কলম্বিয়া: আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি রক্ষা করছে

কলম্বিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তারা কেবল নিজ সম্প্রদায়কে বাইরের বিভিন্ন ব্যয়বহুল খাদ্য কেনার বদলে নিজস্ব সব্জী বাগানের উৎপাদিত খবার খাওয়ার শিক্ষাই প্রদান করছে না, একই সাথে টাটকা দুধ পাবার ক্ষেত্রে তাদের অধিকারকে সীমাবদ্ধ করে দেবে এমন নতুন আইন এবং নিয়মের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করছে।

Vegetables

আদিবাসী সম্প্রদায় যে সব খাদ্যশস্য উৎপাদন করে থাকে

প্রথম ভিডিওটি (স্প্যানিশ ভাষায়) আমাদের প্রদর্শন করছে যে, হুয়েলাস কালোটা নামের এক আদিবাসী সংরক্ষিত এলাকায় একটি সম্প্রদায় একত্রিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তিদের আহ্বান জানানো হয় নিজস্ব উপকরণে বানানো খাবার নিয়ে আসতে, যা তাদের নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত শস্য থেকে বানানো হয়েছে। কুমড়োর রস, পরিজ, ভুট্টার কেক এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাদ্য এখানে উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত করা হয়, যা প্রমাণ করে তাদের দৈনন্দিন আহার আমদানীকৃত বা কেনা খাবারের উপর নির্ভরশীল নয়, তার বদলে তা স্থানীয় এবং ঐতিহ্যবাহী উপকরণে তৈরি।

http://www.youtube.com/watch?v=–NyfiwdJ48

পরবর্তী দুটি ভিডিও (যে দুটিও ভিডিও স্প্যানিশ ভাষায় তৈরি করা হয়েছে) সেখানে আমরা দেখতে পাব, আদিবাসী মিসাক সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা অন্যদের সাথে এক নতুন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য রাজধানী বোগোটার দিকে পদযাত্রা করছে, এই আইনে সদ্য দোয়ানো বা অপরিশোধীত দুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। এই সব সম্প্রদায় স্থানীয় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে টাটকা দুধ কেনে এবং তারা তাদের নিজস্ব আহার স্থানীয় পর্যায়ে পুরণ করে থাকে। এখন টাটকা দুধের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা মানে, তাদের অনেক বেশি দাম দিয়ে প্রক্রিয়াজাত দুধ কিনতে হবে, যা একই সাথে দুধ ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের উপর প্রভাব ফেলবে। এই দুটি ভিডিওর শিরোনাম হচ্ছে “ টিনের পাত্রে দুধ মানুষকে খুন করে না, কিন্তু ক্ষুধা করে”।

প্রথম খণ্ড

http://www.youtube.com/watch?v=2So1IiXE3CA

দ্বিতীয় খণ্ড

http://www.youtube.com/watch?v=ZFzH7LSleN4

‘পানি নিরাপত্তা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: নীচের ভিডিওটিতে উত্তর কাউকার কমিউনিকেশন স্কুল দুটি ভিন্ন ভিন্ন ঘটনা তুলে ধরছে যা পানি বিষয়ক এবং তারা সেখানে দেখাচ্ছে কি ভাবে এগুলোর সমাধান করতে হবে। প্রথম ঘটনায় একটি নারীকে নদীতে কাপড় ধুতে দেখা যাচ্ছে। সে সময় একজন প্রতিবেশী তার কাছে আসে এবং বিনয়ের সাথে তাকে বলে যে, যেহেতু সে নদীতে কাপড় ধুচ্ছে, সেই কারণে নদীর সামনের দিকে যারা আছে, তার সাবান মাখানো পানি পাচ্ছে। উক্ত মহিলা এর জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে এবং স্বীকার করে যে, তার এই কাজের ফলে কারো যে ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে সে সচেতন ছিল না। এরপর সে জানায়, সে তার বাসার লোকজনকে বলবে, যেন তারা ঘরে এমন একটা জায়গা তৈরি করে দেয় যেখানে সে তার কাপড় ধুতে পারবে, যার ফলে আর নদীর পানি দূষিত হবে না। এই ক্ষেত্রে প্রতিবেশীরা উত্তর প্রদান করে যে, তারা খুব আনন্দের সাথে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসে মহিলার বাসার লোকজনকে এই কাজে সাহায্য করবে। দ্বিতীয় দৃশ্য, নদীর পাশে একদল পর্যটকদের প্রদর্শন করছে। তারা সেখানে বনভোজন করতে গেছে, কিন্তু তাদের সকল বজ্য সেখানেই ফেলে রেখে চলে আসে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন সদস্য এরপর সেখানে আসে এবং তারা সেখানে যে আবর্জনা ফেলে গেছে সেগুলো একত্রিত করে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

http://www.youtube.com/watch?v=7gAolg3JbAM

আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই সমস্ত কর্মকাণ্ড আপনারা তাদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দেখতে পারবেন, যা স্প্যানিশ ভাষায় তৈরি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .