কোভিড-১৯ মহামারী বলকান অঞ্চলে ডিজিটাল অধিকারকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করছে

অলংকরণ: ইগর ভু্চিচ। শেয়ার ফাউন্ডেশনের অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেসের বিশেষ কভারেজটি দেখুন।

কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সরকারগুলি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে জরুরি আইন প্রয়োগ করতে শুরু করায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, নজরদারি, ফোনে আঁড়িপাতা, গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং আরো অন্যান্য ডিজিটাল অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলগ্রেড-ভিত্তিক বলকান অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নেটওয়ার্ক (বিআইআরএন-বার্ন) এবং ডিজিটাল অধিকার সংস্থা শেয়ার ফাউন্ডেশন ”কোভিড-১৯ চলাকালে ডিজিটাল অধিকার” নামে  একটি ব্লগ চালু করেছে।

বোয়ান পেরকভ, শেয়ার ফাউন্ডেশনের নীতি গবেষক। সৌজন্যে প্রাপ্ত ছবি, তার অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

বার্ন এবং শেয়ার জনগণকে তাদের ডাটাবেজে ঘটনার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে তাদের ব্লগের মধ্যে একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে। শেয়ার ফাউন্ডেশনের নীতি গবেষক বোয়ান পেরকভ নীচের কথাগুলি উল্লেখ করে তাদের অনুসন্ধানের একটি সংক্ষিপ্তসার লিখেছেন:

Dosadašnja saznanja dve organizacije pokazuju da su najproblematičniji višestruki problemi sa privatnošću osoba u karantinu, širenje dezinformacija i opasnih zabluda u vezi sa virusom u onlajn medijima i putem društvenih mreža, kao i povećanje internet prevara.

সংস্থা দুটির এপর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে যে সর্বাধিক সমস্যাযুক্ত [লঙ্ঘন] হলো কোয়ারেন্টাইনে রাখা জনগণের গোপনীয়তা বিষয়ক একাধিক ইস্যু, ইন্টারনেট কেলেঙ্কারির বৃদ্ধিসহ অনলাইন মাধ্যম ও সামাজিক নেটওয়ার্কে ছড়ানো ভুল তথ্য এবং ভাইরাসটি সম্পর্কে বিপজ্জনক ভুল ধারণা।

ব্লগটির ডেটাবেজ বৈশিষ্ট্যটির মাধ্যমে দুটি সংস্থার সংগৃহীত ডেটা থেকে বোঝা যায় যে গত দুই সপ্তাহে তুরস্ক, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি এবং মন্টিনিগ্রোর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণসহ জাল সংবাদ এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার, কয়েকজনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মন্টিনিগ্রো এবং মলদোভা সরকার কোভিড-১৯ সংক্রামিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে আর ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়ার সরকারী ওয়েবসাইট এবং হাসপাতালের কম্পিউটার সিস্টেমগুলি সাইবার-আক্রমণের শিকার হয়েছে। একদিকে যেমন স্লোভাকিয়ার মতো কিছু দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ ডেটা সুরক্ষা বিধি (জিডিপিআর) এর আওতাভুক্ত অধিকারগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করছে, অন্য দিকে সার্বিয়া চলাচলের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্যে নজরদারি এবং ফোন অনুসরণ আরোপ করেছে।

সম্ভাব্য সংক্রমিত নাগরিকরা আইনের মাধ্যমে নতুন ধরনের নিয়ন্ত্রণের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করতে বাধ্য হচ্ছে। সার্বিয়ায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর বিদেশ থেকে আসা সকল নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে। ১৯ মার্চ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় রাষ্ট্রপতি আলেকসান্দার ভুচিচ বলেছেন  পুলিশ ইতালীয় টেলিফোন নাম্বারগুলো অনুসরণ করছে এবং যেসব নাগরিক রোমিং ব্যবহার করে ক্রমাগত তাদের অবস্থানগুলিও ট্র্যাক করে দেখা হচ্ছে। বিশেষভাবে এটা করা হচ্ছে ইতালি ফেরত সার্বীয় প্রবাসী সদস্যদের উদ্দেশ্য করে, যাদের নিজে থেকেই বাড়িতে স্ব-বিচ্ছিন্নতা অবলম্বন করার কথা ছিল।  তিনি তাদের ফোন ফেলে দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন কোয়ারান্টাইন লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্রের কাছে তাদের অনুসরণ করার আরো “অন্য উপায়” রয়েছে, কিন্তু তিনি পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করেননি।

প্রতিবেশী মন্টিনিগ্রোতে সংক্রামক রোগের জন্যে জাতীয় সমন্বয় সংস্থা গৃহীত প্রতিরোধ পদক্ষেপ লঙ্ঘন করার মাধ্যমে “পুরো মন্টেনিগ্রোকে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া” কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম ও উপনাম অনলাইনে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাগরিক জোট মন্টেনিগ্রোর সাংবিধানিক আদালতে অভিযোগ জমা দেওয়ার মাধ্যমে এই পদক্ষেপটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে

ক্রোয়েশিয়ার উদ্বিগ্ন নাগরিকরা একটি ওয়েবসাইট  সামোইহোলাতসিয়া.এইচআর (যার অর্থ “স্ব-বিচ্ছিন্নতা”) খুলেছিল কথিত আছে যাতে যে কেউ কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে। সাইটটি পরবর্তীকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তদন্ত শুরু করেছে।

ক্যান্টন এবং স্থানীয় পর্যায়ের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত মানুষের তালিকাসহ পৃথকীকরণ এবং স্ব-বিচ্ছিন্নতার মধ্যে থাকা লোকদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশের কাজ শুরু করায়  বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ফেডারেশনের সংকট সদর দপ্তর কীভাবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ লঙ্ঘনকারী নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে হবে সে সম্পর্কে একটি সুপারিশ জারি করেছে। প্রতিক্রিয়া হিসাবে ২৪ মার্চ তারিখে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা সংস্থা ব্যক্তিগত ডেটা প্রকাশ না করার একটি সিদ্ধান্ত জারি করেছে।

অনলাইনে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের উপরোক্ত ঘটনাগুলি তাদেরকে সর্বোচ্চ আইনী স্তরে সুরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করা আইনগুলির লঙ্ঘনের সাথে জড়িত।

পেরকভ এই পদক্ষেপগুলি কার্যকর কিনা সে বিষয়টিও উত্থাপন করেছিলেন, বিশেষত এই কারণে যে এটি মানুষকে বিপদে ফেলে। মন্টিনিগ্রোতে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে পরিচয় প্রকাশিত হওয়া সংক্রামিত ব্যক্তিরা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের শিকার হয়েছেন।

Dalje, da li je ideja javno posramljivanje ljudi koji ne poštuju samoizolaciju ili smanjenje broja prekršaja? Kriterijumi proporcionalnosti i neophodnosti takođe su na veoma tankim osnovama i bez adekvatne opravdanosti. Mogu se postaviti pitanja da li je zaista neophodno objaviti imena svih građana u samoizolaciji po adresi stanovanja javno na internetu i da li je to jedini način da se obezbedi poštovanje zakona.

তদুপরি, স্ব-বিচ্ছিন্নতার দায়বদ্ধতা অগ্রাহ্য করার বা লঙ্ঘনের সংখ্যা হ্রাস করার জন্যে জনগণকে প্রকাশ্যে লজ্জাদানের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যেই কী এই ধারণার অবতারণা ঘটেছে? এক্ষেত্রে অনুপাত এবং প্রয়োজনীয়তার মানদণ্ডগুলির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং এদের পর্যাপ্ততার যথার্থতা প্রতিপন্ন করা হয়নি। যে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন স্ব-বিচ্ছিন্নতায় থাকা সমস্ত নাগরিকের বাড়ির ঠিকানাসহ নামগুলি অনলাইনে প্রকাশ করা সত্যিকার অর্থে দরকার কিনা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায় কিনা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .