ব্রাজিলে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে (মার্চ ২০১৬) পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে। ঘটনাগুলো এত দ্রুত বদলেছে যে কিছুক্ষণ অনলাইনে না থাকলে যেন সর্বশেষ বিস্ফোরক খবর থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন।
কিন্তু অতি সম্প্রতি কি ঘটেছে?
ঘটনার শুরু মার্চ মাসের শুরুর দিকে শুরু যখন ফেডারেল পুলিশ ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা ব্রাজিল এর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ স্টেশনে ডেকে আনে। এর পরে বর্তমান রাষ্ট্রপতি দিলমা রুসেফ লুলাকে তার চীফ অফ স্টাফ নিযুক্ত করেন, স্পষ্টতই তাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো থেকে রক্ষা করার জন্য একটি পদক্ষেপ হতে পারে এটি।
২০১৪ সাল হতে “অপারেশন লাভা জাতো” নামে একটি ব্যপক বিস্তৃত তদন্ত শুরু হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস এবং বেশ কয়েকটি বৃহৎ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি উন্মোচন করতে। এই তদন্তের ফলে ইতোমধ্যে এক ডজনেরও বেশি রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তদন্তকারীরা ক্ষতিয়ে দেখছেন লুলা অভিযুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে কোন উপায়ে অনুগ্রহ লাভ করেছেন কিনা। গত ৪ঠা মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করার পর, লুলাকে কোন অভিযোগ গঠন ছাড়াই মুক্তি দেয়া হয়।
লুলার এই বিতর্কিত নিয়োগের পর অপারেশ লাভা জাতোর (“লাভা জাতো” মানে হচ্ছে “গাড়ি ধোওয়া”) ভারপ্রাপ্ত বিচারক সার্জিও মরো, লুলা ও অভিযুক্তের মধ্যে প্রায় ৫০টি ফোনালাপ জনসমক্ষে উন্মুক্ত করে দেয়। এসবের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল রাষ্ট্রপতি দিলমার সঙ্গে একটি ফোন আলাপ যা টেপগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সংঘটিত হয়। সেই দূরালাপনিতে রাষ্ট্রপতি দিলমা লুলাকে তার নিয়োগপত্রের একটি কপি পাঠানোর কথা বলেন “যদি প্রয়োজন হয়” যার মানে করছে অনেকেই “যদি তার এটা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রয়োজন হয়।” আরেকটি টেপে শোনা যায় লুলা কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রোসা ওয়েবারকে প্রভাবিত করার প্রয়াস।
ব্রাজিল এর রাত আটটার জাতীয় সংবাদে অডিও টেপগুলোর সংবাদ প্রচারিত হলে দেশভর বিক্ষোভ শুরু হয় যা রাজধানীতে ঘনীভূত ছিল।
ব্রাজিলে বিচারক মরো একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন এবং অনেকেই তাকে লোকনায়কের মত মানে। অন্যরা অবশ্য তার প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন এবং প্রশ্ন করেছেন ফোনালাপের টেপ প্রকাশ করে তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন কিনা।
Making Judge Moro into an idol contradicts a virtue he's supposed to represent: the impersonality of institutions. pic.twitter.com/UdZaslh68M
— Alex Cuadros (@alexcuadros) March 4, 2016
বিচারক মরোকে একজন দেবতা বানানো তার নিজের পেশাগত নৈতিক গুণকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে – যা তিনি রক্ষা করার শপথ নিয়েছেনঃ বিচারবিভাগের নৈর্বাক্তিততা
লুলার নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টে একটি বিচারিক যুদ্ধ শুরু করেছে – ইতিমধ্যে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে ১৩টি মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিচারক অনলাইনে খ্যাতি অর্জন করেছেন যখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তার সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রমাণ দেখতে পায় যেখানে তিনি একটি সরকার বিরোধী সমাবেশে যোগদান করেছেন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির (দিলমা এবং লুলার দল) বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেছে। ব্রাজিল সুপ্রীম কোর্টের একটি প্রাথমিক আদেশে লুলার মনোনয়ন রদ করার নির্দেশ দেয়া হয়। তার নিয়োগের উপর একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
দিলমা রুসেফকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো অপারেশন লাভা জাতো কর্তৃক অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে ব্রাজিলের জাতীয় কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এই ভিত্তিতে যে তিনি ক্রমবর্ধমান ঘাটতি লুকাতে সরকারি হিসাব এদিক ওদিক করেছেন। তবে কোন ঐক্যমত্য হয়নি যে এই বিষয়কে আইনগত ভিত্তি বানিয়ে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন চালানো যাবে, এবং অনেকে কংগ্রেসের প্রতি দোষারোপ করেছে যে তাদের দলীয় স্বার্থ রক্ষা করতে তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ব্যবহার করছে।
একই সাথে, ব্রাজিল এর নির্বাচনী আদালত শীঘ্রই ২০১০ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে দিলমার করা সম্ভাব্য অনিয়মগুলো সম্পর্কে রুলিং দেবে। দিলমা বিরুদ্ধে কোন রায় হলে তিনি ও তার উপরাষ্ট্রপতি উভয়ই পদ হারাবেন, ফলে নতুন নির্বাচন হতে বাধ্য।
অপারেশন লাভা জাতো কি?
ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে অপারেশন লাভা জাতো। ব্রাজিলের দক্ষিণে পারানা রাজ্যের একজন স্থানীয় রাজনীতিবিদকে জড়িয়ে একটি কালো টাকা সাদা করার ষড়যন্ত্রের তদন্তের হিসেবে এটি ২০০৯ সালে শুরু হয়। ২০১৪ সালের মধ্যে এই তদন্ত কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়ে ব্রাজিল রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস এর ভেতরের একটি ব্যাপক দুর্নীতির উদঘাটনে তৎপর হয়। এই তদন্তে দেশের বড় নির্মাণ কোম্পানি ও অনেক প্রভাবশালী দলের রাজনীতিবিদ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পেট্রোব্রাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন কোম্পানির একটি মোর্চা মিলে উক্ত তেল কোম্পানির বিভিন্ন নির্মাণ এবং সেবা কাজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বিল করত। এই অতিরিক্ত অর্থ থেকে উপকৃত হত ওইসব কোম্পানি এবং পেট্রোব্রাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা, যারা প্রায়ই বিভিন্ন লবিইস্ট ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এই টাকা ভাগ করত (যাদের অনেককে দিয়েই তারা কাজ বাগিয়ে নিত)। ফেডারেল পুলিশের তথ্য অনুযায়ী এইসব দুর্নীতির কারণে কোম্পানীটি ১০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ পর্যন্ত তদন্তের ফলে ৯৩ জন গণ্যমান্য রাজনীতিবিদ এবং নির্মাণ কোম্পানি মালিকদের অভিযুক্ত ও নিন্দা করা হয়েছে।
লুলা বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
পেট্রোব্রাস তদন্তের সময় অভিযুক্ত নির্মাণ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা লুলার মালিকানাধীন একটি সমুদ্রের তীরবর্তী অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি গ্রামের বাড়ি বিনে পয়সায় উন্নয়ন করে দিয়েছে। এই দুটি বাসস্থানই লুলার ব্যক্তিগত বন্ধুর নামে নিবন্ধীকৃত, কিন্তু তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে লুলা ও তার পরিবারের লোকরাই কার্যকরীভাবে এসব সম্পত্তির দখলকারী। এইসব কোম্পানীগুলো লুলার ফাউন্ডেশনে অনুদান দিয়েছে এবং বক্তৃতা দেবার জন্যে লুলাকে পারিশ্রমিক দিয়েছে এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে। লুলা অবশ্য জোরালোভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে তদন্তকারীরা এখনো পেট্রোব্রাস এর সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি এবং লুলার প্রাপ্ত সুবিধাগুলোর মধ্যে স্পষ্ট যোগসূত্র প্রমাণ করতে পারেনি।
বিচারক সার্জিও মরো কি সীমা অতিক্রম করেছেন?
মরো যুক্তি দেন যে উক্ত টেপগুলো জনসম্মুখে উন্মোচন করার সময় তিনি জনস্বার্থের কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনি বলেন, “একটি মুক্ত সমাজে গণতন্ত্র মানে হচ্ছে শাসকরা কি করছে তা জানার অধিকার রয়েছে শাসিতদের, এমনকি যখন তারা সুরক্ষিত ভাবে পর্দার আড়ালে কাজ করতে চায়, তখনো।” অবশ্য, বেশ কিছু আইনি বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে টেলিফোনে আড়িপাতা তদন্তের একটি অংশমাত্র হওয়া উচিৎ এবং এটিকে জনগণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া উচিৎ না। বিচারপতি তিওরি জাভাস্কি ওদিকে মরোর সমালোচকদের সমর্থন করেছেন এই বলে যে লুলার বিরুদ্ধে তদন্ত আসলে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে থাকা উচিৎ।
এটি এখনো অস্পষ্ট যে মরোর আসলেই অধিকার ছিল কিনা ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতির একটি ব্যক্তিগত টেলিফোন কথোপকথন মুক্ত করার যেখানে শুধুমাত্র সুপ্রীম কোর্টের কর্তৃত্ব আছে রাষ্ট্র প্রধান এবং তাদের মন্ত্রীদের তথা মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে তদন্ত করা।
বিষয়গুলো আরও জটিল করতে, লুলা ও দিলমা মধ্যে কলটি রেকর্ড করা হয় আড়িপাতার কার্যটি দাপ্তরিকভাবে স্থগিত করার কয়েক ঘন্টার পর। কিছু আইটি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেহেতু সব আড়িপাতার কাজগুলি এবং তার রেকর্ডিং টেলিকম অপারেটরদের দ্বারা করানো হয়, তাই এটি বন্ধ করার নোটিশ এবং প্রকৃত স্থগিতাদেশ মধ্যে বিলম্ব হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে অনেকেই অনুমান করছেন যে, যেহেতু এটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারের অধীন একটি ঘটনা, এই সব রেকর্ডিং আইনি প্রমাণ হিসেবে দাঁড়াবে।
দিলমাকে কি অভিশংসিত করা হবে?
বিগত বছরে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে দিলমাকে অভিশংসনের জন্য ৩০টিরও বেশি আবেদন দায়ের করা হয়েছে যা কার্যকরী হয়নি। তবে শুধুমাত্র গত সপ্তাহে চিফ অফ স্টাফ হিসেবে লুলা মনোনয়ন ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পরেছে তার জন্যেই প্লেনারি সেশন অবশেষে এদের একটিকে শোনার অনুমোদন দেয়।
এই আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে বাজেটে দেশের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি আড়াল করে দিলমা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং আইনজীবীদের বলেছেন যে এই অভিযোগ ক্ষমতায় থাকা একজন রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন করার জন্যে যথেষ্ট ভিত্তি নয়। দিলমা একে একটি অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রচেষ্টা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
অভিশংসন সম্ভবত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একটি ভোটের মাধ্যমে হবে। সংসদের নিন্ম কক্ষের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য যদি পক্ষে ভোট দেন তাহলে আবেদনটি সিনেটে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এটা এখনো অস্পষ্ট দিলমা এই অভিশংসন প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হারাবেন কিনা। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে উভয় কক্ষের মধ্যে বৃহত্তম পার্টি পিএমডিবি, প্রেসিডেন্ট রুসেফের দলের সঙ্গে সমঝোতার পরিসমাপ্তি করবে কিনা। (পিএমডিবি ব্রাজিল এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মিশেল টেমার এর দল যিনি রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হবেন যদি দিলমাকে সরানো হয়)।
কতিপয় সংসদ সদস্যের একটি ছোট দল একটি বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে জোর করে যাচ্ছে – যা হচ্ছে দিলমার জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে আরেকটি গণভোট। এই ধরনের একটি ভোট হতে হলে প্রথমে ব্রাজিল এর সংবিধান একটি সংশোধনী (একটি লম্বা প্রক্রিয়া) প্রয়োজন হবে, কারণ বর্তমানের আইনি কাঠামোতে এটি সম্ভব না। এই “মধ্যম পথ” এর প্রবক্তারা দাবি করেন যে অভিশংসন এর আইনগত ভিত্তির অভাব আছে এবং কংগ্রেস প্রেসিডেন্টকে শুধুমাত্র তার জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ায় উচ্ছেদ করতে পারেনা – তবে জনগণ এই গণভোটের বিকল্প পন্থা গ্রহণ করতে পারে।
কারা বর্তমান সরকার সমর্থন করে? কারা করে না?
বর্তমান সরকারের সমর্থকরা বলে যে দিলমা রাজনৈতিক দল, ওয়ার্কার্স পার্টির সমালোচকদের অধিকাংশই সাদা, ধনী ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত। কিছু গবেষণা আংশিকভাবে এই ধারণা সমর্থন করে, কিন্তু সাথে সাথে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে যে সরকার বিরোধী এবং সরকারপন্থী দলগুলোর মধ্যে ভিন্নতা বেশী নেই।
সাও পাওলোর দুই সাম্প্রতিক বিক্ষোভ (একটি সরকারপন্থী এবং অপরটি সরকারবিরোধী) নিয়ে ডাটাফলহা রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত একটি জরীপ অনুযায়ী সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ১৩ শতাংশের বেশি উপরের লোক বার্ষিক ২৭,৬০০ মার্কিন ডলার আয় করে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা কম, এবং তাদের নিজস্ব ব্যবসার মালিক হবার সম্ভাবনা বেশী।
কিন্তু উভয় মিছিলে বিক্ষোভকারীদের প্রায় ৮০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছিল (যেখানে একটি শহরে মোট জনসংখ্যার গড়পড়তা মাত্র ২৮ শতাংশ কলেজ শেষ করে) এবং অর্ধেকেরও বেশী বার্ষিক ১৫,৬০০ ডলার উপার্জন করে (যেখন সাও পাওলোর মাত্র ২৩ শতাংশ তা করে)।
মোটের উপর এটা দেখাচ্ছে যে যারা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্তর্গত। তবে জাতীয় সংকট ঘনীভূত হওয়ায়, পক্ষে বিপক্ষের দুই দলের লোকই ক্রমবর্ধমানভাবে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। এটাই সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বেগজনক প্রবণতা।