সিঙ্গাপুরে ভোক্তা ও কর্মীরা কুয়াশা দূষণ রোধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে

তরুণ সেচ্ছাসেবক যারা একটি কুয়াশা-মুক্ত-পরিবেশের অঙ্গীকার করেছে।

তরুণ সেচ্ছাসেবক যারা একটি কুয়াশা-মুক্ত-পরিবেশের অঙ্গীকার করেছে। কুয়াশা রোধে জন আন্দোলন-এর ফেসবুক পাতা থেকে নেয়া ছবি।

বন পোড়ানো থেকে সৃষ্ট কুয়াশা দূষণ যখন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তখন সিঙ্গাপুরে কিছু ভোক্তা অটেকসই কৃষি উৎপাদনে জড়িত কোম্পানীগুলোকে রোধ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। বিশেষ করে, এই অঞ্চলে বন ধ্বংসের কারণ ঘটাচ্ছে যে পাম তেল কোম্পানীগুলো ভোক্তারা তাদের উৎপাদগুলোকে বর্জন করবে বলে উল্লেখ করেছে।

দীর্ঘায়িত খরা ও বনাগ্নীর কারণে আন্তসীমানা কুয়াশা এখন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়ায় একটি বার্ষিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষেরগুলোর জন্য কৃষকদের ‘কাটো ও পোড়াও’ চর্চা এবং ইন্দোনেশিয়াতে পাম তেল আবাদকারীদের ভূমি পরিষ্কার করার কাজকে কে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের উপরও বন পোড়ানো বন্ধ করার দায় রয়েছে, কারণ এই দেশগুলোতে রেজিষ্ট্রীকৃত কোন কোন কোম্পানী এই অঞ্চলের পাম তেল উৎপাদনের জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করছে।

‘সবুজ’ পরিবেশ দলের উদ্দ্যোগে একটি প্রচারণায় কুয়াশা দূষণে ভূমিকা রাখে এমন উৎপাদ ক্রয় করার বন্ধ করতে ভোক্তাদেরকে অনুরোধ করা হয়:

As consumers, we can contribute towards our collective fight against haze pollution by making informed and responsible purchases. The haze is caused by toxic smoke from fires raging in South-east Asia’s forests and peatlands, which are cleared for agricultural development. For instance, plantations in our region supply much of the world’s palm oil, a key ingredient in food products and cosmetics. Consumers can make a difference by supporting products that are sustainably sourced.

ভোক্তা হিসেবে আমরা ওয়াকিবহাল হয়ে ও দায়িত্বপূর্ণ ক্রয়ের মাধ্যমে কুয়াশা দূষণের বিরুদ্ধে আমাদের যৌথ লড়াইয়ে ভূমিকা রাখতে পারি। কৃষি উন্নয়নের জন্য পরিষ্কার করা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বনাঞ্চল ও স্যাঁতস্যাতে ভূমিতে প্রজ্জলিত দাবানলের কারণে সৃষ্ট বিষাক্ত ধোঁয়া থেকে এই কুয়াশা তৈরী হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের অঞ্চলের আবাদ থেকেই বিশ্বের বেশীরভাগ পাম তৈলের যোগান দেয়া হয় যা খাদ্য উৎপাদ ও প্রসাধনী সামগ্রীর জন্য একটি প্রধান উপাদান। ভোক্তারা টেকসইভাবে সংগৃহিত উৎপাদগুলোকে সমর্থন করে একটি পার্থক্য তৈরী করতে পারে।

কুয়াশা রোধে জন আন্দোলন পাঁচটি জিনিস-এর তালিকা তৈরী করেছে যেগুলো করে ভোক্তারা কুয়াশা দূষণ রোধ করতে পারে:

1. Reduce consumption of edible oil
2. Reduce usage of paper
3. Support companies which use sustainable palm oil
4. Support companies which use sustainable paper
5. Influence companies

১। ভোজ্য তেল গ্রহণ হ্রাস করা
২। কাগজের ব্যবহার হ্রাস করা
৩। যে কোম্পানীগুলো টেকসই পাম তেল ব্যবহার করে তাদের সমর্থন করা
৪। যে কোম্পানীগুলো টেকসই পাম কাগজ ব্যবহার করে তাদের সমর্থন করা
৫। কোম্পানীগুলোকে প্রভাবিত করা

এই প্রচারণার মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন জাতীয় ক্রয় করার বিষয়ে জনগণকে শিক্ষা দেয়া হয়। এই একই লক্ষ্য রয়েছে ‘আমরা যা ক্রয় করি তাই আমরা শ্বাস করি’ আন্দোলনের যারা ভোক্তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যাতে তারা ‘কুয়াশা-মুক্ত’ পাম তেলের উৎপাদন করতে কোম্পানীগুলোকে চাপ দিতে পারে।

Photo from the Facebook page of People's Movement to Stop Haze

কুয়াশা রোধ জন আন্দোলনের ফেসবুকের পাতা থেকে নেয়া ছবি।

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে #XtheHaze হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে পরিবেশ-সচেতন প্রচারেরও প্রসার করা হচ্ছে।

@ডাব্লিউডাব্লিউএফএসজি: #আর্থআওয়ার আপনাকে #কুয়াশাকেদূর করার প্রচারণার জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে

নীচের টুইটে একটি জিআইএফ (প্রাণবন্ত ছবি) সম্পর্কে বলা হয়েছে যাতে ভোক্তাদেরকে কুয়াশা-মুক্ত সৌন্দোর্য পন্য ক্রয় করতে উৎসাহিত করার হয়েছে।

কুয়াশা রোধ করার জন্য অঙ্গীকার বৃদ্ধি করুন। #কুয়াশাকেদূর করতে কুয়াশা-মুক্ত উৎপাদ দাবী করুন

এই ভিডিও বিজ্ঞাপনটি সাধারণ নাগরিকদের উপর কুয়াশা-দূষণের প্রভাব তুলে ধরেছে।

গত সপ্তাহে কুয়াশার আরও অবনতি হয়েছে, যা সিঙ্গাপুরে অনেক বিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেছে। আরও বেশী নিষ্পত্তিমূলক সরকারী পদক্ষেপের দাবীর উত্তরে পরিবেশ ও জল সম্পদ মন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বনাগ্নী সৃষ্টিতে জড়িত সন্দেহ করা কোম্পানীগুলোকে চিহ্নিত করেছেন এবং তাদেরকে ততক্ষণাৎ সমস্যাটি সমাধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

We will therefore expect companies to be more transparent about their supply chains, particularly those involved in the palm oil and forestry sectors. Ultimately, errant companies must know that there is a price to be paid for damaging our health, environment and economy.

আমরা সেই কারণে কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে আশা করবো যেন তারা তাদের যোগান চক্র সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ হয়, বিশেষ করে যারা পাম তেল এবং বন সম্পদ খাতে জড়িত রয়েছে। পরিশেষে, দোষী কোম্পানিগুলোর জানা আবশ্যক যে আমাদের স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ক্ষতি করার জন্য একটি মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

একটি বিকল্প সংবাদ ওয়েবসাইট দ্যা অনলাইন সিটিজেন-এর জন্য একটি লেখায় টেরি জু বনাগ্নির বিস্তৃতি রোধ করার জন্য ইন্দোনেশীয় এনজিও এবং গ্রামবাসীদের সাথে একত্রে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরের সরকারের নিকট আর্জি পেশ করেছে।

What the Singapore government could probably do is to engage with the NGOs in Indonesia and to work out a plan to monitor errant companies. It could also help provide jobs for villagers who would be willing to work as firefighters and watchmen of the plantations to prevent fires or to testify against companies who run afoul of the law.

সিঙ্গাপুরের সরকার সম্ভবত যা করতে পারে তা হলো ইন্দোনেশিয়াতে এনজিওর সাথে জড়িত হয়ে দোষী কোম্পানীগুলোকে পরীবিক্ষণ করার জন্য একটি পরিকল্পনা সাজাতে পারে। তারা গ্রামবাসীর জন্য কর্মসংস্থান করতে পারে যারা আগুন রোধে আবাদক্ষেত্রগুলোতে অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং চৌকিদার হিসেবে কাজ করতে বা আইন অমান্যকারী কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .