বৃহস্পতিবার, আফগানিস্তানের নাগরিকরা কাবুলে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আফগানিস্তান, ইরানে বাস করা আফগান অভিবাসী এবং শরণার্থীর প্রতি ইরানের দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও আফগানিস্তান, তার উপর ইরান আরোপিত তেল নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। আজকের বিক্ষোভের আয়োজক ছিল আফগান সলিডারিটি পার্টি নামক দলটি। ইরান সরকার বলছে যে তেলের উপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেন ন্যাটো বাহিনী এই তেল না ব্যবহার করতে পারে।
ইরানি নেতাদের ছবি আগুনে পোড়ানো
এই ভিডিওটি প্রদর্শন করছে যে বিক্ষোভকারীরা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনি এবং রাষ্ট্রপতি আহমেদিনেজাদের ছবি আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। জনতা উল্লাসধ্বনি দিচ্ছে, “আহমাদিনেজাদ এবং খামেনি নিপাত যাক”।
ইরানি বন্দী, ঘটনার শিকার আফগান নাগরিকরা
রেডিও কোচেহ আজকের বিক্ষোভের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এই বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা, ইরানে ঘটনার শিকার বেশ কিছু আফগান নাগরিক এবং জেল বন্দী ইরানি রাজনৈতিক কর্মীর ছবি বহন করে (উপরে)
রেডিও কোচেহ লিখছে যে ডজন খানেক প্রতিবাদকারী কাবুলে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে পাথর নিক্ষেপ করে।
পোরতেগাল ফারোশ (যার অর্থ, ‘কমলালেবু বিক্রেতা’) লিখেছে যে [ফার্সী ভাষায়] ৭ জানুয়ারী শুক্রবার তারিখে, ইরানের বিরুদ্ধে আরেকটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর কারণ ইরান ২০০ তেল বহনকারী গাড়ির আফগানিস্তানে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনায় আফগানিস্তানে তেলের দাম বেড়ে যায়…। আফগান সরকার আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার দায়ে ইরানকে অভিযুক্ত করেছে।
এগহতেসাদ আফগানিস্তান (যার অর্থ আফগানিস্তানের অর্থনীতি) লিখেছে [ফার্সী ভাষায়] যে আফগানিস্তান তার জ্বালানী তেলের সবটাই আমদানী করে এবং তার মোট জ্বালানী তেলের ৩০ শতাংশ আসে ইরান থেকে।