প্রায় চার বছর বিতর্কের পর, পক্ষে ১০৮ টি ভোট এবং বিপক্ষে ২৬ টি ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়ার উদ্যোগে ইকুয়েডরের জাতীয় সংসদ একটি বিতর্কিত যোগাযোগ আইন পাস করেছে।
যখন সরকারি কর্তৃপক্ষ আইনটির পাস হওয়া উদযাপন করছে [স্প্যানিশ], তখন সাংবাদিকতার সংস্থাগুলো এবং বিরোধী দল এটিকে দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একটি “মুখবন্ধনী” মনে [স্প্যানিশ] করছে।
সেন্ট্রো নাইট ব্লগে তানিয়া লারা রিপোর্ট করেছেন, আইনটি “যোগাযোগ নীতিসমূহ কৌশল ও বাস্তবায়ন করতে এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে” গণমাধ্যমের প্রচার সূচী প্রবিধান কাউন্সিল সৃষ্টি করেছে।
ডয়েশে ভেলে ওয়েবসাইটে এর ওপর একটি কলাম [স্প্যানিশ] ব্যাখ্যা করেছে, প্রচার সূচী প্রবিধানের ওপর গঠিত কাউন্সিলের “কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতা থাকবে, যেমন অন্যান্যের মধ্যে তথ্য, প্রচার সূচী এবং সময় সূচীতে প্রবেশাধিকার থাকবে, ফ্রিকোয়েন্সি বন্টনের জন্য প্রবিধান ও রিপোর্ট তৈরি করার অধিকার থাকবে। কাউন্সিলটি গণমাধ্যমের বৈষম্যমূলক অথবা সহিংসতার সাথে সম্পৃক্ত প্রচার সূচী নিয়ন্ত্রণ করবে। যদি প্রচারমাধ্যমগুলো এধরণের প্রচার সূচী সম্প্রচার করে তবে কাউন্সিলটি সম্পাদকের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা থেকে শুরু করে বড় অংকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা পর্যন্ত শাস্তি মঞ্জুর করতে পারবে”।
এই আইন [স্প্যানিশ] অনুযায়ী “গনমাধ্যম কর্তৃক অবাধ সম্প্রচার” নিষিদ্ধ এবং “কোন ব্যক্তিকে অথবা কোন বৈধ সত্ত্বাকে কলঙ্কিত করতে অথবা তাঁদের জন-বিশ্বাসযোগ্যতা কমানোর উদ্দেশ্যে” তথ্যের বিস্তারও নিষিদ্ধ। প্রবিধানটির “ফ্রিকোয়েন্সির ৩৩% সরকারী গণমাধ্যম কার্যক্রমের জন্য, ৩৩% বেসরকারি গণমাধ্যম কার্যক্রমের জন্য এবং ৩৪% গোষ্ঠীভিত্তিক গণমাধ্যম কার্যক্রমের জন্য সংরক্ষিত রেখে” রেডিও ও টেলিভিশন ফ্রিকোয়েন্সি বন্টনের অধিকার আছে।
বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য আন্ড্রেজ পায়েজ (@আন্ড্রেজপায়েজিদ) [স্প্যানীশ] আইনটি পাস হওয়ার দিনটিকে অর্থাৎ ১৪ জুলাই, ২০১৩ তারিখটিকে “শোক দিবস” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেনঃ
@andrespaezid: Hoy es un día fúnebre para el Ecuador. Hoy en la Asamblea Nacional se firma el acta de defunción de la libertad… http://fb.me/MNRlMYk6
@আন্ড্রেজপায়েজিদঃ ইকুয়েডোরের জন্য আজকের দিনটি একটি শোকের দিন। আজ স্বাধীনতার মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত আইনটি জাতীয় সংসদে স্বাক্ষরিত হয়েছে… http://fb.me/MNRlMYk6
দৈনিক লা হোরা পত্রিকার সাংবাদিক মারসি ক্যাস্ট্র (@মারসি২এক্যাস্টর) [স্প্যানিশ] তাঁর একটি ব্যক্তিগত প্রকাশিত গ্রন্থে চূড়ান্ত অপমান করে লিখেছেনঃ
@Mercy2ACastr: Ver al oficialismo festejando la aprobación d la #LeydeComunicación, es tan desagradable como ver a ancianos y niños mendigando en ls calles
@মারসি২এক্যাস্টরঃ #LeydeComunicación [# যোগাযোগআইনটি] পাস হওয়ায় সরকারী কর্তৃপক্ষের উৎসব উৎযাপন দেখা খুব অপ্রীতিকর যেন বয়স্ক লোক ও শিশুরা রাস্তায় ভিক্ষা করছে।
অন্যদিকে ইসাবেলা বুচেলি বি (@ইসাবুচেলি) [স্প্যানিশ] নিচে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেনঃ
@IsaBuchelli: Los que se quejan de la #LibertadDeExpresion y de la #LeydeComunicación son los que mas insultan…
@ইসাবুচেলিঃ যারা #LibertadDeExpresion [#মতপ্রকাশেরস্বাধীনতা] এবং #LeydeComunicación [#যোগাযোগআইন] নিয়ে অভিযোগ করেছেন তাঁদের জন্য এটি সবচেয়ে অপমানজনক…
জাতীয় সংসদের প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা রিভাদেনিরা (@গ্যাব্রিয়েলাইসপাইস) [স্প্যানিশ] আইনটি পাসের সূচীপত্র নিয়ে আভির্ভূত হয়েছেনঃ
@gabrielaespais: Desde hoy, l@s ecuatorian@s van a tener la voz para reclamar sus derechos que los medios monopólicos les han quitado #LeydeComunicación
@গ্যাব্রিয়েলাইসপাইসঃ গণমাধ্যমের একচ্ছত্র আধিপত্য ইকুয়েডরবাসীর যে অধিকার কেড়ে নিয়েছিল আজ যেন তাঁরা #LeydeComunicación [#যোগাযোগআইন] তা চাওয়ার ভাষা পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া প্রেসের সাথে একটি সময় সম্পর্ক ঠিক রেখেছেন। সেন্ট্রো নাইট ব্লগে তানিয়া লারার মতেঃ
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে মানহানি আইনের ব্যবহার করায় কোরেয়া প্রশাসন বিশেষভাবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিকদের রক্ষার জন্য গঠিত কমিটির দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, স্বাধীন গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানাদি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে দীর্ঘ দাপ্তরিক বার্তা পাঠানোর কারনেও কোরেয়া প্রশাসন চিহ্নিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের রক্ষার জন্য গঠিত কমিটি “কোরেয়ার অধীনে ইকুয়েডরে পরস্পর বিপরীতমুখী অবস্থান” সম্পর্কে গত বছর এই ভিডিওটি প্রকাশ করেঃ
প্রেসিডেন্ট কোরেয়ার এখন ১১৯ টি ধারা সম্বলিত আইনটি অনুমোদন করা প্রয়োজন।