ভাষাকে ‘উপনিবেশমুক্ত’ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার

বোথ নোমাড/ডিএএলএল-ই ২ এর চিত্রণ, অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

আমাদের “মহান মানবিক আখ্যান” অতিক্রমের কথামালা তৈরির জন্যে একটি নতুন ভাষা, নতুন আখ্যান, নতুন বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং সরঞ্জামাদি খুঁজে পাওয়া দরকার। প্রযুক্তি সাহায্য করতে পারে কি?

এই গত মাসে আমাদের অনেকেই নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত  চ্যাটজিপিটির “ম্যাট্রিক্স” এর মতো কার্যকারিতা সম্পর্কে শুনেছি যা নাগরিকদের উদ্বিগ্ন, হতবাক এবং ভয় থেকে উৎসাহ পর্যন্ত আরো বেশ কয়েকটি মানসিক অবস্থায় নিপতিত করেছে।

বেশিরভাগ নাগরিক সমাজ সংগঠন ও সক্রিয় কর্মীদের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের সুযোগ থেকে গেলেও বিশেষত উন্নয়ন খাতে ভাষাকে “উপনিবেশমুক্ত” করার উদীয়মান প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারী বেশ কয়েকটি উদ্যোগের আবির্ভাব ঘটছে।

উন্নয়ন ভাষা কি ঔপনিবেশিক?

উন্নয়নের ভাষা ঔপনিবেশিক কিনা তা একটি জটিল এবং বিতর্কিত প্রশ্ন। ঔপনিবেশিত জনগণের উপর ইউরোপীয় ভাষা এবং সংস্কৃতি আরোপ করা উপনিবেশবাদ প্রক্রিয়াটির মূল উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি তাদের ভাষা চাপিয়ে দিয়ে প্রায়শই আদিবাসীদের ভাষাগুলিকে ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়। প্রায়শই আদিবাসী ও সংখ্যালঘু ভাষাগুলি বাদ দেয় এবং ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের নিদর্শনগুলিকে শক্তিশালী করে বলে উন্নয়নের ভাষাকে এই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

“ভাষা একটি সম্প্রদায়ের পরিচয় এবং ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমরা ভাষাগুলি হারানোর সাথে সাথে আমরা আমাদের সম্মিলিত ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি অংশ হারিয়ে ফেলতে পারি। প্রযুক্তি আমাদেরকে এই ভাষাগুলি সংরক্ষণ ও প্রচারে সাহায্য করতে পারলেও সেটা করতে হবে শ্রদ্ধা ও অন্তর্ভুক্তির সাথে,” বলেছেন ব্যবহারকারীদের আদিবাসী ভাষার অডিও-ভিডিও রেকর্ডিং অনুসন্ধান এবং পেতে দেওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ভাষা সংরক্ষণাগারযুক্ত মঞ্চ  ফার্স্টভয়েসেসের গবেষণা নেতৃত্ব অঞ্জু মেরি পল।

“আমরা ফরাসি বা ইংরেজিকে উন্নয়নের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করি বলে আফ্রিকার কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি উপজাতীয় ভাষা থাকায় তা একটি সমস্যা। আমাদের ব্যবহৃত ভাষাটি জনগণ বুঝতে না পারলে কী ঘটে?” জিজ্ঞেস করেছেন উগান্ডা জাতীয় এনজিও ফোরামের (ইউএনএনজিওএফ) নির্বাহী পরিচালক ড. মোজেস ইসুবা।

শব্দভাণ্ডার ও ভাষার আদর্শনমুনা

ইসুবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সুস্পষ্টভাবে কম নয়া-ঔপনিবেশিক, যৌনতাবাদিতা বা বর্ণবাদিতা (বা বিহীন) আরো অন্তর্ভুক্ত যোগাযোগ চালু করতে সক্ষম একটি ভাষা ও শব্দভাণ্ডারের আদর্শনমুনা বিকাশকারী একটি দলের অংশ। ধারণাটি হলো আন্তর্জাতিক সহায়তা কমপ্লেক্স ও উন্নয়ন খাতে জড়িত নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলিতে “আরোপিত” অগ্রহণযোগ্য অপভাষা, বাগধারা ও পরিভাষা সম্বলিত শব্দভাণ্ডারের প্রতিবিধান ও প্রতিস্থাপনের জন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ অন্বেষণ করা।

দলটি দুটি উপায়ে শক্তি স্থানান্তরের জন্যে একটি শব্দভাণ্ডারের নকশা করছে: প্রথমে একটি নতুন সন্ধান-ও-প্রতিস্থাপনের মতো কার্যকারিতা ব্যবহার করে আরো অন্তর্ভুক্ত যোগাযোগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে সমস্যাযুক্ত ভাষা বিলুপ্ত করে এবং দ্বিতীয়ত জনগণকে সাধারণভাবে উগান্ডায় ব্যবহৃত ভাষা লুগান্দায় তাদের কাজ পরীক্ষা করার মাধ্যমে তাদের নিজস্ব স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করতে সক্ষম করে।

“দেরাজ কর্মকর্তা” বা “সরেজমিন” এর মতো শব্দাবলী ঔপনিবেশিক যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। ড. ইসুবা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলি প্রায়শই তাদের বৈশ্বিক দক্ষিণের দপ্তরগুলিকে “ঔপনিবেশিক ফাঁড়ির মতো” “দেশীয় দপ্তর” উল্লেখ করে অবশিষ্ট দড়ি দিয়ে আমাদেরকে ঔপনিবেশিক জাহাজের সাথে বেঁধে রাখে,” ড. ইসুবা বলেছেন। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেছেন:

“ভাষা উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে কর্মকাণ্ডের শর্তাদি নির্ধারণ করে বলে ভাষাকে ঔপনিবেশিকতামুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাষাকে যতটা সম্ভব রাজনীতি ও ঔপনিবেশিকতা মুক্ত করা দরকার। উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা রাজনৈতিক হলেও আমাদের ভাষার নিরপেক্ষ থাকা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলি আসবে এবং যাবে, তবে আমাদের ভাষাটি ক্ষমতায় থাকা মানুষদের অনুকরণ করতে শুরু করলে বিশেষত আখ্যানগুলির পিছনের উদ্দেশ্য অসৎ হলে বৈষম্য থেকেই যাবে।”

বোথ নোমাড/ডিএএলএল-ই ২ এর চিত্রণ, অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

আমরা শুধু শব্দসংক্ষেপ দিয়ে কথা বলতে পারি না

“উন্নয়নের ভাষা এতটাই অপভাষায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে যে এমনকি আমাদের নিজেদের পরিবারগুলিও আর বুঝতে পারে না যে আমরা কী নিয়ে কাজ করছি,” স্বেচ্ছাসেবী কর্ম নেটওয়ার্ক ভারত (ভিএএনআই) এর হর্ষ জেটলি ব্যাখ্যা করেছেন।

আমাদের উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া সবচেয়ে ভাল বা খারাপ সরঞ্জামের মধ্যে ভাষা একটি। এখন ভুল তথ্য ও আক্রমণে জর্জরিত অনলাইন মহাবিশ্বে বিভিন্ন কর্মী ও নাগরিক সমাজ সংগঠন নাগরিক স্থান সংকোচনের পরিবর্তে প্রসারিত করতে “নতুন আখ্যান” এর দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

বিগত কয়েক বছরে অনেক উদ্যোগ ও সংস্থা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ভাষাকে মিলিয়ে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ একটি তৃণমূল, সম্প্রদায়-চালিত উদ্যোগ মাসাখানে ডিজিটাল যুগে আফ্রিকীয় ভাষার সংরক্ষণ ও প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) সরঞ্জাম ও নমুনা তৈরির কাজ করছে। ব্যাখ্যা এবং অনুবাদও খেলাটির একটি অংশ বলে সংস্থাগুলি এখন বিনামূল্যের উন্নয়ন পরিভাষার চিচিওয়া-ইংরেজি অনুবাদ নির্ঘণ্ট তৈরির মতো বর্ণালীটিকে আরো বিস্তৃত করার কাজ করছে। জনগণের জন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি স্থাপনের পক্ষে প্রচারণায় মনোনিবেশ করেছে। এছাড়াও এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্প্রদায়ের জড়িত থাকার জন্যে সংস্থান ও প্রশিক্ষণ সরবরাহ করে।

তবুও প্রযুক্তিতে ভাষার বিশাল ব্যবধান পূরণ করতে সাহায্যকারী মঞ্চ নিউরালস্পেসের মতে এনএলপি সমাধানের ৯০ শতাংশ শুধু ইউরোপীয় ভাষাগুলিতেই পাওয়া যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাকি ছয় শত কোটি লোকের ভাষার বাধা “ডিজিটাল বর্ণবাদী” ছাঁচটি ভেঙে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। কিভাবে? উদাহরণস্বরূপ জটিল অনুবাদ ব্যবস্থা বা ভাষা শেখার ব্যবহারিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভাষার ব্যবধানগুলিকে জোড়া দিয়ে। অন্যান্য উপায়ের মধ্যে রয়েছে চাক্ষুষ অক্ষর সনাক্তকরণ অথবা কথা সনাক্তকরণের মাধ্যমে ডিজিটাল সংরক্ষণাগার তৈরি করা এবং সর্বব্যাপ্ত “ঔপনিবেশিক”গুলির তুলনায় দেশীয় ভাষায় বেশি বিষয়বস্তু সহজলভ্য করে।

তবে এগুলির সব (আসলেই) সত্য হলে খুব ভাল হতো। ভাষাকে উপনিবেশমুক্ত করার আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিজেকেই উপনিবেশমুক্ত হতে হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আপাত বিরোধিতা

আমাদের যোগাযোগের ধরন রূপান্তরের ক্ষমতা থাকলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিদ্যমান পক্ষপাতিত্বকে আরো বাড়িয়ে তোলার নিখুঁত সম্প্রচারকও বটে। নানিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সৌজান্যা পোরিয়া বলেছেন, “আমাদের ভাষার মডেলগুলিতে পক্ষপাতিত্বের বিষয়গুলি সমাধান এবং সকল ব্যবহারকারীর অন্তর্ভুক্তি ও  প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা উচিত।”

প্রশিক্ষিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভাষা ইতোমধ্যে “বিকৃত” এবং পক্ষপাতদুষ্ট মানবিক চিন্তাভাবনা ও আচরণ প্রতিস্থাপনে অক্ষম হতে পারে।

“সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও প্রভাবশালী আখ্যানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যে ভাষাকে উপনিবেশমুক্ত করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির এই প্রক্রিয়ার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকলেও আমাদের কাটিয়ে উঠতে চাওয়া বর্জন ও প্রান্তিককরণের একই নিদর্শন প্রতিলিপি না করার ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে,” ড. ইসুবা বলেছেন।

আমরা চ্যাটজিপিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঔপনিবেশিক, বর্ণবাদী বা যৌনতাবাদী ভাষার প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে কিনা জিজ্ঞেস করায় এটি উত্তর দিয়েছে:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভাষার একটি নমুনা হিসেবে আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, মূল্যবোধ বা পক্ষপাতিত্ব ধারণ বা প্রকাশের ক্ষমতা না থাকলেও আমি আমাকে প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত ডেটাগুলিতে পক্ষপাতিত্ব থাকার সম্ভাবনা স্বীকার করি। আমি সঠিক, নিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিকল্পনা ও ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাগুলির বিকাশ ও ব্যবহারের সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের নিজস্ব পক্ষপাতিত্ব প্রোথিত করতে পারে। ফলে এই সম্ভাব্য পক্ষপাতগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমগুলি নৈতিক, অন্তর্ভুক্ত ও দায়িত্বশীল পদ্ধতিতে তৈরি ও ব্যবহার করার প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাতে কৃষ্ণাঙ্গ এর টিমনিত জেব্রুর ভাষায়, আমাদের “পরিষ্কার” ও “নোংরা” ডেটার চিন্তা থেকে সরে গিয়ে বাস্তব বিশ্বের বৈচিত্র্য প্রতিফলিত করা ডেটার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

“এটি করার সর্বোত্তম উপায়গুলির মধ্যে একটি হলো নিজেদের পক্ষপাতিত্ব স্বীকার করে এর সমাধান করতে পারা ডেটা বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন দল গড়ে তোলা।”

সাবেলো মাহলম্বি এবং অন্যান্য পণ্ডিতরা “পশ্চিমা কেন্দ্রিক পক্ষপাতিত্বের বাইরে গিয়ে” “মর্যাদাপূর্ণ আর্থ-প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ” তৈরি করতে সম্প্রতি উপনিবেশমুক্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইশতেহারের খসড়া করেছে। এর পাশাপাশি নাগরিক সমাজও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে জনসাধারণের আলোচনা ও বিতর্কে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে ক্রমবর্ধমানভাবে জড়িত হচ্ছে। তবুও টুইটের জন্যে গ্রেপ্তার কেনিয়ার এমওয়ারিমি এমটেমি ওয়া কায়ামার মতো বেশ কয়েকজন নাগরিক সমাজ নেতা ও কর্মী যুক্তি দেয় যে প্রযুক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে প্রান্তিক কণ্ঠস্বরকে উদ্দেশ্যমূলক বর্জন কাঠামোগত সহিংসতার একটি রূপ।

“আমাদের প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকারকে একটি মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং টেবিলে প্রত্যেকের জন্যে একটি আসন নিশ্চিত করার জন্যে কাজ করতে হবে,” কায়ামা বলেছেন।

ডিজিটাল অধিকার ও লিঙ্গ প্রচারক ডিয়ান অলিভান আমাদের জানান একটি নয়াঔপনিবেশিক কাঠামোর মধ্যে এই  জায়গাগুলির অবস্থানের কারণে কীভাবে প্রান্তিককৃতদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবেশ থেকে “আবদ্ধ” করে রাখা হয়েছে:

অবদান ও সাফল্যের জন্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূলধন থাকায় এই কথোপকথনে নিয়মিত অংশগ্রহণকারীদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রতিনিধিত্ব ও অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: এই কথোপকথনগুলি কোথায় হচ্ছে? অংশ নিতে আমাকে কী করতে হবে? তারা কোন ভাষায় অর্থ ভাগাভাগি করছে? ঘরে কার কণ্ঠস্বর সবচেয়ে উচ্চকিত? এই কথোপকথনের পরে কী ঘটে, জবাবদিহিতার কাঠামো কী?

ডিজিটাল অধিকার নীতিনির্ধারণ ও ইন্টারনেট প্রশাসনের এই “পরামর্শমূলক” সম্মেলন আহ্বানের পরে আমরা সকলেই আবার আমাদের প্রবেশাধিকারের এবং ধরে রাখা তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া না দেওয়া এবং এই মঞ্চে থাকার অনুমতির অধিকারীদের একই ডিজিটাল শক্তি কাঠামোগুলিতে ফিরে যাবো, অলিভান বলেছেন:

শুরু থেকেই পুঁজিবাদী ইন্টারনেট নয় সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সম্প্রদায় ও অবকাঠামোর রূপান্তরযোগ্য লেন্সের প্রয়োজন – এগুলি সৃজনশীলতা, ভাগাভাগি, যত্ন, সম্মতি এবং মঙ্গল দ্বারা পরিচালিত; তারা নজরদারি অবকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং এড়িয়ে যেতে চায়। আর আমরা প্রথমে সংকীর্ণ কক্ষের সবচেয়ে চাতুর্যপূর্ণ উচ্চকিত কন্ঠস্বর থেকে আমাদের দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে দরজা দিয়ে এমনকি ভেতরে যেতে না পারাদের স্থান দিয়ে তাদের খুঁজে বের করতে এটা তৈরি করবো।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .