মিশরীয় ব্লগার এবং সাংবাদিক আব্দুল মোনেম মাহমুদ মৃত্যুর ভয়ে মিশর ছেড়ে চলে গেছেন।
সাংবাদিক রক্ষা কমিটির মতে, গত ৩ জুলাই তারিখে সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসিকে উচ্ছেদের পর থেকে অন্তত ৪০ জন স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিক গ্রেপ্তার বা আটকের শিকার এবং ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের উৎখাতের পর থেকে অন্তত আট জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়াও “দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট কভার করতে আসা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের উপর হয়রানির প্রচারাভিযান” চালানোর জন্য সিপিজি মিশরকে অভিযুক্ত করছে -
সিপিজি’র ডেপুটি ডিরেক্টর রবার্ট মাহনি বলেন, “একের পর এক গ্রেপ্তার, শাস্তি, নিপীড়নের এবং সেন্সরশিপের মাধ্যমে, মিশরীয় সরকার সাংবাদিকদের কাছে একটি ব্যাপার পরিষ্কার করেছে: আপনার নিজের ঝুঁকিতে সরকারি আখ্যান থেকে পথভ্রষ্ট হবেন”।
তিনি আরও বলেন, “কর্তৃপক্ষকে স্বাধীনভাবে এবং সমালোচনামূলক প্রতিবেদন তৈরিতে বাঁধা প্রদানের এই প্রয়াস বন্ধ করতে হবে। তারা কারাগার আটক বা গ্রেপ্তারের অধীনে থাকা সকল সাংবাদিকদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।”
টুইটারে, মাহমুদ লিখেছেন [আরবী ভাষায়]:
غادرت مصر من فترة والآن لحقت بي أسرتي ..نعم هربت خشية أنا أقتل غدرا ويحرق جثماني أو اقتل ف سيارة الترحيلات ثم يقول ع زملاء نضال أني إرهابي
— monem منعم (@moneimpress) September 12, 2013
আমি কিছু সময় আগে মিশর ত্যাগ করেছি এবং এখন আমার পরিবার আমার সাথে যোগ দিয়েছে। হ্যাঁ, আমি আমার জীবনের জন্য ভয়ে পালিয়ে এসেছি, কারণ বিশ্বাসঘাতকতা দ্বারা আমি খুন হয়ে যেতে পারি। আমার শরীর পুড়িয়ে ফেলা বা [আমার গ্রেপ্তারের পর] স্থানান্তর গাড়ীতে নিহত হতে পারি, এবং তারপর আমার সহকর্মীরা আমাকে একজন সন্ত্রাসী বলে সম্বোধন করবে।
তিনি আরও লিখেছেনঃ
اعمل أنا وزوجتي صحفيين تعرضنا بعد #الانقلاب لتهديدات لم نشهد مثلها في عهد مبارك .. للعلم أنا دخلت السجن ٣ مرات ف عهد مبارك 🙁
— monem منعم (@moneimpress) September 12, 2013
আমার স্ত্রী এবং আমি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করি। অভ্যুত্থানের পর, আমরা হুমকির শিকার হয়েছি। কারণ, তাঁরা মনে করে আমরা মুবারক এর যুগের অভিজ্ঞ নই। আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমি মুবারক এর শাসনকালে তিনবার জেলে গেছি।
এবং মাহমুদ ইতি টেনেছেন:
الصحافة الان في مصر ليست متاحة سوي لمندوبي الشئون المعنوية ورؤساء تحرير تابعي المخابرات .. مهنة الصحافة أصبحت من أخطر المهن بعد الانقلاب
— monem منعم (@moneimpress) September 12, 2013
[সেনাবাহিনীর] সংবাদদাতা ও প্রধান সম্পাদক বৃন্দ যারা সিক্রেট সার্ভিস [এর অধীনের] কেবল তাঁদের জন্যই এখন মিশরে সাংবাদিকতা প্রাপ্তিসাধ্য। অভ্যুত্থানের পর এখন সেখানে সাংবাদিকতা সবচেয়ে বিপজ্জনক পেশায় পরিণত হয়েছে।
এখন তিনি কোথায় আছেন বা কি করছেন তা কিছুই বলেন নি।
২০০৭ সালে মাহমুদ যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সে সময়ে তাঁকে নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশিত একটি গল্প এখানে রয়েছে।