চীনা চন্দ্রবর্ষ তার আগমনধ্বনি জানাচ্ছে আর এর মানে হচ্ছে হংকং-এর নাগরিকরা তাদের পরিবারের প্রবীণ এবং নবীন শিশুকে আশীর্বাদ করবে তাদেরকে এক বিশেষ লাল খাম উপহার দিয়ে।
এই লাল খাম যার ভেতরে টাকা থাকে, সাধারণ সেটা ঋতু আনুযায়ী শুভেচ্ছা বার্তা এবং শুভ কামনা দিয়ে ছাপা হয়, যেমন প্রস্ফুটিত ফুলের মত জীবন সমৃদ্ধ লাভ করুক”, “নববর্ষ সৌভাগ্য বয়ে আনুক”, “সুসাবস্থ্য বাজায় থাকুক” এবং “লেখাপড়ায় ভাল কর”।
এ বছর, এক নতুন খামের নকশা করা হয়েছে যেখানে হলুদ ছাতা তুলে ধরা হয়েছে যা হংকং-এর কারো কারো মতে তাদের এই শহরের প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য নববর্ষের এক শুভেচ্ছা।
গণতন্ত্র-পন্থী আন্দোলন দাবি করছে যে বেইজিং এবং হংকং সরকারের উচিত শহরের প্রধান সব নেতা নির্বাচনের মনোনয়নের অধিকার নাগরিকদের হাতে প্রদান করা উচিত যা ডিসেম্বরে সমাপ্ত হয়নি। এদিকে পুলিশ তাদের অবস্থান ধর্মঘটের স্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে, যেখানে একটিভিস্টরা তিন মাস ধরে অবস্থান গ্রহণ করে ছিল। ছাতা বিপ্লব-যা পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাস ও মরিচের গুঁড়া থেকে বাঁচার জন্য বিক্ষোভকারীদের মেলে ধরা ছাতা থেকে উদ্ভূত- তা নানান কৌশল অবলম্বন করেছে, যেমন, তারা “ক্রয় বিক্ষোভে” অংশ গ্রহণ করেছে, তারা সড়ক শিল্পের সৃষ্টি করেছে এবং সম্প্রদায় গত শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ছাতা আঁকা লাল খাম হচ্ছে “উম ডট ডট ডট” নামক এক ফেসবুক সম্প্রদায়ের তহবিল সংগ্রহ প্রকল্পের অংশ, যারা এক স্বেচ্ছাসেবী দল যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের সম্প্রদায়ের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই আন্দোলনকে সচল রাখা।
এই লাল খামের একেবারে উপরে লেখা আছে “আমি সত্যিকার ভাবে লাল খামের আশীর্বাদ চাই এবং খালি কোন খাম পকেটে ভরতে চাই না”, “হংকংকে ভালবাসি, আমরা হংকংবাসী” এবং “হংকং বাসীরা, চালিয়ে যাও”। এতে প্রথম বাক্যটি সরকারকে রাজনৈতিক প্রচারণার কথা তুলে ধরছে যা তার রাজনৈতিক সংস্কার প্যাকেজের মাধ্যমে হংকংবাসীদের নিজের পকেটে পুরতে চায়, যার মাধ্যমে এই প্রথমবারের মত নগর প্রধান নির্বাচনে এর বাসিন্দারা সরাসরি ভোট প্রদান করতে পারবে, কিন্তু নগরবাসীরা নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থী প্রদানের অনুমতি নেই।
নীচে প্রদর্শিত এই সকল খামের ডিজাইনের দিকে এক নজর চোখ বুলাই: