ফ্লিকার ব্যবহারকারী ইউভেস তিনেভিন উনিশ শতকের জাপানের কিছু হ্যান্ড-কালার (সাদা-কালো ছবিতে রং ব্যবহার করা) ছবি আপলোড করেছেন। ওই ছবিগুলো এমন একটা সময়ের যখন পৃথিবীর কাছে জাপান তার দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।
ধারনা করা হয় ইতালির চিত্রগ্রাহক অ্যাডলফ ফারসারি ১৮৮০ সালের শেষের দিকে ছবিগুলো তুলেছিলেন। ছবিগুলো পাবলিক ডোমেইনের আওতায় উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ছবিই হাতে রং করা। উনিশ শতকের শেষের দিকে ফারসারি যখন জাপানে গিয়েছিলেন, সে সময়ে এটি খুব সাধারণ একটি ব্যাপার ছিল।
ছবি থেকে মনে হয় ফারসারি জাপানের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সফর করেছিলেন। এবং তিনি সামনে যা পেয়েছেন, সেটারই ছবি তুলেছেন।
এটা স্পষ্ট যে, ফারসারি তার বেশিরভাগ ছবিতেই মডেল ব্যবহার করেছেন। তার মানে দাঁড়ায় তিনি জাপানকে ঠিকঠাকভাবে উপস্থাপন করেননি। এর ফলে সদ্য দরজা খুলে দেয়া দেশটির আসল চিত্র সম্পর্কে বাইরের মানুষের উপলদ্ধিতে তিনি তেমন অবদান রাখতে পারেননি।
দুর্ভাগ্য যে, ফারসারির সব ছবিতে ক্যাপশন দেয়া নেই। তাই ছবিগুলো কোথায় তোলা হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা কঠিন।
এই ছবি দেখে বলা মুশকিল, জাপানিরা বাগানের ভিতরে কতটা আনন্দের সাথে সময় কাটায়। আবার হতেও পারে ফারসারি যাওয়ার পথে তাদের এভাবে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলেছেন।
খুব সম্ভবত এই ছবিটা ইয়াকোহামা’র। ৩০ বছর আগে নেয়া ছবিতেও ইয়াকোহামা’য় এরকম জেলে পল্লী দেখা গেছে।
কিছু ছবি দেখে মনে হয় ফারসারি প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফর করেছিলেন। শহরের বাইরের দৈনন্দিন জীবন কেমন ছিল সম্ভবত সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন।
দেখে মনে হচ্ছে তারা জেলে। ফারসারিকে দেখাচ্ছেন তারা কীভাবে নৌকা পানিতে নামান।
ফারসারি’র অনেক ছবিতেই জাপানের সর্বজনীন দৃশ্য উঠে এসেছে।
ফারসারি’র আরো অনেক ছবিই অনলাইনের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিছু আছে নাগাসাকি পাঠাগারের সংগ্রহশালায়। সেখানকার ছবিগুলোর সাথে বিস্তারিতভাবে ক্যাপশনও দেয়া আছে। ফলে ছবিগুলো কোথায় তোলা হয়েছে, সেটার হদিস জানা গেছে।
এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে পুরোনো জাপানের এই ছবিগুলোও দেখতে পারেন। এগুলোও একই সময়ে তোলা। আর এ ছবিগুলো তুলেছেন জাপানিজ চিত্রগ্রাহক তি. ইনামি।