[সকল লিঙ্কের প্রবন্ধ পর্তুগীজ ভাষায় লিখিত]
১৩ জুন বৃহস্পতিবারে চতুর্থ ফ্রি ফেয়ার মুভমেন্ট (অবাধ ন্যায্য ভাড়া আন্দোলন) নামক আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়, সাও পাওলোর এই আন্দোলনপুলিশের দমনের শিকার হয়, যেখানে পুলিশ আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার জন্য মরিচের গুড়া, রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। সাম্প্রতিক এক সংবাদ অনুসারে এই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে অন্তত ২৩৫ জনকে আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ থেকে [প্রায় ১১২ টাকা] ৩.২০ ব্রাজিলিয়ান লিরা [ প্রায় ১২০ টাকা] বাস ভাড়া বৃদ্ধি করার কারণে লাগাতার চলতে থাকা এই আন্দোলনের এক অংশ হিসেবে প্রায় ৫০০০ নাগরিক পৌর নাট্যকেন্দ্রের সামনে সমাবেত হয়। বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৬ জুন থেকে এই আন্দোলন চলছে, যা কিনা চারদিন আগে প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এই আন্দোলন আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
সংগঠিত করার জন্য এই আন্দোলন একটি ফেসবুকের পাতা ব্যবহার করেছে এবং এই আন্দোলন অন্যান্য প্রাদেশের রাজধানী শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে, যে সব শহরেও গণ পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্রতিবাদ শুরু হয়। সাংবাদিক এবং অন্যান্য মতামত প্রদানকারী নেতারা জাতীয় প্রচার মাধ্যমে বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করছে, এদিকে নাগরিকরা ইন্টারনেটে তাদের মতামত প্রকাশ করছে। প্রতিবাদকারীরা যারা তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় পুলিশের নির্মমতার শিকার হয়েছে, তাদের গভর্ণর জেরার্ল্ডো এ্যালকামিন তাদের “বর্বর” বলে অভিহিত করেছেন এবং মেয়র ফার্নান্দো হাদ্দাহ (বর্তমানে যিনি প্যারিসে অবস্থান করছেন) তাদের সমালোচনা করেছে। এ সব সত্ত্বেও রাজ্য এবং পৌর প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে তারা বর্ধিত মূল্য বজায় রাখবে।
নীচের এই ভিডিও প্রদর্শন করছে যে সংবাদ কর্মীদের উপর পুলিশ হামলা চালাচ্ছে
সাও পাওলো
শহরের রাস্তার দৃশ্য পর্যবেক্ষনের জন্য রাখা নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে অন্যান্য বিক্ষোভের সাথে কনসোলাকাও সড়কের বিক্ষোভের দৃশ্য দেখা যাবে, আর সম্ভবত তাতে কনসোলাকাও সড়কের বিক্ষোভের দৃশ্য সরাসরি অবলোকন করা যাবে।
ও কে নাও সাই না টিভি (তারা টিভিতে যে দৃশ্য দেখায়নি) নামক ওয়েবসাইট এই বিক্ষোভের ঘটনাবলীকে অনুসরণ করছিল এবং রিয়েল টাইমে পোস্ট করছিল।
রিও ডে জেনেইরো
মরিচ বনাম ভিনেগার
ব্রাজিলিয়ান নেট নাগরিকরা হ্যাশট্যাগ#পিমেয়ান্তাভাসভিনাগ্রে (মরিচ বনাম ভিনেগার) মাধ্যমে টুইটারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। উক্ত হ্যাশট্যাগের শব্দসমূহ বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের নির্বিচারে মরিচের গুঁড়া ছিটানো এবং এর প্রভাবে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর ভিনেগারে ভেজানো জামা বা ব্যান্ডানা ওরফে রূমাল ব্যবহারের ঘটনাকে তুলে ধরছে।
আরেকটি আলোচিত হ্যাশট্যাগ হচ্ছে #কনসোলাকাও, যে রাস্তায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাও পাওলোর বাসিন্দা গাব্রিয়েলা রেইমবার্গ (@গাবিরেইমবার্গ) টুইট করেছে:
@gabyreimberg: Brasil mostra a tua cara #pimentavsvinagre
@গাবিরেইমবার্গ:মরিচ বনাম ভিনেগারের লড়াই-এ, ব্রাজিল, নিজেকে দেখিয়ে দাও#পেপারভাসভিনেগ্রা
বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রতিনিধি লুইস সালসিচা (@লুইসসালসিচা) বলেছেন:
@LuisSalsicha: e que esses manifestos não parem por aqui… hora de mostrar de quem é esse país! #pimentavsvinagre
@গাবিরেইমবার্গ:আশা করি যে এই সমস্ত বিক্ষোভ এখানেই শেষ হবে না…এখন সময় এসেছে (বিশ্বকে) দেখানোর যে (আসলে) দেশটি কার!পিপারভাসভিনেগার
ব্লগার রাফায়েল তাকানো (@তেলেফোনে) মন্তব্য করেছে:
@telefone: Bombas em direção de fotógrafos e do posto de gasolina no cruzamento entre consolação e Maria Antônia. Agora mais… http://fb.me/2SpxemWOX
@তেলেফোনে:ফোটোগ্রাফার এবং কনসোলাকাও ও মারিয়া আন্তোনিয়া সড়ক সংযোগস্থলে অবস্থিত পেট্রল পাম্প লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে আর এখন আরো ছোড়া হচ্ছে…http://fb.me/2SpxemWOX
অবাধ ন্যায্য ভাড়া আন্দোলনের ফেসবুকের পাতায় অনলাইন বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ব্রাজিলিয়ানরা পাসে লিভ্রে এসপি (সাও পাওলোতে বিনে ভাড়ায় যাতায়াত) বিষয়ক মন্তব্য পোস্ট করছে। এই সামাজিক আন্দোলনের পোস্টসমূহের প্রতিটি পোস্টে গড়ে প্রায় ১০০০টির মত প্রতিউত্তর এসেছে, যেমন সোমবার, ১৭ জুন তারিখে পঞ্চম বিক্ষোভ প্রদর্শনের এই আহ্বান সম্বলিত পোস্টে, এমনটাই ঘটেছে।
লুইস হেনরিকে এই পোস্ট লেখায় সহযোগিতা করেছে, আর বানান সংশোধন করেছে মেলিসা মান