এই পোস্টটি আমাদের সৌদি আরবে সংস্কারবাদীদের বিচার– এর বিশেষ কভারেজের একটি অংশ
সৌদি আরবের নেতৃস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা “সৌদি নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এসোসিয়েশন” (এ সি পি আর এ) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুলকারিম আল-খাদার জনমত উসকে দেওয়ার অপরাধে আট বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়েছেন। অন্যান্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে একটি অনুমতিহীন মানবাধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। সেটি আরও পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করা হবে, শুধুমাত্র যদি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা তার মুক্তির পর কোনো অবৈধ সমাবেশ বা সমিতিতে অংশগ্রহণ করে।
আজকের সেশনটি সৌদি শহর বুরায়দাহতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে দশ জন এসিপিআরএ সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিচারক কোন নারীকে উপস্থিত থাকার অনুমতি না দিয়ে বলছেন,”পুরুষরাই যথেষ্ট ভাল”।
ডাঃ আল-খাদার এর আদালতের বিচারের প্রথম শুনানির সময় ছিল গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখে। তিনি সে সময় পূর্ববর্তী ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে মামলা প্রত্যাহার করতে বিচারককে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, কিন্তু বিচারক তখন তা প্রত্যাখ্যান করেন। ইনি সেই একই বিচারক, ইব্রাহিম আল-হুসনি যিনি পূর্বে বলেছিলেন যে, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের দণ্ডিত করা হবে।
গত মার্চেও, দুই জন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও এসিপিআরএ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠাতাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ এবং ১১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তাঁদের অপরাধ ছিল “শাসক এবং তার উত্তরাধিকারীর প্রতি আনুগত্য ভঙ্গ করা” এবং “দেশের উন্নয়নে বাধা দেওয়ার চেষ্টা”।আজকের সেশনের পরে, আল-খাদার এর আইনজীবী এবং এসিপিআরএ এর সদস্য আব্দুলআজিজ আল-শুবাইলিকে একজন গোপন পুলিশ সদস্য “অনুপযুক্ত আচরণ” এর দায়ে অভিযুক্ত করলে পুলিশ বাহিনী তাঁকে আটক করে। কিছুক্ষণ পরে তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়ঃ
خرجت قبل قليل من مركز الشرطة الجنوبي بعدما اتهمني فرد من جهاز المباحث بعمل حركات غير لائقه له
@এ_আব্দুলাআজিজ৩০০ঃ একজন গোপন পুলিশ সদস্য তার প্রতি অসঙ্গত আচরণের অভিযোগ করেন এবং এর পর আমাকে দক্ষিণ থানা থেকে এই মাত্র মুক্তি দেওয়া হয়।
সেই সেশন পর, সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার শুরু করছেন: (# أنا _ عضو _ حسم) (অর্থঃ আমি একজন এসিপিআরএ সদস্য), সেখানে তারা তাদের নাম লিখে এসিপিআরএ এর অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেন এবং রাজনৈতিক সংস্কারেরও দাবী জানান।
এই পোস্টটি আমাদের সৌদি আরবে সংস্কারবাদীদের বিচার– এর বিশেষ কভারেজের একটি অংশ