আজ মঙ্গলবার ২৪ ফেব্রুয়ারী প্রায় ৭০ জন ছাত্রকে তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে যখন তারা ইরান- ইরাক যুদ্ধে শহিদ ৫জন নামহীনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুন: কবর দেয়ার প্রতিবাদ করে। ছাত্ররা বিক্ষোভের বেশ কয়েকটা ভিডিও আর ছবি প্রচার করেছেন ছাত্রদের সংবাদ ওয়েবসাইটে, আমির কবির নিউজ। এই ঘটনার উপর বেশ কয়েকজন ব্লগার রিপোর্ট করেছেন, অনেক ধরনের মতামত আর ব্যক্তিগত ঘটনা বর্ণনা করে।
আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভের একটা ভিডিও নিচে দেয়া হলো, যেখানে ছাত্ররা ইরানী সরকারকে আফগান তালেবানদের সাথে তুলনা করে স্লোগান দিয়েছে: “তালিবানরা নিপাত যাক!”
অন্য ভিডিওতে, নিরাপত্তা বাহিনী দেখা যাচ্ছে ‘বিক্ষোভরত ছাত্রদের আক্রমণ’ করতে, আমির কবির সংবাদ অনুসারে:
বেশ কয়েকজন ব্লগার, যেমন জডানেশজু, একটা বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়েছেন আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ইসলামিক সংঘের করা সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে। এই ছাত্র সংঘ কর্তপক্ষের সিদ্ধান্তকে তিরষ্কার করেছে অজ্ঞাতনামা শহীদদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কবর দেয়া নিয়ে আর দাবী করেছে যে এটা নিরাপত্তা বাহিনীর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার একটা অজুহাত, আগের থেকে বেশী ছাত্র অন্দোলনকে চেপে রাখার জন্য।
ঘোমার আশেঘানে বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে কবরস্থানে পরিণত করতে আর যোগ করেছেন:
دانشگاه را با قبرستان اشتباه گرفتهاند؛ که نه؛ میخواهند قبرستاناش کنند. همین که بسیاری از دانشجویان یا در زندان هستند … دانشگاه را تبدیل به قبرستان کرده است. همین که بسیاری از اساتید برجسته با کارنامههای ممتاز علمی از دادن درس و آموزش محروم میشوند خود دانشگاه را تبدیل به قبرستان کرده است. همین که احمدینژاد جرات نمیکند با دانشجویان دیدار کند و در روز تعطیل به دانشگاه میرود، خود دلیلی است برای قبرستان کردن دانش گاه
জমহুর বলেছেন যে ছাত্ররা এই প্রোজেক্টের বিরুদ্ধে কারন কর্তৃপক্ষ যুদ্ধের শহীদদের ব্যবহার করেছেন তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করার জন্য। তিনি যোগ করেছেন যে রক্ষণশীল ফার্সি সংবাদের ওয়েবসাইট উস্কানিমূলক গল্প ছাপিয়েছে আর পরিশেষে ছাত্রদেরকে মারা আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হেজবোল্লাহ ব্লগের অন্য মত আছে আর বলেছে যে কিছু ছাত্র – যারা সরকারের আর্থিক সাহায্যের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে – স্লোগান দেয়া শুরু করেন ‘একনায়ক নিপাত যাক’, ‘ বাসিজিরা নিপাত যাক’ বলে… তিরষ্কার করে ব্লগার বলেছেন যে আজকের সময়েও শহীদ নিয়ে কথা বলা লজ্জার ব্যাপার। তিনি পরিশেষে বলেছেন: “আমি জানিনা আমরা কোথায় থাকতাম আর কি হতো আমাদের যদি এই শহীদরা যুদ্ধে না যেত।”