মেক দারার এই সম্পাদিত নিবন্ধটি মূলত কম্বোডীয় একটি স্বাধীন সংবাদ সাইট ভিওডি নিউজে প্রকাশিত হয়েছিল এবং একটি বিষয়বস্তু ভাগাভাগি চুক্তির অংশ হিসেবে গ্লোবাল ভয়েসসে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।
মালদ্বীপের আকাশ রঙের সমুদ্রে হুন সেনের একা সাঁতার কাটার একটি ছবি একজন ফেসবুক মন্তব্যকারীকে মুগ্ধ করতে পারেনি: “হ্যাঁ, আমাদের সৈকতগুলি সবচেয়ে সুন্দর, কিন্তু আমাদের নেতারা বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা, তাই না?”
হুন সেনের অ্যাকাউন্ট খেমার ভাষায় পোস্ট করা মন্তব্যটি পুলিশী তদন্তের আহ্বান জানিয়ে একটি দ্রুত প্রতিক্রিয়ার অনুরোধ করে। জবাবে “ প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দেরিতে “এটি একজন দুষ্ট লোকের কথা” এমন একটি মন্তব্য করে লিখেছে, “দয়া করে পুলিশ, খুঁজে বের করো এ কোথায় আছে?”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খিউ সোফেক ১৬ জানুয়ারি বলেছেন কর্তৃপক্ষকে “অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।“
এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়—এটা দেশের নেতাকে অপমান করা … এমনকি আমার কাছেও এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
যারা বিদেশে থাকে তারা কিছু বলতে পারে, কিন্তু কম্বোডিয়াতে তারা পারে না।
কারাগারে ভিড় থাকলেও এই মানুষগুলোকে রাখার যথেষ্ট জায়গা আছে।
তিন দিনের সরকারি সফরে হুন সেন মালদ্বীপে গেলে স্নানের পোশাক পরে তার ঘরের বাইরে সমুদ্রের পাশে বিশ্রাম নেওয়ার ছবি তোলা হয়। রবিবার শেষবেলায় তিনি পোষ্ট করেন: “মালদ্বীপের সমুদ্রে একটি ডুব, ঘরের পাশের নোনা ও পরিষ্কার জলে পূর্ণ বাথটবে।” পোস্টটিতে ১৯,০০০ এর বেশি মন্তব্য পড়ে যাদের বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে ফেসবুক ব্যবহারকারী “ভার টু” “নোংরা” নেতা মন্তব্য করে জোয়ারের বিরুদ্ধে যান।
মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যাডহকের মুখপাত্র সোয়েং সেনকারুনা বলেছেন যে একটি গণতান্ত্রিক দেশে একজন জনসাধারণের বিরুদ্ধে অনলাইনে সমালোচনা অনিবার্য, তাই এই ধরনের মন্তব্য কম শক্তি দিয়ে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন। “আইনি পদক্ষেপ ব্যবহার করা হলে তা সমালোচনার জন্ম দিবে,” সেনকারুনা বলেন।
হুন সেন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে নিয়মিত ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার করেন এবং ফেসবুকে মন্তব্যের জন্যে অনেক সরকারি সমালোচককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। সরকার বছরে শত শত পোস্টকে সরকারের সমালোচনা করার উস্কানি হিসেবে বিবেচনা এবং এমনকি সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহারকারীদের “ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও বা ইশারার কমেডি”র জন্যে সতর্ক করে থাকে।
আলাদাভাবে বাটাম্বাং প্রাদেশিক পুলিশ রবিবার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তাদের “কর্মক্ষমতা” নিয়ে সমালোচনা করা একটি ফেসবুক পোস্টের জন্যে একজন নারীকে তলব করেছে৷ প্রাদেশিক পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এটি কর্মকর্তাদের দোষ ছিল কিনা তদন্ত করে তাদের শৃঙ্খলায় অথবা পোস্টদাতার অশ্লীলতা ব্যবহারে ভুল থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনতে চায়।
“বিষয়টি কেবল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার মাধ্যমে শেষ হতে পারে না। অনুগ্রহ করে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করুন এবং সাক্ষী হিসেবে এই অ্যাকাউন্টে মন্তব্যকারীদেরও স্পষ্ট করতে এগিয়ে আসা উচিত,” একটি সামাজিক গণমাধ্যম মিডিয়া পোস্টে প্রাদেশিক পুলিশ বলেছে।
৪০ বছর বয়সী ছোন আনিনার বিরুদ্ধের সমনটি তাকে সোমবার সকাল ৯টায় “ট্রাফিক পুলিশকে অপমান করা ফেসবুক পোস্টের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। … ব্যক্তিটিকে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রসহ অবশ্যই সময়মতো উপস্থিত হতে হবে।”
আনিনার পোস্টে বলা হয়েছে যে হেলমেট পরা সত্ত্বেও ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামিয়ে তাকে ৬০ হাজার রিয়েল বা প্রায় ১৬০০ টাকা দিতে বলে। “পাগলামো মনে হওয়ায় আমি তাদের সাথে তর্ক করেছি। … আমি তো ভুল করিনি।” তিনি লিখেছেন. “জারজগুলি তাদের নিজেদের লোকদের সাথে প্রতারণা করছে।”
প্রাদেশিক পুলিশের ডেপুটি পভ ভ্যান্ডি জানিয়েছেন, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঐ নারী হাজির হননি। “সাধারণত আমাদের জারি করা দুই বা তিনটি সমনের পরও তিনি হাজির না হলে আমরা তার বিরুদ্ধে অপমানের মামলা করতে পারি।”