আজকের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পরা অর্থনীতির যুগে চাকুরি পাওয়া এমনিই কঠিন। কিন্তু জাপানী কলেজ ছাত্রদের জন্য দেশটির মাত্রাতিরিক্ত প্রতিযোগিতামূলক চাকুরি সন্ধানের প্রক্রিয়া সমগ্র ব্যাপারটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এই যজ্ঞের নাম ‘সু- কাতসু’ যা স্নাতক হওয়ার এক বছরের বেশী সময়ের আগে থেকে শুরু হয়।
“নিয়োগের কাব্য (アニメーション「就活狂想曲」)”, হচ্ছে একটি ছোট আবেগপূর্ণ কার্টুন চলচ্চিত্র যা জাপানী ছাত্রদের এই কঠিন আর কণ্টক বিছানো চাকুরি খোঁজার পথকে তুলে ধরেছে। এই চলচ্চিত্র অনলাইনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যা ইতিমধ্যে ৬ লাখেরও বেশী দর্শক দেখেছেন ইউটিউবে।
কলা বিভাগের ছাত্র মাহো ইয়োশিদার জাপানি ভাষায় তৈরি এ চলচ্চিত্র এ বছর ৯ই মার্চ ইউটিউবে প্রথম আপলোড করা হয় আর এতে দেখানো হয় সাধারণ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে যে হঠাৎ করে নিজেকে একদল প্রতিযোগিতা-প্রবণ, একই রকম অফিসের পোশাক পরা রাহুগ্রস্তদের মধ্যে চাকুরির জন্য সংগ্রাম করতে দেখে।
ইউটিউব ব্যবহারকারী আফাস আফসা এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার নিজের চাকুরী খোঁজার দিনের কথা জানানঃ
afas afsa:
ああこんな感じだったなあ 不気味な就活生の一員になるのは嫌だったけど、内定が無いのも嫌だった
笑われないよう間違えないよう、見よう見まねで、自分も不気味な就活生に成り果てた
「就活が下手」という、ただそれだけの理由で、一体どれぐらいの才能ある若者たちが無能のレッテルを貼られて心を挫かれていったのだろうと思った
ওহ, আমার মনে পড়ে যে আমিও এমন ছিলাম। চাকুরি সন্ধানীদের ভীড়ে নিজেকে দেখতে ঘৃণা লাগতো, সাথে অপছন্দ ছিল বারবার কোন চাকুরির প্রস্তাব না পাওয়ার কষ্ট পাওয়া। আমি চেষ্টা করতাম কোন ভুল না করতে, যাতে কেউ আমাকে ভেঙ্গাতে না পারে… প্রাণান্ত-ভাবে সবাই যা করছে তাই করার চেষ্টা করে যেতাম। এই ভয়ানক চাকুরি খোঁজার প্রক্রিয়ার কারণে আমি এমন সংকুচিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভাবি যে আর কত মেধাবী তরুণদের এভাবে অযোগ্য ছাপ ললাটে নিয়ে মন ভেঙ্গে থাকতে হবে কারন তারা অন্য সবই পারে কিন্তু ‘চাকুরি খোঁজার কৌশল জানে না’।
যদিও জাপানের তরুণদের বেকারত্বের হার অন্যান্য উন্নত দেশের মতো খারাপ না, এই চলচ্চিত্রের উপর মন্তব্যকারীর বেশীরভাগ চিন্তিত যে অর্থনৈতিক বাস্তবতা নয় বরং গোড়া সামাজিক ব্যবস্থা এই চাকুরি খোঁজার প্রক্রিয়াকে প্রতিযোগিতামূলক আর জটিল করে তুলেছেঃ
পচা আপেলঃ:
自分を取り繕うだけで社会から認められるという社会構造がまずゴミだな。
যদি সমাজের স্বীকৃতি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজের প্রকৃত সত্ত্বাকে লুকিয়ে রাখা, তাহলে ধরে নিতে হবে সমাজের কাঠামো পঁচে গেছে, তাই নয় কি?
কালো বেড়াল ০৩১২:
日本はこういう社会構造だというのを世界から見てどう思うのか?
জাপানের সামাজিক কাঠামো কি এমন? বাকি পৃথিবী কি ভাববে এই চলচ্চিত্র দেখার পর?
কোকোরে ০১২ইফাই:
今の日本社会にはどこか束縛があるような気がする。ビニールハウスに閉じ込められたような。これからの日本はもっと自分という人間を表現できる時代が来るべきだと思っている。動画をうpされたかた、本当に面白い作品でした。
আজকের জাপানী সমাজে আমি এক ধরনের বাঁধা অনুভব করি, যেন আমি একটা গ্রীন হাউসের ভিতরে আটকে আছি। আমি মনে করি ভবিষ্যৎে জাপানে এমন সময় আসবে যখন নিজেকে মানুষ হিসেবে প্রকাশ করা যাবে। ধন্যবাদ ভিডিওটি প্রচার করার জন্য, এটা বেশ ভালো।
তবে কিছু মন্তব্যকারী একমত না যে এমন নিয়োগপ্রক্রিয়া ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যকে নষ্ট করেঃ
মেফিস্ট০০৭:
就職するという意味を良く考えよう。貴方に給料を払ってくれるのは、貴方を拘束しているからじゃない。また自分が利益を作り出せる人間であれば会社に所属する必要はない。もはや「働いたら働いた分お金がもらえる」という仕事は存在しない。たとえ数年は無理でも、将来会社の利益を作り出せる人材であると思ってもらえれば、会社は貴方を雇用します。貴方と会社は対等なのです。
আমরা বোঝার চেষ্টা করি ‘চাকুরি’ মানে কি। আমি আপনাকে বেতন দেই তার মানে এই না যে আমি আপনাকে শুধু নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি। যারা নিজেরা ব্যবসা করতে পারে তাদের প্রয়োজন নেই কোন কোম্পানীতে চাকুরি নেবার। শুধু লক্ষ্যবিহীন ‘চাকুরী’ বা ‘প্রতি মিনিটে কাজের বিনিময়ে অর্থ’ ধরনের চাকুরি এখন আর নেই। যদিও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটা হবার সম্ভাবনা নেই, ভবিষ্যৎে কোম্পানি তাদেরই নিয়োগ দেবে যারা কোম্পানির জন্য লাভ করতে পারবে। আপনি আর কোম্পানি উভয়েরই লক্ষ্য থাকবে সমান।
আইউওরিবাবাবেলঃ:
この動画はよくできていると思います。ただ、「就活はやっぱり馬鹿らしい」みたいなコメントはどうかと。いままでの受験だって偏差値という画一的な価値観に自分を合わせる作業だったし、社会ってそういうものでは??
それに就活生に同じように求められている社会の基礎的なマナーであって(だって茶髪・長髪で面接に行くのはおかしいでしょう)、その上に個性はいくらでも築けるよ。
আমার মনে হয় এই ভিডিও সুন্দর করে তৈরি হয়েছে। কিন্তু ‘চাকুরি খোঁজা কি অদ্ভুত প্রতিযোগিতামূলক’ ধরনের মন্তব্যে আমার সন্দেহ আছে। স্কুলে পরীক্ষাগুলো একই ধরনের ছিল, আপনাকে একটি মান অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করতে হতো। এটি সমাজের সর্বত্র দৃশ্যমান নয় কি?
সমাজের একই মৌলিক নীতি চাকুরি খোঁজা ছাত্রদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য (চাকুরির সাক্ষাৎকারে লম্বা বা রঙ করা চুল নিয়ে যাওয়া বিসাদৃশ্য দেখাবে)। তারপরেও আপনার সুযোগ আছে সাধারণ [নিয়োগ] নিয়মের বাইরে আপনার নিজস্বতা গড়ে তোলার।
ইউটিউব ব্যবহারকারী পোসাবুরো আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে ছাত্রদের গতানুগতিকতার বাইরে বেরিয়ে চিন্তা করতে বলেছেঃ
পোসাবুরোঃ:
“模範解答のある社会から、模範解答の無い社会に出るにあたって戸惑う学生。 就活にあたって「こうしなければ」と思っている時点で「模範解答社会=学校」から
抜け出せていない。人の真似をしていたらビジネスはできないよん”
যেহেতু ছাত্রদের কেবল সঠিক উত্তরটাই শেখানো হয় স্কুলে, এই ছাত্ররা বিভ্রান্ত হয়ে যায় বাস্তব জগৎে এসে, যেখানে সব সময় সঠিক উত্তরে কাজ হয়না। চাকুরি খোঁজার সময় তারা ভাবছে যে তাদেরকে সব সময় ‘সঠিক উত্তরের’ উপর ভিত্তি করে কাজ করতে হবে, আর তখনো তারা স্কুলের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। অন্য লোক যা করে তা নকল করে সবসময় আপনি কাজ করতে পারেন না, ঠিক না?