ওবামা প্রশাসন যখন ঘোষণা করেছে যে আরো ১৭,০০০ সৈন্যের বাহিনী যাবে আফগানিস্তানে উঠতি বিদ্রোহ দমন করার জন্য, আফগান ব্লগাররা তখন জানাচ্ছেন আফগানরা প্রতিদিন যে সব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয় যেমন নারীদের জেলে থাকা, দারিদ্র আর রাজনৈতিক টেনশন ইত্যাদি সম্পর্কে।
কাবুলে অবস্থানরত সাংবাদিক আর ব্লগার বাক্তাশ সিয়াওয়াশ লিখেছেন জেলে থাকা নাড়ীদের কষ্ট নিয়ে। এই ব্লগার বলেছেন:
নারীদের জেল: বতর্মানে উত্তরের রাজ্য কুন্দুজ প্রদেশে বন্দী আছে ১০ জন নারী আটটা বাচ্চাসহ যাদের বয়স ৬ থেকে ১০ এর মধ্যে। দুইটা ছোট আর শৌচাগারসহ অন্ধকার একটা কামরাকে জেল বলা হয়। পুল-এ-চারখি আফগানিস্থানের সব থেকে জনপ্রিয় জেল যা আফগানিস্থানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত: কাবুলের জেলে বন্দী নারীদের খুব ভালো অবস্থানে নেই। সাংবাদিকদের অনুমতি নেই পুলচাখরি জেলের মহিলাদের অংশে যাওয়ার।
আমেরিকায় থাকা একজন আফগান ব্লগার আফগানকভার, লিখেছেন যে আফগানিস্তানে এখন জগাখিচুরি অবস্থা আর আমেরিকার সরকারের সাথে টেনশন চলছে। ব্লগার যোগ করেছেন:
আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আফগানিস্তান সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন আল জাজিরার ডেভিড ফ্রস্টের সাথে (যেমন তালিবান, পাকিস্তান, আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর নতুন নির্বাচিত আমেরিকার নেতৃত্বের সাথে তার সরকারের সম্পর্ক)। এটা উল্লেখযোগ্য যে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানের দুনীর্তি নিয়ে, আর ওবামা আফগান সরকারের সমালোচনা করেছেন নেতৃত্বের আর দেখভালের অভাবের জন্য। তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, কারজাই স্বীকার করেছেন ওবামার প্রশাসনের সাথে হালকা সম্পর্কের।
আস্ট্রেলিয়ার একজন পিএইচডি ছাত্র ক্রিশ্চিয়ান ব্লিউয়ার ঘোস্ট অফ আলেকজান্ডারে লিখেছেন যে লন্ডনের একজন পিএইচডি গবেষণার ছাত্রী জেনিফার ম্যাক্কার্থি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানদের মত বাজেটে এক মাস থাকার। তার উদ্দেশ্য সচেতনতা জাগানো আর কিছু অর্থ তোলা। আর এটা কেমন হবে সে সম্পর্কে তিনি তার ব্লগে জানাবেন।
আফগানিস্তানে সব কিছু বিষন্ন বা দু:খের না। আফগানিস্তানে থাকা একজন ব্লগার থ্রুআফঘানআইজ লিখেছেন যে মিরোয়াস মোহসেন হচ্ছেন প্রথম আফগান স্কেটার যা কাবুলে একটা নতুন খেলা।