জেডেন তান এবং জেফ চেয়ং সিঙ্গাপুর জুড়ে ‘ভেসে বেড়িয়েছেন’ আর ছাত্র-ছাত্রীদের শিখিয়েছেন ভাসমান আলোকচিত্রের গোপন কলা-কৌশল সম্পর্কে। তাদের প্রকল্পটি সিঙ্গাপুরবাসীর মনযোগ আকর্ষণ করেছে এবং এরই মধ্যে অনেকেই তাদের আলোকচিত্রের সৃজনশীলতা লক্ষ্য করেছে।
আমরা এই ভাসমান আলোকচিত্রকে গভীরভাবে নিয়েছি। এতে কোন কেবলের (দড়ি) সাহায্য নেয়া হয়নি, সাহায্য নেয়া হয়েছে ঘাম আর উদ্যমের। কোন ফটোশপ নয়, নয় কোন স্পর্শ। আমরা শুধুমাত্র রঙ সংশোধন করেছি একটি নির্দিষ্ট আবহ তৈরী করার জন্যে। বুঝেছেন নিশ্চয়ই
জেডেন এবং জেফ তাদের বিস্ময়কর আলোকচিত্রগুলি আমাদের গ্লোবাল ভয়েসেসের পাঠকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অনুমতি দিয়েছে। তাদের সাথে আমাদের একটি ইমেইল সাক্ষাৎকার নিচে দেওয়া হলো।
কী আপনাদেরকে এই প্রকল্পটি শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে? কখন আপনারা এই প্রকল্প শুরু করেছেন?
নাৎসুমি হায়াশি তার মধ্যাকর্ষণ-বিরোধী ছবি তোলার মাধ্যমে ভাসমান আলোকচিত্রকে বিখ্যাত করেছেন। এবং তারপর থেকে এশিয়ার অনেকে এই উন্মাদনায় যোগ দিয়েছেন এবং তাদের দৈনন্দিন (আটপৌরে) জীবনের প্রবহমান কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে তাদের নিজেদের ‘ভাসমান’ অমত্ত ছবিগুলো ভাগাভাগি করা শুরু করেছেন। গত বছরের জুলাইতে আমরা ফেসবুক পৃষ্ঠাটি চালু করেছি।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনারা কী কী প্রতিক্রিয়া লাভ করেছেন?
কয়েকটি দল সিঙ্গাপুরে ভাসমান আলোকচিত্র তুলছে। আমরা সবাই একই আবেগ দিয়ে সংযুক্ত এবং এটা খুব ভাল যে স্থানীয় পত্রিকাগুলো এই বিশেষ আগ্রহী দলটির বিষয়ে প্রথম পাতায় একটি কাভারেজ দিয়েছে!
এই প্রকল্পটিতে আপনাদের প্রিয় আলোকচিত্র কোনগুলো?
আমাদের পছন্দ গত বছরের ক্রিসমাসের সর্বশেষ অ্যালবামটি। আমরা নৃত্যশিল্পী, খাদ্য-বিষয়ক ব্লগার এবং আমাদের কিছু বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করেছি। এত বড় একটা দলের ছবি তোলা যেন একটি মহাকাব্যিক ব্যাপার। অ্যালবামটির থিম ছিল নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ক্রিসমাস এবং আমরা মনে করি ক্রিসমাসের আনন্দ চারদিকে ছড়িয়ে দিতে এটা জাদুর মতো কাজ করেছে।
অন্য যেটি আমরা পছন্দ করেছি সেটি হচ্ছে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে অ্যালবামের তোলা ছবিটি। ভাগ্য ভাল যে আমরা বিমানবন্দরটির ট্রানজিট এলাকার ছবি তোলার অনুমতি পেয়েছি। প্রজাপতির বাগান, গতিশীল বৃষ্টির ভাস্কর্য এবং ছাদের উপরে একটা সুইমিং পুলের মতো খুবই আকর্ষণীয় পটভূমিসহ বিমানবন্দরের দৃশ্য খুবই সুন্দর।
ভাসমান আলোকচিত্র প্রকল্প নিয়ে এবছরের পরিকল্পণা
আমরা এই মজা এবং সৃজনশীল নতুন নতুন গল্প বলা চালিয়ে যাবো আর পূর্ববর্তী অ্যালবামের কৃতিত্বকে অতিক্রম করার জন্যে নিজেদের চ্যালেঞ্জ করা অব্যাহত রাখবো।
শেষাবধি আমরা নবীন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের কাজ ভাগাভাগি করার সুযোগ পেয়েছি। এবং এর মজার দিকটি হলো যে এতে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো উচ্ছ্বল কিছু জীবনের দক্ষতা রয়েছে।
ভাসমান আলোকচিত্রের নিখুঁত ছবিটি তোলার জন্যে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে।
এতে অধ্যবসায়, দৃঢ়তা এবং উৎকর্ষের শিক্ষা রয়েছে যা আমরা তাৎক্ষণিক প্রয়োগ হিসেবে ভাগাভাগি করে থাকি। হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে অধিবেশনটি সমাপ্ত হয় যেখান থেকে তারা কাজটি সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা পায়।
কিন্তু ফলাফলটি দেখার পর গর্ব এবং বিস্ময়ে তাদের বুক ফুলে উঠে এবং এটা বাচ্চাদের মধ্যে অসম্ভবকে সম্ভব করার আত্মবিশ্বাস যোগায়।