করে কিংবা জরিমানা ধার্য করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না, অনেক সময় নিরাপত্তা বাহিনী শালীন পোশাক না পরার কারণে মেয়েদের গ্রেফতার করছে। ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলের নেট নাগরিকদের ভিডিও ইরানের সত্যিকারের “উত্তাপ” প্রদর্শনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
হামাদানে একটি মেয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করছে।
http://www.youtube.com/watch?v=yHYbDF4ia38
তাব্রিজে একটি মেয়েকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে নাগরিকরা প্রতিবাদ করছে
তার ১৩ বছরের মেয়েকে গ্রেফতারের কারণে মা আর্তচিৎকার করছে
বৈষম্য?
ইরানী ব্লগার ইরানে আজাদ পোশাকের কারণে গ্রেফতার হওয়া বেশ কিছু ছবি পুনরায় প্রকাশ করেছে এবং প্রশ্ন করেছে [ফাসী ভাষায়] কেন এই বিষয়টি ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রীদের উপর প্রযোজ্য না হয়ে, কেবল সাধারণ নাগরিকদের উপর প্রযোজ্য হবে।