ইন্দোনেশিয়ায় সামাজিক মাধ্যমগুলির শক্তি আবারও প্রকাশ পেল যখন পুলিশ ও কিছু রাজনীতিবিদদের দ্বারা হয়রানীর স্বীকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সমষ্টিগতভাবে দুর্নীতির তদন্তকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (কেপিকে) অনলাইন সহায়তা বর্তমানে অফলাইন প্রচারণা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে যখন নেট নাগরিকরা পুলিশের অভিযানের এবং এজেন্সির ক্ষমতা হ্রাসের জন্য সংসদের প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির দুর্নীতি সম্পর্কে কার্যকরভাবে তদন্ত থেকে কেপিকে বিরত রাখার জন্য অনেকেই পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহারকে দায়ী করছে।
সরকারের দুর্নীতি উন্মোচন করার জন্য টুইটার হ্যাশট্যাগ #সেভকেপিকে ব্যবহার করে কেপিকে এর প্রতি জনসাধারণ সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। অন্য আরেকটি জনপ্রিয় হ্যাসট্যাগ হচ্ছে #ডাইমোনাএসবিওয়াই (রাষ্ট্রপতি কোথায়?) সম্ভবত ইন্দোনেশিয়ার নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল যাতে পুলিশ কেপিকে এর সাথে স্বাভাবিক আচরণ করে। দুটি প্রধান হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে কিছু টুইটার বার্তা নীচে প্রদান করা হলো:
@ডিলাকারিনটা আপনি কি কল্পনা করতে পারেন একজন প্রকৃত রাষ্ট্রপতি তার দেশের পুলিশ প্রধান দ্বারা ভীত হচ্ছেন? উত্তম, এ বিষয়ে কল্পনা করার প্রয়োজন নেই। #সেভকেপিকে
@লারাসাটিটা #সেভকেপিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ভীতি প্রদর্শন বন্ধ কর। আশাবাদী হোন, আমাদের সন্তানদের জন্য উন্নত ইন্দোনেশিয়া নিশ্চিত করি!
@মুনাহুসিন ১ এই দেশে সকল নষ্টের মূলে রয়েছে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ! #সেভকেপিকে
@রুডাংগা এসবিওয়াই এর অনুপস্থিতি আলোচিত হচ্ছে এবং জনতা পুলিশের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। #ডিমানাএসবিওয়াই এই সকাল কার্যকরী।
@ফারাহওয়ারদানি এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদ। ২০১৪ পর্যন্ত তিনি সম্ভবত তার আসনের উষ্ণতা বৃদ্ধি করবেন এবং সুবিধাদি ভোগ করতে থাকবেন। আমি নিশ্চিত তিনি সেরকম ভাবছেন। #ডিমানাএসবিওয়াই
ইন্দোনেশিয়ার অনেক শহরে কেপিকে এর সমর্থনে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজেক্টিং ইন্দোনেশিয়ার মতে বিনোদন জগতের তারকাসহ মধ্যবিত্তের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রতিবাদে ছিল:
আমরা একটি বিষয় উল্লেখ করতে পারি: মধ্যবিত্ত স্বরূপে এবং সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে উপস্থিত।
রাজনৈতিকভাবে সচেতন (যদিওবা রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়) ইন্দোনেশিয়ার মধ্যবিত্ত শ্রেণী বর্তমানে প্রতীক হয়ে উঠেছে। কমপক্ষে, মধ্যবিত্ত শ্রেণী টেউ তুলতে সক্ষম হয়েছে যারা রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চায়।
হোরজানতো সোবডজানতোরো বর্ণনা করেছেন জনতা দুটি কারণে সহিংস হয়েছে:
কেপিকে নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করেছে। প্রথমটি হচ্ছে আইন প্রণেতাদের কেপিকে বিষয়ে আইন নং ৩০/২০০২ সংশোধনের উদ্যোগ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে কেপিকের তদন্তকারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের উদ্যোগ। সেভ কেপিকে
যখন এটি লেখা হচ্ছে, তখন ১৮,০০০ ফেসবুক ব্যবহারকারীর পছন্দ ফেসবুকের সেভ কেপিকে পেজ।