রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাস (আরএসএফ) এবং গুগুল নারী অধিকার ওয়েবসাইট উই চেঞ্জ এর অনলাইন সাংবাদিকদের ১২ মার্চ সম্মানিত করেছে প্রথম ‘নেটিজেন পুরষ্কার’ দিয়ে। এ্টি একটি নতুন বার্ষিক পুরষ্কার সেইসব ব্যাক্তিদের জন্য যারা অনলাইনে প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করেন। ‘ইন্টারনেটের শত্রুদের’ নিয়ে আরএসএফ এর রিপোর্ট একই দিনে মুক্তি পায়।
উই চেঞ্জ এর পক্ষ থেকে পারভিন আর্দালান এই পুরষ্কার গুগুলের প্যারিস অফিস থেকে গ্রহন করেন। ইরানী নারীদের এই আন্দোলন সব সময়ে প্রতিরোধ দেখিয়েছে… এখন এই প্রচারণা চেষ্টা করছে তাদের অভিজ্ঞতা আর কাজের পদ্ধতিকে গণতান্ত্রিকভাবে সাইবার স্পেসে নিয়ে আসার।
উই চেঞ্জ এর ওয়েবসাইটটি সহায়তা করছে এক ভার্চুয়াল প্রচারণাকে যার শিরোনাম “বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন পরিবর্তনের দাবীতে এক মিলিয়ন সই সংগ্রহ“। এই প্রচারণা ইরানী আইনে নারীদের প্রতি বিভেদ সৃষ্টির সমাপ্তি দাবী করে। একই কারণে শান্তিপূর্ন এক বিক্ষোভের পরবর্তী আন্দোলন হচ্ছে এটি যা প্রথমে ২০০৬ সালের ১২ই জুন তেহরানের হাফত-এ তির স্কোয়ারে হয়েছিল।
এখানে একটা ভিডিও যেখানে উই চেঞ্জ তাদের লক্ষ্য আর ইতিহাসের পরিচিতি জানাচ্ছে:
পারভিন আর্দালান ইতোপূর্বে ২০০৭ সালে ওলাফ পালমে পুরষ্কার পেয়েছিলেন, কিন্তু ইরানী কর্তৃপক্ষ তাকে দেশের বাইরে গিয়ে তা গ্রহণের অনুমতি দেয়নি। তিনি তার বার্তা ইউটিউবে রেকর্ড করেছিলেন:
এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ইরানী ব্লগার জেলে আছেন যেমন নারী ব্লগার আর মানবাধিকার কর্মী শিভা নাজারাহারি। তিনি গত বছর ১২ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে কারাগারে আটক আছেন।