তিউনিশিয়ার দুই গ্রাফিতি শিল্পী বিচারের মুখোমুখি

৩ নভেম্বর ২০১২ তারিখে, পুলিশ তিউনিশিয়ার দুই গ্রাফিতি শিল্পীকে পাকড়াও করে, যাদের একজন নাম ওসামা বৌয়াগলি এবং অপরজন চাহিনে বেরিচে, সে সময় তারা দক্ষিণপূর্ব তিউনিশিয়ার গাবেস-এ গ্রাফিতি আঁকছিল। বৌয়াগলি এবং বেরিচে উভয়ে জেওয়েলা-এর [আরবী ভাষায়] [তিউনিশীয় আরবিতে যার মানে দরিদ্র] সদস্য, এটি হচ্ছে রাস্তার চিত্রশিল্পীদের একটি সম্প্রদায় যারা তিউনিশিয়ার দরিদ্র এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে গ্রাফিতি আঁকার জন্য বিখ্যাত।

বৌয়াগিলা এবং বেরিচেভ বিরুদ্ধে “অনুমতি ছাড়া সরকারি সম্পত্তিতে লেখা”, “রাষ্ট্রীয় জরুরী আইন ভঙ্গ”, এবং “সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুয়া সংবাদ প্রকাশের” অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বরে নির্ধারিত শুনানির পূর্ব পর্যন্ত তরুণ এই দুই গ্রাফিতি শিল্পী মুক্ত রয়েছেন।

মধ্য পূর্ব তিউনিশিয়া অবস্থিত সোউসায়, জেওয়ালা কর্তৃক অঙ্কিত “কর্মী এবং বেকাররা তিউনিশিয়ার অন্যায় এবং শোষণের বিরুদ্ধে” নামক আরেকটি গ্রাফিতি।”

ওসামা বৌয়াগিলি, নাওয়াত.অর্গকে বলেন যে যখন পুলিশ তাকে এবং বেরিচেকে আটক করে সে সময় তারা “ জনগণ দরিদ্রদের অধিকার চায়” নামক একটি গ্রাফিতি আঁকছিল।

স্লেটফিরক-এর তাওয়াফি তিউনিশ ব্লগ বৌয়াগিলির বক্তব্য [ফরাসী ভাষায়] উদ্ধৃত করেছে:

Nous avons fait ce mouvement de graffiti parce que personne ne parle de nous, de nos problèmes de chômage, de pauvreté et de marginalisation. Nous avons donc décidé de parler par nous-mêmes. Pourquoi le graffiti? Parce que le graffiti est plus accessible au tunisien qui n’a pas Facebook par exemple.

আমরা এই গ্রাফিতি আন্দোলন শুরু করেছি কারণ কেউ আমাদের কথা বলছে না এবং আমরা যে ক্রমশ বেকারত্ব, দরিদ্রর এবং প্রান্তিক অবস্থার সমস্যা তুলে ধরছে না। তার ফলে আমরা নিজেরাই আমাদের নিজেদের কথা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিনত কেন গ্রাফিতির মাধ্যমে? যেমন বলা যায়, তিউনিশিয়ার নাগরিকরা খুব সহজে গ্রাফিতি দেখতে পারে, যাদের ফেসবুকে ঢোকার সুযোগ নেই।

” তারা দরিদ্রদের জীবন্ত কবরস্থ করছে” জেওয়ালার একটি গ্রাফিতি, ছবি হামিদেএদদিনে বৌয়ালির।

অন্যদিকে বেরিচে, তিউনিশিয়ার সংবিধান সম্বন্ধে অভিযোগ করেছে [ফরাসী ভাষায়], তার ভাষায় যে সংবিধান মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে না:

Le problème, ce n’est pas la police qui a essayé de nous arrêter ou qui nous a confisqué notre matériel. Le vrai problème, c’est la loi qui s’applique pour les uns et pas pour les autres. Et la loi en elle-même ne garantie par la liberté d’expression et continuer de réprimer avec les mêmes méthodes des anciens dictateurs, les activistes et militants

এখানে সমস্যা পুলিশ নয়, যারা আমাদের গ্রেফতার করে এবং আমাদের উপাদান সামগ্রী জব্দ করে। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে এই যে, এ দেশে আইন কেবল বিশেষ ব্যক্তির উপর প্রয়োগ হয়, অন্যদের উপর নয়। এছাড়াও এই আইন নিজে স্বয়ং মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রয়োগ করে না এবং এখনো পুরোনো স্বৈরশাসন পদ্ধতি, কার্যক্রমের মাধ্যমে নিপীড়ন চলছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .