তাজিকিস্তানে “নিরামিষভোজন হচ্ছে ক্ষতির সমান”

স্থানীয়রা যখন তাদের রান্না সম্পর্কে বলে তখন সেটা এক ধরণের ব্যাপার। কিন্ত মানুষ যখন একটি দেশ ভ্রমণে যেয়ে স্থানীয় খাদ্য সম্পর্কে তাঁদের মতামত শেয়ার করে, তখন সেটা আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

একজন ভিনদেশী @শুধুতাজিকিস্তান হ্যাশট্যাগের অধীন টুইট করেন। গত অক্টোবর ২০১৩ সালে তার প্রথম পোস্টের পর থেকে সেটি তাজিকদের এবং তাজিকিস্তানের টুইটারে আগ্রহী মানুষের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন জিনিস বর্ণনা করা ছাড়াও এই ব্যক্তি সেই দেশের অদ্ভুত বা অনন্য ব্যাপারগুলোও খুঁজে বের করেছেন। @শুধুতাজিকিস্তান হ্যাশট্যাগটি এর অনুগামীদের তাজিক খাদ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর জানিয়েছে এবং একজন নিরামিষভোজী থেকে দেশটি কিভাবে তাকে মাংস ভোজীতে পরিনত করল সে সম্পর্কেও আলোচনা করেছে।  

নীচে @শুধুতাজিকিস্তান এর মুষ্টিমেয় কিছু টুইটের নমুনা রয়েছে। আরও জানার জন্য টুইটারে তাকে অনুসরণ করুন।  

শুধু তাজিকিস্তানে আপনি যদি নিজেকে একজন নিরামিষভোজী বলে পরিচয় দেন তাহলে, সেখানের লোকেরা আপনাকে একজন ডাক্তার দেখাতে বলবে। নিরামিষভোজী = অসুস্থ   

তাজিকিস্তানে, রুটি খেলে মনে হয় এটা যেন স্বর্গে শেঁকা হয়েছে। 

চার ধরণের খাবার পদ ইতিমধ্যে পরিবেশিত হয়েছে। পরিবেশক বলছেন, এটা “সবেমাত্র শুরু”। আর ভদকার অসংখ্য বোতল।  

বিশ্বাস করতে পারি না, যখন আমি প্রথম তাজিকিস্তানে আসি তখন আমি একজন নিরামিষভোজী ছিলাম।  

আমি কখনই সবুজ চা পছন্দ করতাম না। কিন্তু তাজিকিস্তানে পরিবেশন করা সবুজ চা এক কথায় অবিশ্বাস্য।  

যদি বেশ কয়েক মাস তাজিকিস্তান বাস করি, তবে আমি অনুভব করব, নিরামিষভোজন = ক্ষতিকর 

আরেকটি প্রমাণ যে নিরামিষভোজন = ক্ষতিকর 

তাজিকিস্তান ছেড়ে গেলে আমি স্পষ্টভাবে যে ব্যাপারটি জন্য মন পুড়বে তা হচ্ছে এর অসাধারণ খাবার।  

নোট: সব ছবি লেখকের অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .