খবরটি বেরিয়েছে জাপানের ইয়োমিউরি পত্রিকায়। দেশটির ঐতিহ্যবাহী টফু কারিগর, যারা নিজেদের দোকানে টফু তৈরি এবং বিক্রি করেন, তাদের সংখ্যা দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে ৫ হাজার টফু কারিগর তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
টফু শিল্পের সাময়িকী টয়োশিম্পো বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে, প্রতি বছরই টফু কারিগরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এখন জাপানে মোট টফু কারিগরের সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম।
সয়াবিনের দাম বেড়ে যাওয়ায় টফু সরবরাহকারীদের ব্যবসা মোটেও ভালো যাচ্ছে না। এদিকে সুপার মার্কেট এবং মুদি দোকানদাররাও টফু কারিগরের কাছ থেকে কম দামে কিনতে চায়। আবার জাপানের মুদ্রাস্ফীতির এই সময়ে তাদের বৃহৎ উৎপাদনকারীদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। ফলে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
খবরটি টুইটারেও আলোড়ন তোলে। টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ভেতরে থাকা টফু কারিগরদের কথা স্মরণ করেন এবং এ নিয়ে মন্তব্যও করেন।
সাংবাদিক শকো এগওয়াগা খবরটি পড়ে উদ্বিগ্ন হয়ে লিখেন:
「豆腐の安売りが激しくなっており、どこも経営が苦しい。適正な価格でスーパーに卸すなど販売価格を見直さないと、豆腐屋はいずれなくなってしまう」と。それは困る! →豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」(読売新聞) http://t.co/QPt3jrhYLq
— Shoko Egawa (@amneris84) November 2, 2013
খবরে বলা হয়েছে “টফু'র দাম নিয়ে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তাই টফুর কারিগরদের দুর্দিন যাচ্ছে। টফু কারিগররা যদি তাদের দাম পুনর্বিবেচনা না করেন অথবা সুপার মার্কেটের কাছে টফু বিক্রি শুরু করেন, তাহলে তারা হারিয়ে যাবেন।” এখন এটা একটা সমস্যা! -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিবেন। কারণ তারা বলছে, তাতে করে ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভের মুখ দেখবেন না তারা-
টুইটার ব্যবহারকারী কিউই শিরোয়ামা তার অসহায়তার কথা লিখেছেন। টফু কারিগরদের বাঁচাতে তিনি ব্যক্তিগত চেষ্টার কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে মেগা স্টোরগুলোর বৈচিত্র্যহীন টফু না কিনে টফু কারিগরদের কাছ থেকে কিনতেন:
大手スーパーに、食の文化も安全も乗っ取られてはいけない・・と、できるだけ近所のお店で買い物をするようにしている。 でも、町の美味しいお豆腐屋さんもなくなってしまった。 ■豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」 http://t.co/tNbtTyLy4o …
— 城山キーウィ (@ShiroPineapple) November 2, 2013
সুপার মার্কেটে না গিয়ে আমি সবসময় স্থানীয় টফুর দোকানে যেতাম। এখন আমাদের পাড়ার সবচেয়ে প্রিয় টফু দোকানটি বন্ধ হয়ে গেছে। -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-
হিরোকো ইনাজাকি সবাইকে সস্তার টফু'র পরিণতি দিকে নজর দিতে সুপারিশ করেছেন:
他生産品が値上げするなか低価格のままは確かに歪んでる。無理な低価格は食の安全を脅かすことにも繋がりかねない。安いことは喜ばしいけど、我々も安さの裏側をもっと見なくちゃ。 豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」(読売新聞) http://t.co/cjmF190Rv6— hiroko Inagaki (@hiroko_Inagaki) November 2, 2013
এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, কিছু টফুর দাম কম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু অন্যদিকে অন্যদের দাম বেড়ে যাচ্ছে। দাম অবিশ্বাস্য রকমের কম রাখা হলে এটা খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। দাম কম রাখাকে সবসময় আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করা হয়। আমরা দাম কম রাখার পিছনের কারণ গভীর ভাবে খতিয়ে দেখতে পারি, তাহলে এর পিছনে কী ধরনের প্রতারণা রয়েছে, তা দেখতে পাবো । -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-
টুইটার ব্যবহারকারী ডন ইউওয়ারি টফু কারিগরদের দাম বাড়াতে বলেছেন:
豆腐屋さん、もう安売り競争はやめて、値段が高くて、美味しくて安全な国産大豆の豆腐と豆乳を作ってよ。私、毎日食べるから。ー> 豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」(読売新聞) – Y!ニュース http://t.co/2sGpLsALVJ
— どん・うをーりー (@kawalle) November 2, 2013
প্রিয় টফু কারিগর, আপনারা দামের প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসুন। জাপানের বেশি দামের সয়াবিন থেকেই সুস্বাদু, নিরাপদ টফু এবং সয়া দুধ বানান। আমি প্রতিদিনই এটা খেতে চাই। -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-
আতসুকো মোমোই তার প্রিয় টফু কারিগরদের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন:
大好きな行きつけの豆腐やさん、いつまでも続けていてほしいな。がんばってほしい。だって、あの豆腐屋さんの豆腐は、美味しいし、心がある。 豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」(読売新聞) – Y!ニュース http://t.co/uFBrCSRVSM
— 桃井温子 (@vegetable_love) November 2, 2013
আমি আশা করি, আমার প্রিয় টফু কারিগররা আজীবন এই ব্যবসায় থাকবেন। আমি তাদের সাথেই থাকবো। কারণ তারা চমত্কার টফু বানান। এবং তারা অন্তরের গভীর ভালোবাসা থেকেই এই কাজটি করে থাকেন। -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-
চিয়েদা আরিটাকা টফু কারিগরদের এই খবরের সাথে নিজের মিল থাকার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন:
豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」(読売新聞) – Y!ニュース http://t.co/jPIAfQJCo0 うちも、祖母がなくなったと同時に廃業しましたからね…。(大体スーパーの半値)
— 千枝有竹 (@Chieda_Aritake) November 2, 2013
আমাদের পরিবার এক সময়ে টফু কারিগর ছিল। আমার দাদী মারা যাওয়ার সাথে সাথেই এটা বন্ধ হয়ে যায়। -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-
টুইটার ব্যবহারকারী আস্টোরিয়া_১১১০৫ ভোক্তাদের উপদেশ দিয়েছেন, টফু কারিগরদের এই অবস্থায় পড়ার জন্য তাদের দোষটুকুও স্বীকার করে নিতে হবে:
豆腐店、続々廃業「365日働いても利益ない」 http://t.co/7mWICZjz1z デフレのせいにして適切な御代を払おうとしない世の認識がそもそも間違っている。豆腐造りを、キチンと利益が取れる事業にしておかないと、やがてそのツケは消費者に回ってくることに気付くべき。
— ASTORIA_11105 (@ASTORIA11105) November 2, 2013
আমি মনে করি, সাধারণ মানুষজন যা বলছে, সেটা ঠিক নয়। তারা নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থাকে দায়ী করছে। এজন্য টফু কারিগরদের ন্যায্যমূল্য দিতে অনীহা জানাচ্ছেন। ভোক্তাদের উপলদ্ধি করতে হবে যে, তারা যা করছেন, তাতে টফু কারিগররা যদি লাভ করতে পারেন; তাহলে তারা বার বার ভোক্তাদের খুঁজতে বের হবেন। -টফু কারিগররা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। তারা বলছে, ৩৬৫ দিন দোকান খোলা রেখেও কোনো লাভ করতে পারবেন না-