২০১২ সালের ১৯ মে, দশ হাজার লাল শার্ট বিক্ষোভকারী থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কেন্দ্রে সরকারবিরোধী আন্দোলনের উপর পুলিশ ও সামরিক হামলার দুই বছর পূর্তি পালন করেছে। ২০১০ সালের মে তে সড়ক নির্যাতনের ফলে ৯০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। লাল শার্টের অনেক সদস্যরা এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সমর্থক যিনি ২০০৬ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান।
লাল শার্ট আন্দোলনের এই ভয়াবহ বিস্তৃতি ২০১০ সালে আভিসিত ভেজ্জাজিভা সরকারের জনপ্রিয়তা ধ্বসে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। আভিসিতের দল গত বছর নির্বাচনে হেরে গেছে। থাইল্যান্ডের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকসিনের ছোট ছোট বোন।
ঐ কর্মসূচির ছবিগুলো ফেসবুক ও ফ্লিকারে পাওয়া যাবে। এখানে কিছু ছবি দেয়া হলঃ
র্যালিতে রবার্ট অ্যামস্টারডামের বক্তৃতার একটি ভিডিও ক্লিপ। অ্যামস্টারডাম থাকসিনের উকিল। কয়েকজন নেট নাগরিক লাল শার্টের কর্মীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেনঃ
@রম সেনাকান্ত দুঃখী মানুষের দল…তারা ভাবছে তারা কোন কারণে লড়ছে কিন্তু আসলে তারা তাদের এক ঘনিষ্ঠজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন বা থাগ-সিন কর্তৃক ব্যবহৃত হচ্ছে।
@রিক_লয়েস লালের লোকরা ন্যায়বিচারের আহ্বান করছে http://bit.ly/Jv8Ien – সাধারণ ব্যাপার – লালের সমর্থকরা শহর অবরোধ করল এবং ৯১ জন লোক মরল। লাল নেই মৃত্যু নেই।
@আগাম_টি আজ, আমি অগ্নিকান্ড ও ভয়াবহতা #RedShirts শেষ হওয়ার দুই বছর পূর্তি পালন করছি। ১৯মে সেই দিন যেদিন আমরা আমাদের শহর ফেরত পেয়েছি।
২০১০ সালে নিহতদের জন্য যারা ন্যায়বিচার চেয়েছিল তাদের কারণে কিছু লোক প্রতারণা করে থাকসিনের একতার ডাক ব্যাহত করেছিলঃ
@ফ্রিকিংক্যাট রা চপ্রাসং-এ লাল শার্টদেরকে কি মগজধোলাই দেয়া হয়েছে যে তারা থাকসিনের প্রতারণামূলক কথায় খুশি হল। ঐ বিলিয়নিয়ারের লোভের জন্য ৯৩ জন মরেছে
@স্টিভিজেল লাল আন্দোলনের সময়ে থাকসিন ও তার বোন উভয়ই পিছু হটেছিলেন। রবার্ট অ্যামস্টার্ডাম লালদের কাছ থেকে তা লুকানোর চেষ্টা করছেন। এটি খারাপ।
ট্যামি র্যালিতে অংশ নিয়েছেন এবং থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে পর পরিবর্তনের অভাব নিয়ে মন্তব্য করেনঃ
আমি রা চপ্রাসং-এ লাল শার্ট আন্দোলনের উপর হামলার ২ বছর পূর্তি পালন করে ফিরে এসেছি, যে ২ বছর আগে প্রায় ১০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল।
থাইল্যান্ডে যারা গণতন্ত্র, আইন ও অনেক অনিয়মের মূল কারণ খুঁজছেন তাদের জন্য নতুন সংবিধান হতাশামূলক। মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক বন্দীদের কারাভোগ ও মৃত্যু তদন্ত ছাড়াই চলতে থাকবে এবং কোন সমাধান হবে না।
এর মধ্যে, একটি সরকারি অনুসন্ধানমূলক সংস্থা পরিশেষে বলেছে যে, ২০১০ সালে হামলায় ২৫ জনের মৃত্যুর জন্য সরকারি শক্তি দায়ী।