উগান্ডার বেশিরভাগ জনগণ গ্রামে বাস করে এবং তাঁদের জীবিকা নির্বাহের উপায়ও গ্রামীণ নির্ভর – এটি হতে পারে তাঁদের স্বাক্ষরতার অভাবে। সেক্ষেত্রে একটি ইন্টারনেট সংযোগ থেকে এ সকল কৃষকরা কী লাভবান হবে এবং কীভাবে ?
উগান্ডা সংযোজন প্রকল্প কৃষকদেরকে সংযুক্ত করতে অনলাইনে কৃষি তথ্য সমৃদ্ধ কমিউনিটি লাইব্রেরির আয়োজন করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে তারা অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক ট্যাবলেট চালিয়ে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে। তারা লাইব্রেরিয়ান এবং কমিউনিটির সদস্যদেরকে কম্পিউটার দক্ষতা অর্জন করতে ও তথ্য খুঁজে পেতে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যেহেতু শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ কৃষক অশিক্ষিত (মায়েনডেলেও ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে), তাই তথ্যাদি পড়ে শোনাতে এবং সেগুলোকে স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করে দিতে লাইব্রেরিয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
সরকারি সম্প্রসারণ কর্মীদের পক্ষে প্রত্যন্ত সম্প্রদায়গুলোর কাছে পৌঁছানোটা বেশ কষ্টকর এবং ব্যয়বহুল হতে পারে। উগান্ডা সংযোজন প্রকল্পটি কৃষি শিক্ষার এই অপূর্ণতাকে পূরণ করে কৃষকদেরকে তাদের খামার সম্পর্কে নতুন নতুন সম্ভাবনার কথা জানতে সাহায্য করছে। তাদের কেউ কেউ সেসবানিয়া, ক্যালিয়ানড্রা এবং লিউসিয়ানার মতো নুতন শস্য ফলাতে শুরু করেছেন। বাজার মূল্য এবং কৃষি পদ্ধতি বিষয়ে আরো তথ্যাদি সচরাচর পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে কোন শস্য চাষ করবে, কোন পদ্ধতিতে চাষ করবে এবং মুনাফা বাড়াতে কোন বাজারে যেতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য জেনে কৃষকেরা আরো ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
প্রকল্পটি উগান্ডার যে পাঁচটি জেলায় কার্যক্রম চালাচ্ছেঃ বুইকউই, আরুয়া, নামুতুম্বা, কাসেসে এবং আলেবটোং। মায়েনডেলেও ফাউন্ডেশন এই প্রকল্পটির আয়োজন করেছে। সোয়াহিলি ভাষায় এই সংস্থাটির নামের অর্থ হচ্ছে “সমৃদ্ধি”। এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে উগান্ডার নাগরিকদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরিতে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর। উগান্ডা সংযোজন প্রকল্পটি ইআইএফএল নামের একটি এনজিওর সমর্থনে কাজ করছে। এই এনজিওটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্থানীয় লাইব্রেরীর সহযোগীতায় জ্ঞান অর্জনের প্রতি লোকেদের প্রবেশাধিকার দেয়ার দিকে নজর দিয়ে থাকে।
মায়েনডেলেও ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজেও আপনি উগান্ডা সংযোজন প্রকল্পের কাজগুলো অনুসরণ করতে পারবেন।