গত মে মাসে অ্যাঙ্গোলার জাতীয় ব্যাংক (বি এন এ) ৫ কোয়ান্জা মুদ্রার কয়েন বাজারে ছাড়ে যা বিদ্যমান ১, ২, ১০, এবং ৫০ কোয়ান্জার মুদ্রার নতুন সংস্করণের সাথে ব্যবহৃত হবে।
এই ব্লগের লেখক ‘হেটে বেড়ানো একটি ছেলে’ এই কয়েনগুলো আবার বাজারে ছাড়ার কারন ব্যাখ্যা করেছে:
Com este objectivo pretende-se defender o consumidor, contribuindo para maior rigor nos trocos e menores perdas por parte deste. Ainda hoje ao almoço, a conta acabava em 7,50 kwanzas o que não me fez receber os 2,50 kwanzas a que tinha direito (mesmo sendo um valor residual, somado muitas vezes, dá um valor grande). Num país com extrema pobreza parece-me uma medida adequada a proteger os mais pobres.
তবে এই মুদ্রার ব্যবহার জনগণের মাঝে কিছু সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। জর্নাল ডে অ্যাঙ্গোলা সংবাদপত্র অনুযায়ী [পর্তুগীজ ভাষার সংবাদপত্র] “অনেকের মতে, এগুলো ঝামেলা বাড়ায়, কারণ দোকানদাররা এগুলো নিতে চায় না।” তবে অনেকে এই নতুন কয়েন গুলোর সপক্ষে কথা বলেছেন এবং মত দিয়েছেন যে পাকা ও কাঁচা বাজার উভয় ক্ষেত্রেই এই কয়েনগুলো চলা দরকার। কারণ বর্তমানে প্রচলিত নোটগুলোর ভাংতি পাওয়া বেশ কষ্টের।
অ্যারোগ্রামা ব্লগের আফন্সো লরেইরো এ নিয়ে লিখেছেন:
Faz sentido que se cunhem moedas para substituir as notas de denominações mais baixas, que se estragam muito depressa. Por trocar de mãos muitas vezes por dia, a vida média de uma nota de 50 kwanzas deve ser de apenas alguns meses, por exemplo.
কয়েনের এই সমস্যাগুলো ম্যানুয়েল গুয়েদেস দোস সান্তা লিমার মত অ্যাঙ্গোলার শিল্পীদেরও নাড়া দিয়েছে যিনি তার ‘কোয়ান্জা’ নামে কবিতাতে কোয়ান্জা নদী এবং একই নামের কয়েন সম্পর্কে একটি কৌতুক করেছেন। মাল্টিব্লগে এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে এবং ব্লগের লেখক বলেছেন যে ‘অ্যাঙ্গোলার আসল মুদ্রা হচ্ছে ডলার’ ।
সত্যি কথা বলতে এই কয়েন প্রচলনের মাধ্যমে অ্যাঙ্গোলার সরকার দেশে ডলারের ব্যবহার কমাতে চাচ্ছে। অ্যাঙ্গোলার রাজনৈতিক এবং সামরিক অস্থিতি অবস্থার কারণে আমেরিকার এই মুদ্রা জাতীয় বাজারে এখন ভ্যাপক প্রচলিত। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ইউনিটা আর এমপিএলএর মধ্যে সংঘাত এই দেশটিকে ৩০ বছর ব্যাপী একটি গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেছে।
ও পাইস সংবাদপত্র অনুসারে দাম নির্ধারণের নীতি প্রণয়ন এখনও বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ অ্যাঙ্গোলার প্রাত্যহিক জীবনে এখনও এই দুই মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে পরিবর্তনে জনগণের অনিচ্ছা, যদিও ভোক্তা সুরক্ষার সংগঠন (ইনাডেক) এর বিপক্ষে। এই অভ্যাস পরিবর্তন সত্যিই কষ্টসাধ্য।