ইরান: বন্দীশালায় দুজন ব্লগার এবং এক ছাত্রনেতার অনশন ধর্মঘট

এই পোস্টার অনেক ব্লগে দৃশ্যমান। এটি বলছে, মাজিদ তাভাকোলি সাহসের সাথে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছে

ইরানের এক কারাগারে অন্যতম দুজন ব্লগার এবং একজন ছাত্র একটিভিস্ট তাদের কলমের উপর হতাশ হয়ে- এখন বন্দিশালার যে দশা, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য অনশন ধর্মঘট শুরু করেছে।

ছাত্রটির নাম মাজিদ তাভাকোলি, সে এক অন্যতম মানবাধিকার কর্মী এবং দুইজন ব্লগার হচ্ছেন হুসাইন রোনাঘ মেলকি ও কোহয়ার গোদারজি

হুসাইন রোনাঘ মেলকি (যিনি “বাবাক কোহরামদিন” নামেও পরিচিত) তিনি ইরান প্রক্সির পেছনের অন্যতম এক সাইবারঅ্যাকটিভিস্ট, যা ইরানে ওয়েব সাইট বন্ধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি মানবাধিকার ও সুশীল সমাজ সম্বন্ধে ব্লগ করেন [ফরাসী ভাষায়]।

যখন ডিসেম্বরে তাভাকোলিকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাকে নারীর পোশাক পরিয়ে কর্তৃপক্ষ তার ছবি তোলে। তাকে অপমান করার উদ্দেশ্য এই কাজটি করা হয়। তার প্রতি সমর্থন প্রকাশের জন্য, অজস্র ইরানী হিজাব পরে নিজেদের ছবি তুলে এবং নিজেদের ফেসবুকের ছবিতে তাদের নতুন এই ছবি স্থাপন করে।

কুহিয়ার গোদার্জির ব্লগের শেষ পোস্টটি প্রকাশিত হয়েছিল এপ্রিল, ২০০৮-এ। সেথানে তিনি তার পাঠকদের মৃত্যুদণ্ড রোধ করার আহ্বান জানান।

গত বছর জুন মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর, ইরানী সরকার সকল প্রতিবাদ দমন করে এবং শত শত রাজনৈতিক এবং সুশীল সমাজের নেতাদের গ্রেফতার করে, যার মধ্যে মানবাধিকার কর্মী, ব্লগার এবং সাংবাদিকরাও অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।

মজিদ ও হুসেইন ২৩ মে তারিখে তাদের নি:সঙ্গ বন্দিদশার বিরুদ্ধে অনশন ধর্মঘট শুরু করে। রেডিও ফ্রি/রেডিও লিবার্টির সূত্রানুসারে, মাজিদ তাভাকোলির অনশন-এর সাথে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কর্মী এবং বুদ্ধিজীবীরা একাত্মতা ঘোষণা করেছে।

ইরানের ব্লগার সাইট লিখেছে [ফারসী ভাষায়]:

মাজিদ, আপনি আপনার অনশন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিন। আমার জন্য আপনি আপনার জীবন উৎসর্গ করবেন, আমি তার যোগ্য নই। যদি আপনি এখানে না থাকেন, তাহলে আমি আর বসন্ত চাই না। আমাদের সাথে থাকুন মজিদ, এখানেই থাকুন।

মারজান তেহরান লিখেছে [ফারসী ভাষায়]:

মাজিদের অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যখন থেকে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে এবং গ্রেফতার হবার আগ পর্যন্ত, সে লড়াই করেছে [স্বাধীনতার জন্য], এখন তার বন্ধুরা সে লড়াই করছে এবং এই বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা তাদের সেরাটাই ঢেলে দিচ্ছে এবং তাকে ভুলে যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরটিতে ইরানী কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ব্লগারকে জেলে ভরেছিল, যাদের মধ্যে হোসেইন দেরাকশানও ছিল, যে এখনো জেলে বন্দী।

১৮, মার্চ-২০০৯ এ তেহরানের ইভিন জেলে ২৯ বছর বয়স্ক ব্লগার ও সাংবাদিক ওমিদ রেজা মীর সায়াফি মৃত্যু বরন করে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .