
কাবুলে অবস্থিত আফগানিস্তান আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছবিঃ উইকিপিডিয়া।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আফগানিস্তান আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অজ্ঞাত আক্রমণকারীদের দ্বারা তাঁদের ক্যাম্পাসে সশস্ত্র হামলা চলাকালীন গত ২৪ শে আগস্ট হৃদয়বিদারক কয়েকটি টুইট পাঠিয়েছেন।
গত ২৫ শে আগস্ট পুলিশ বলেছে এই হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মাঝে ৭ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন পুলিশ এবং ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী। সেখানে কমপক্ষে দুইজন বন্দুকধারী আক্রমণ করেছে।
আগের দিন পুলিশ শুধুমাত্র একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আর একজন গুলি বর্ষণকারীকে আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে। সন্ধ্যায় সংঘটিত আক্রমনের পরপরই অজ্ঞাত সংখ্যক লোককে হাসপাতালে নেয়া হয়।
#AUAF under attack. I along with my friends escaped and several other of of my friends and professors trapped inside.
— Ahmad Mukhtar (@AhMukhtar) August 24, 2016
#এইউএএফ তে আক্রমণ। আমি আমার বন্ধুদের সাথে সেখান থেকে পালাতে পেরেছি। আমার বন্ধুদের মাঝে বেশ কয়েকজন এবং অধ্যাপকরা ভিতরে আটকা পরেছেন।
Younger brother, a #AUAF student, stuck inside campus. Some students escaped via the adjacent UN office through backdoor. #AUAFAttack
— Javid Ahmad (@ahmadjavid) August 24, 2016
#এইউএএফ এর একজন শিক্ষার্থী, একজন ছোট ভাই, ক্যাম্পাসের ভিতরে আটকে পড়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন জাতিসংঘের অফিসের ভিতর দিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী পালাতে সক্ষম হন।
Students trapped inside @AUAfghanistan seeking help during the attack. Many have escaped reportedly. #Afghanistanpic.twitter.com/Pe73oDuI9B
— Malali Bashir (@MalaliBashir) August 24, 2016
@এইউআফগানিস্তান এর শিক্ষার্থীরা আক্রমণের সময় ভিতরে আটকে পড়ে সাহায্য চাইছিলেন। তৎক্ষণাৎ অনেকেই পালাতে সক্ষম হয়েছেন।
পরবর্তীতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে সকল শিক্ষার্থীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
All #AUAF students are now safely evacuated.
— Hadi Marifat (@HMarifat) August 24, 2016
সকল #এইউএএফ শিক্ষার্থীকে এখন নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মাসের শুরুতে কাবুলের কেন্দ্রস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অস্ট্রেলিয়ান এবং আমেরিকান শিক্ষক অপহরণের পর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
শিক্ষকদের হদিস এখনও অজানা।
আফগানিস্তানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যাপকভাবে পরিচিত। এটি দেশটিতে আমেরিকান ‘নরম ক্ষমতার’ একটি জ্বলজ্বলে প্রতীকও বটে। বিশেষকরে দেশটিকে যখন একটি শক্তিশালী বিদ্রোহ প্রকম্পিত করে তছ নছ করে দিয়েছে। সরকার বা তাঁর আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কেউই যার উত্তর দিতে সামনে আসছে না।