এই পোস্টটি ২০১১ সালে মিশরের প্রতিবাদ বিপ্লব সম্পর্কে আমাদের বিশেষ কাভারেজের অংশ
গত কয়েকদিন ধরে যেমন মিশরীয়রা প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভকে সংগঠিত এবং তথ্য আদান প্রদানের জন্য সামাজিক প্রচার মাধ্যমের উপাদান সমূহ ব্যবহার করে আসছে, ঠিক তেমনি এসব উপাদানে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে তাদের অজস্র বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি তারিখে টুইটার বন্ধ হয়ে যাবার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে, আর তার পরের দিন ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায়। ২৭ জানুয়ারি তারিখে খুবই বিচ্ছিন্ন ভাবে মাঝে মাঝে এই দুটি সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছিল।
যে দিন বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়, সেই ২৮ জানুয়ারি তারিখ শুক্রবারে দুপুর ১.০০ টার সময় ধীরে ধীরে সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে যে, কায়রো এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় ইন্টারনেটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। কয়েক মিনিট পরে @ইমান_সাইদ টুইট করে:
হ্যাঁ, সিএনএন নিশ্চিত করেছে যে, সমগ্র মিশরে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিশর এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।#জান২৫,#ইজিপ্ট,#শেম।
এর কিছুক্ষণ পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক এক মিশরীয় আলা আবদে এল ফাত্তাহ (@আলা) সতর্ক করে দেন:
আগামীকাল আমাদের মোবাইল ফোন সংযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে (অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের এলাকাগুলোতে)#জান২৫
জ্যাকোব আপেলবাম (@আইওইরোর) একজন আমেরিকান, যিনি মিশরে ইন্টারনেট ফিল্টার বা যাচাই করার ব্যাপারে তৎক্ষনাৎ সংবাদ প্রদান করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, মিশরে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন:
এটা নিশ্চিত যে, সকল মিশরীয় নাগরিক এখন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন- মনে হচ্ছে কেবল এসএস৭ নামের নেটওয়ার্ক কাজ করছে।#জান২৫,#ইজিপ্ট
যারা, মিশরে তাদের আত্মীয় এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইছে, তারা হতাশ এবং তারা টুইটার সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। @আলা ব্যাখ্যা করেন:
এখনো মিশরে মোবাইল ফোন কাজ করে যাচ্ছে, যার কারণে আমি সবার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু বিশেষ বিশেষ স্থানে এটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ উৎসাহজনক; এক্ষেত্রে এক কৌতুহল জনক বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা এলেক রস (@এলেকজেরস) আরবী ভাষায় টুইট করেছে:
এই ভাবে বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও, কয়েকজন মিশরীয় নাগরিক এখনো এই আশায় টুইট করে যাচ্ছে যে, তারা বাইরে পৃথিবীর কাছে মিশরের সংবাদ পৌঁছাতে পারবে। এই সব নিষেধাজ্ঞার মাঝে আশার এক আলো আগামী দিনগুলোতেও, গ্লোবাল ভয়েসেস চেষ্টা করে যাবে, ফোন এবং অন্য সব যোগাযোগের মাধ্যমে মিশর সংক্রান্ত সংবাদ প্রদান করে যাবার।