রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসন স্থগিতঃ তাদের নিয়ে পিং পং খেলা হচ্ছে

কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের একাংশ। ছবি লেখকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া।

বিগত কয়েক দশক ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের মধ্যে ২০১৮ সালটিতে আমরা বেশ কিছু চমকপ্রদ অগ্রগতি দেখেছি। গত মার্চ মাসে মায়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সম্বন্ধে বলেছিলেন যে এতে “গণহত্যার চিহ্ন” রয়েছে। এর পাঁচ মাস পরে, ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন মায়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল যে গতবছরের শরণার্থী বিতারণ ঘটনায় সেদেশের কর্তৃপক্ষের “গণহত্যার অভিপ্রায়” ছিল এবং দেশটির বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করারও অভিযোগ আনা হয়েছিল। এবং তারপর অক্টোবরে মায়ানমারের উপর আরেকটি ঘা আসে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে মায়ানমারে থেকে রোহিঙ্গাদের বিতারনের সময় সংঘটিত অপরাধ বিচার করার আওতা ও অধিকার তাদের আছে।

রোহিঙ্গাদের সপক্ষে কাজ করা গোষ্ঠীগুলি খুবই উৎফুল্ল ও আশাবাদী ছিলেন এই ভেবে যে সাম্প্রতিক এইসব ঘটনাগুলো এই সংকট থেকে উত্তরণের ধনাত্মক অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তারপর হঠাৎ করে গত এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থিত ১১ লাখ শরণার্থীদের জন্যে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। বাংলাদেশ সরকার অপ্রত্যাশিতভাবে এবছর জানুয়ারিতে মায়ানমারের সাথে স্বাক্ষরিত শরণার্থী প্রত্যাবাসন চুক্তিটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য নির্বাচনের বছরে এরকমটি অপ্রত্যাশিত ছিল না।

গত ১৫ই নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি পূর্বের পরিকল্পনামাফিক শুরু হতে পারেনি। কারণ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে শরণার্থীদের প্রতিবাদ ও ফিরে যেতে অনীহার কারণে প্রক্রিয়াটি মুলতবি হয়ে যায়। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের আশঙ্কা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ ও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে যখন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে মায়ানমার এখনো তাদের গ্রহণ করার জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাই কমিশনার এবং উদ্বাস্তুদের সহায়তা করার জন্য বেশ কয়েকটি সহায়তা সংস্থা উভয়ই সাম্প্রতিক এই প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্তটিকে বিপদজনক এবং অকালীন বলে বর্ণনা করেছেন।

বাংলাদেশের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেছেন যে নাইখংছড়ির কেরোনতালি এবং ঘুমদুমে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির জন্যে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের আগে তাদের জীবনের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব অধিকার, মানবাধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আবশ্যক।

জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা #রোহিঙ্গা মুসলমানদের দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সহায়তা প্রদান করবে না যারা মায়ানমারে ফিরে গিয়ে আবার ক্যাম্পে অবস্থান নেয় – যা তাদের একটি অভ্যন্তরীণ পজিশন পেপারে বলা আছে।

এটা প্রথমবার নয় যে রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছাকৃত ও জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন পরিকল্পিত হয়েছে এবং অনেকক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বিশেষ করে এমন একটি প্রেক্ষাপটে যেখানে রাখাইন রাজ্য থেকে গত বছর লাখে লাখে রোহিঙ্গা পালিয়েছিল, এবং সেখানকার পরিস্থিতি এখনো ফিরে যাবার মত নয়। এই নিবন্ধটি রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসনের গত চার দশকের দীর্ঘ ইতিহাসের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেবে।

অবিচার সয়ে যাওয়া

কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প দিয়ে হেঁটে গেলে যেসব প্রতিষ্ঠান, পদ্ধতি এবং সম্পর্ক এই জায়গাটা তৈরি করেছে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলার প্রচণ্ড ইচ্ছে হবে আপনার। এমন করতে চাওয়ার কারণ হচ্ছে আপনার চতুর্দিকে যে ধরনের অনাচার আর অসামঞ্জস্য দেখবেন তা মানুষ কি করে সহ্য করে তা আপনার পক্ষে বোঝা অসম্ভব হবে। আপনি যদি বাংলাদেশি হোন, এবং এই জায়গাটিকে আপনার দেশের অংশ মনে হয়, আপনি কিছুতেই বুঝতে পারবেন না কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে অন্যান্য শক্তিশালী পক্ষকে কি ধরণের উৎসাহ আর সাহায্য করা হয়েছে বা হচ্ছে, যে কারণে তারা এই জায়গাটা বানিয়ে সেটা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কুতুপালংকে আপনার যদি মঞ্চ মনে হয়েও থাকে, যেখানে সমসাময়িক ইতিহাসের নাটক প্রদর্শিত হচ্ছে, আপনি এই ধরনের পৌনঃপুনিক এবং ব্যয়বহুল উপস্থাপনার অর্থ খুঁজে পাবেন না।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে দুর্গন্ধযুক্ত পচা পানির দেখা মিলে। ছবি লেখকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া।

মায়ানমারের মানবতা এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আন্তর্জাতিক পরিসরে এখনও ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি। কিন্তু মায়ানমার যে অন্যায় শুরু করেছে তা কুতুপালং এর মত জায়গায়, যেখানে আক্রান্ত মানুষের আশ্রয় মেলার কথা, সেখানে আরও জোরদার হচ্ছে তা কে বুঝিয়ে বলবে বা কেই বা আমলে নেবে?

এখানে, বাংলাদেশে, অনাকাঙ্ক্ষিত বা অনভিপ্রেত ঘটনাকে বিস্মৃত করার, উপেক্ষিত হবার, আর এড়িয়ে যাবার অসম্ভব ক্ষমতা আছে মানুষের মধ্যে। সত্যি বলতে, ঘটনাগুলো মনুষ্যত্বের মৌলিক নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক আইন দুইয়েরই বিরোধিতা করে। ৭০ এর দশক এর শেষ থেকে শুরু করা যেতে পারে, যখন প্রথমবারের মত ২০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী দেশত্যাগ করে উদ্বাস্তু হয়েছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ১৯৯৬ সালের এক রিপোর্টে লিখেছিলঃ

Expecting to find protection, these refugees only found further persecution by a (Bangladeshi) government that was as keen to see the back of them as their own. Over 12,000 refugees starved to death as the Bangladesh government reduced food rations in the camps in order to force them back, and following a bilateral agreement between the two governments, the majority of refugees were repatriated less than 16 months after their arrival.

নিরাপত্তার আশায় এসে এই শরণার্থীরা (বাংলাদেশী) সরকারের কাছে আরও নিগ্রহের শিকার হয়েছে কারণ তারা এদের সরকারের মতই এদের বিতারণ চেয়েছে। ১২০০০ এর উপর শরণার্থী ক্ষুধায় মারা গেছে; কারণ বাংলাদেশ সরকার ক্যাম্পগুলোতে খাবারের রেশন কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে বাধ্য হয়। দুই সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কারণে বেশিরভাগ শরণার্থী তাদের আগমনের ১৬ মাসের মাথায় নিজ দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

আপনি শুধু একটি শরণার্থী ক্যাম্প দেখছেন না – দেখছেন দারিদ্র, নাগরিকত্ব অস্বীকার, বর্ণবাদ, স্বার্থ, দুর্বৃত্তায়ন, বর্জন, বৈপরীত্য আর অস্বীকার। ছবি লেখকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া।

১৯৯১ সালে মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের আরেকটি বড় দেশ ত্যাগের ঘটনা ঘটে। ১৯৯২ আর ১৯৯৩ সালের মধ্যে তাদের অনেককে আবার জোরপূর্বক নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এবারের ঘটনাও ছিল নির্মম। বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ ও অনিচ্ছুক শরণার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানীও ঘটেছে। তিন বছর পরে ইউএনএইচসিআর মায়ানমারে প্রত্যাবর্তনে বাধ্য হওয়া প্রায় ৫০,০০০ শরণার্থীদের আর খুঁজে পায়নি। এক দশকেরও বেশি সময় পরে, ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে, বাংলাদেশ ক্যাম্প থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের আরেকটি ঘটনায় বেশ করেকজন রোহিঙ্গা শরণার্থী মারা গিয়েছিল এবং অনেকে আহত হয়েছিল।

দেশে প্রত্যাবাসনে বাধ্য করার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের নিজের নাগরিক ও বহির্বিশ্বের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছিল এই বলে যে তখন বাংলাদেশ একটি দরিদ্র দেশ ছিল এবং এই ধরনের বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে মোকাবেলা করতে অক্ষম ছিল। ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক অবস্থান যাই হোক না কেন, তাদের বক্তব্যের পরিসর, চিন্তার প্রতিফলন এবং নীতি প্রণয়ন একইরকম রয়ে গেছে গত চার দশক ধরে। বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে সকল রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেয়া। বিগত বছরগুলোতে সরকার ইউএনএইচসিআরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে রোহিঙ্গাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী না ভেবে তাদের “অর্থনৈতিক অভিবাসী” হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত, যা সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে। এ কারণে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা ও অসহায়ত্ব কোন উদ্বেগের কারণ ঘটায়নি। এইসব মানুষদের শুধুমাত্র ফিরে যাওয়া প্রয়োজন।

১৫ জন রোহিঙ্গা সিতওয়ে থেকে ইয়াঙ্গন যাবার সময় কর্তৃপক্ষ গত ১২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে রাখাইন রাজ্যের অ্যান শহরে তাদের গ্রেফতার করে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন বন্ধ করা – কারণ রাখাইন রাজ্যে কিছুই পরিবর্তন হয়নি।

আমরা এর আগেও অনেকবার দেখেছি যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল হয়নি। তবু আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি প্রত্যাবাসন শুরু হবার কথা। যখন প্রত্যাবাসন ঐচ্ছিক না হয়ে জোরপূর্বক হয় একে প্রত্যাবাসন বলা যায় না। এটি জোরপূর্বক তাদের পূর্বের হুমকির ভেতর ঠেলে দেওয়া। এটা অবৈধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।

নিশ্চিতভাবেই এই ধরনের কার্যাবলী ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হবার পরেও এই বিচ্যুতি সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারের অক্ষমতা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ইতিহাসে একটি চরম ব্যর্থতা হিসেবে বলা যায়। কিভাবে ২০১৮ সালে, আমরা এখনও প্রত্যাবাসনকে সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে দেখতে পাচ্ছি, যেখান সমস্ত ঘটনাপর্ব এই সত্যটিকে নির্দেশ করে যে এই চক্রবৃদ্ধি আকারের রোহিঙ্গাদের দেশ ছেড়ে পালানো এবং বাংলাদেশ থেকে পুনরায় প্রত্যাবাসন এর মূলে রয়েছে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা যদিও তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে আসছে এবং তাদের ক্রমাগত ধ্বংসাত্মক হয়রানির মধ্যে ফেলা? যদি তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আবারও এই চক্রের মধ্যে পরবে – হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, জোরপূর্বক স্থানান্তর, শরণার্থী শিবিরে ঢোকানো, জমি ও সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া, বাধ্যতামূলক শ্রম, শিক্ষার উপর সীমাবদ্ধতা, কর্মসংস্থানে বাঁধা, বিবাহের উপর বিধিনিষেধ, ধর্মের অনুশীলনে সীমাবদ্ধতা, মসজিদ ধ্বংস করা ইত্যাদি।

গোধূলি লগ্নে রোহিঙ্গা শিশুরা খেলা করছে। কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে একটি খেলার মাঠ রয়েছে যেখানে সবসময়ই কিছু না কিছু হচ্ছে। এর একধারে লাইন দিয়ে রয়েছে কিছু কোমল পানীয়, হাল্কা খাবার, সিগারেট আর পানের দোকান। ছবি লেখকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া।

এর ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নাগরিকত্বহীন শিশুরা ক্যাম্পে দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হচ্ছে। তাদের কোন সুযোগ সুবিধা বা সামাজিক গতিশীলতার সম্ভাবনা থাকছে না। তারা এমন একটা পরিবেশে বড় হচ্ছে যার স্বরূপ এখানে তুলে ধরা অসম্ভব। পরিস্থিতির অসহায়ত্ব বুঝতে আপনাকে জায়গাটা দেখতে আসতে হবে।

শোক এবং বিষণ্ণতার মধ্যে একটি পার্থক্য আছে। শোকগ্রস্ত ব্যক্তি নিজের ক্ষতি স্বীকার করে এগিয়ে যান, কিন্তু বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ক্ষতি স্বীকার করতে পারেন না। ক্ষতির প্রভাব তার অস্তিত্বকে নাড়া দেয় এবং তিনি তা ক্ষণে ক্ষণে মনে করতে থাকেন।

কুতুপালং দিয়ে হাঁটতে থাকলে বিষণ্ণতা এসে ভর করে; কারণ, বাংলাদেশ সরকার অন্য কিছুর অবকাশ রাখতে দেবে না।

শরণার্থী ক্যাম্প কোন শিশুর বেড়ে ওঠার জায়গা হওতে পারে না। রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প যে কোন বয়সী মানুষের জন্যেই একটি কঠিন জায়গা। বাংলাদেশ থেকে এই চক্রবৃদ্ধি আকারের প্রত্যাবাসন ও পুনরায় মায়ানমার ছেড়ে পালানোর মূলে রয়েছে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা এবং তাদের ক্রমাগত ধ্বংসাত্মক হয়ানির মধ্যে ফেলা। ছবি লেখকের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া।

এই লেখাটির একটি সংস্করণ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ঢাকা ট্রিবিউনে গত ৬ জুলাই, ২০১৭ তারিখে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .