নিচের এই লেখাটি চাই-খানা.অর্গ এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধ এবং এটি অংশীদারিত্বের এক চুক্তি অনুসারে গ্লোবাল ভয়েসেস এ পুনরায় প্রকাশ হয়েছে।এই লেখা এবং এর ভিডিও লিলিত মিখতারিয়ানের।
বালক বয়সে সামভেল মিকায়েলিয়ান প্রতিবেশী এক মহিলার বিশাল তাঁতের মাঝে মাকু দিয়ে আঙ্গুল চালনা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতেন বিশেষ করে যখন সে মহিলা সুতা দিয়ে কার্পেটে ঢেউ তুলে গিট বাঁধতেন। সেই থেকে সামভেল কার্পেট বুনন এর কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন- যদিও আর্মেনীয় ঐতিহ্য অনুসারে মেয়েদের কাজ হিসেবে এটি নিন্দনীয়।
প্রাপ্ত বয়স্ক এক পুরুষে পরিণত হয়েও মিকায়েলিয়ান তার স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে রইলেন। এখন তার বয়স ৫৩ বছর, আর এখন তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করেন কার্পেট বুনন এর ক্ষেত্রে লিঙ্গীয় কোন পরিচয় নেই।
তিনি সপ্তাহে তিন দিন কাজ করেন, আর সাথে থাকেন একই গ্রামের দুজন সঙ্গী তারা হচ্ছে সারবুহি মারটিওরসিয়ান এবং মার্টা গাসপারিয়ান। তারা রাজধানী ইয়ারাভান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাসুনিক নামের এক গ্রামের সংস্কৃতির গৃহে (হাউজ অফ কালচার) এই কার্পেট বুননের কাজটি করে থাকেন। ১৯৭০ এর দশকে সামভেল এর পরিবার সোভিয়েত ইউনিয়নের আজারবাইজান থেকে এখানে এসে বসতি গড়েন। এরপর থেকে সে ও তার পরিবার এই সাসুনিক গ্রামে বাস করে আসছে। তার নানি যে কিনা তুরস্কের এক আর্মেনিয় নাগরিক ছিলেন তিনিও ছিলেন কার্পেট বুননে দক্ষ। কিন্তু আর্মেনিয়ায় এসে তিনি আর কোনদিন কার্পেট বুনন এর কাজ করেননি।
এর বাইরে সপ্তাহের কয়েকটি দিন মিকায়েলিয়ান এর নানান ধরনের কাজ করতে করতে কেটে যায়। তিনি ঘরে লাভাশ নামের রুটি ভাজেন, লাভাশ হচ্ছে সাধারণ আর্মেনিয়া প্রচলিত নরম পাতলা এক ধরনের রুটি যা তন্দুর রুটির চুলায় ভাজা হয়, এছাড়া তিনি বাকী সময় দর্জির কাজ করেন। স্ত্রী বিহীন সামভেল তার দুটি সন্তানকে মানুষ করছেন।