প্রকল্পটির “আদিবাসী ভাষা(সমূহে)র সুরক্ষা, প্রচার ও পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান” এর স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠান (আইএমএলআই) রাইজিং ভয়েসেস অ্যাক্টিভিস্মো লেঙ্গুয়াস (ভাষার ডিজিটাল সক্রিয়তা) উদ্যোগকে সম্মানজনক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পুরষ্কার ২০২১ প্রদান করেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আইএমএলআইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি ছোট অনুষ্ঠানে এই পুরষ্কারটি প্রদান করেন।
এই বছরই প্রথম আইএমএলআই ভাষা-সংক্রান্ত কাজের জন্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে ঘোষণার পর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিশ্বব্যাপী পালিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মরণে এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। দ্বিবার্ষিক এই পুরষ্কারের মানদণ্ডের মধ্যে “মাতৃভাষার সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনমূলক বিশেষ অবদান” রয়েছে।
মেক্সিকোর ওক্সাকাতে অনুষ্ঠিত আদিবাসী ভাষার ডিজিটাল সক্রিয়তার প্রথম সমাবেশের সহ-সংগঠক গ্লোবাল ভয়েসেসের প্রান্তিক এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বিভাগ রাইজিং ভয়েসেস ২০১৪ সালে লাতিন আমেরিকা-কেন্দ্রিক অ্যাক্টিভিস্মো লেঙ্গুয়াস (ভাষা সক্রিয়তা) উদ্যোগের সূচনা করেছিল। সেই প্রাথমিক বৈঠকের পর থেকে সতীর্থ শিক্ষণ ও বিনিময়ের স্থান ও নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কলম্বিয়া, পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা এবং চিলিতে একই জাতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই ইভেন্টগুলি ছাড়াও রাইজিং ভয়েসেস চারটি দেশে ডিজিটাল সক্রিয়তার ক্ষুদ্রাকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সমর্থন, দুটি অংশগ্রহণমূলক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা, ডিজিটাল প্রকল্পগুলির একটি অনলাইন নির্দেশিকা তৈরি এবং একটি আদিবাসী ভাষার ডিজিটাল সক্রিয়তার নেটওয়ার্ক আহ্বান করার পাশাপাশি তাদের @অ্যাক্ট_লেঙ্গুয়াস মিডিয়া প্রচারণা চলমান ,যেখানে আদিবাসী ভাষার সক্রিয় কর্মীরা ভাষা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পূনর্ব্যক্ত করতে পারে।
রাইজিং ভয়েসেসের পরিচালক এডি অ্যাভিলা বলেছেন, “এই পুরষ্কারটি লাতিন আমেরিকা জুড়ে ভাষার ডিজিটাল সক্রিয়তার প্রভাব এবং তাদের কাজের দুর্দান্ত সম্ভাবনার একটি প্রমাণ।”
“এই সক্রিয় কর্মীরা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তির সুবিধা নিয়ে নতুন প্রজন্মের বক্তাদের আকর্ষণ করে তাদের ভাষাগুলির আরো বেশি অনলাইন উপস্থিতির জন্যে এই সরঞ্জামগুলির শক্তি প্রদর্শন করছে। অন্যান্যদের সাথে তাদের বিশাল জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে এই আন্দোলনকে সম্ভব করে তোলা আদিবাসী ভাষার শত শত সক্রিয় কর্মী এবং তাদের সম্প্রদায়গুলোর পক্ষ থেকে আমরা এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছি। ২০২২ সালে আদিবাসী ভাষার আন্তর্জাতিক দশকের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা তাদের প্রতি সমর্থন অব্যহত রাখার আশা রাখছি।”
২০২১ সালের অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের জাবরং কল্যাণ সমিতির অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা রয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অপর আন্তর্জাতিক ব্যক্তি হলেন উজবেক ভাষা নিয়ে কাজ করার জন্যে স্বীকৃত ইসলাইমভ গুলোম মির্জায়েভিচ।