বিগত কয়েকদিন এই বিশেষ বার্তা মালয়েশিয়ার সামাজিক প্রচার মাধ্যম সমূহ ভেসে গেছেঃ
@মেলর্ডলিসিয়াস: আরটি@ডায়ানাড্যানিয়েলেবিঃ “@নোএইশামিঃ এসিড ছোড়া ব্যক্তিরা আবার রাস্তায় নেমে পড়েছে, গাড়ির প্লেট নম্বরঃ এমএসিয়াইঃ১৮৪১ এন ডাব্লিইপিভিএ…সতর্ক থাকুন!!! এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিন…” -“
কিন্তু পুলিশের মতে এটা ছিল ভূয়া গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের কাজ। তবে এসিড ছুড়ে মারারঘটনা সত্যি। ইতোমধ্যে মার্চের পর থেকে কুয়ালালামপুরে ২০টির বেশি এসিড ছুঁড়ে মারার সংবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

মার্চ থেকে কুয়ালালামপুরে ২০ টির বেশি এসিড ছুড়ে মারার সংবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী ম্যাটিকুলাস-এর (সিসি বাই ২.০)
এই বিষয়টি অনেক বাসিন্দাকে শঙ্কিত করেছে যারা ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত ঘোষণা দেয় যে দাহ্য পদার্থ যেমন এসিডের বিক্রি আরো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই সমস্যাকে মোকাবেলা করার জন্য মন্ত্রণালয় স্থাপন করা হয়েছে।
এখানে টুইটারের কিছু প্রতিক্রিয়া রয়েছে:
@আলিফামানসুর: আমি আশা করি, পুলিশ ওই সব বদমাইশ এসিড নিক্ষেপকারীদের ইতোমধ্যে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমি রাস্তায় একা হাঁটি তখন প্রতিবার আমার পাশ দিয়ে একটা মোটর সাইকেল চলে যাওয়ার সময় আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি!
@জু৮৭৮:@কামারাআসলাম। এই এসিড নিক্ষেপকারী কখন ধরা পড়বে? আমরা যারা মালয়েশিয়ায় বাস করছি, তারা এখন এক আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি, মোটর সাইকেল আরোহী এক এসিড নিক্ষেপকারী সন্ত্রাসী এই আতঙ্ক তৈরি করেছে।
@নোরুলেমবাব: কেবলমাত্র স্কুল থেকে ফিরে এলাম, কেন বাস থামার জায়গায় বালাই পোলিশ ব্রেগ্রেয়াক নামক পুলিশ উপস্থিত হয়েছে? আমি ধারনা করছি, তারা এসিড নিক্ষেপকারীর আসার অপেক্ষায় রয়েছে?
@ম্যাক্সস্ট্রিম: @এ্যাস্ট্রোব্রেক।আসলে আমার প্রধান ভাবনে হচ্ছে কি ভাবে এসিড নিক্ষেপকারীরা এত সহজেই এসিড পেয়ে যায়…।-;;
@সেমব্লাকসুজঃ আরটি@শিরাখায়রুদ্দিনঃ প্রিয় বিশ্ব, শুভ রাত্রি। আগামীকাল, আমাকে জনতাকে রক্ষা করতে হবে, একটা দেশকে বাচাতে হবে (?) এবং এক এসিড নিক্ষেপকারীকে এড়িয়ে যেতে হবে।
@টুইটিংক্যারিঃ আমার মনে হচ্ছে, এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা এক রাজনৈতিক বিতর্ক। আপনি কি সত্যি মনে করেন ,এত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না?
@কাইয়ু_মাইলর্ফঃ আরটি@খুরিয়াটিঃ কেন আপনারা রাস্তায় যে মেয়ে দেখছেন, তার উপর এসিড নিক্ষেপ করছেন? আপনারা মানসিকভাবে এতটাই জঘন্য।
@খায়ী_এইচঃ এবং আমি আসলে বিশ্বাস করি না যে এমন লোক রয়েছে যারা এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সম্বন্ধে জানে না। যেন বিস্ময়কর এক বিষয়। আপনারা কি অন্ধকারে বাস করছেন?
সৈয়দ আকবর আলি কি ভাবে বদমাইশ-কে ধরতে হবে তার কিছু কৌশল জানাচ্ছেন।
এটাই প্রথম ঘটনা নয়, যখন একই সাথে প্রায় অনেকে এর শিকার হয়েছে। আমি মনে করি, এর কারণ অপরাধী এক জায়গা থেকে এসিড কিনেছিল এবং একদিনে তার সকল এসিড শেষ করে ফেলার প্রয়োজন ছিল। এই কারণে এক সাথে অনেকের উপরে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই এসিড রাখার কোন জায়গা ছিল না অথবা সে এই এসিড ঘরে নিয়ে যেতে চায়নি। এই এসিড কোথা থেকে এসেছে এবং কারা এর সরবরাহকারী যদি পুলিশ তা খুঁজে বের করতে পারে, তাহলে তারা অপরাধীকে খুজে বের করতে পারবে।
লভলিয়াটে রোজ, শহরের অনেক বাসিন্দার আবেগের প্রতিধ্বনি করেছেন।
এই কাজের পেছনে কি উদ্দেশ্য কাজ করেছে? মেয়েদের উপর প্রতিশোধ নেওয়া? তার কারণ যাই হোক, কোনভাবে তা গ্রহণযোগ্য নয়! যারা তার এসিড সন্ত্রাসের শিকার তাদের সকলে যে যন্ত্রনা পেয়েছে তা সমান শাস্তির সে যোগ্য।
টেককাউস বিস্মিত, কেন পুলিশ এসিড নিক্ষেপকারীকে ধরতে এত সময় নিচ্ছে।
আমি বিস্মিত; কি ভাবে এই উন্মাদ আমাদের শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে? আমাদের দুর্নীতি পরায়ণ পুলিশ কামনাপূর্ণ পাপের আড্ডায় এবং ম্যাসেজ পার্লারে হামলা চালাচ্ছে পতিতাদের ধরতে, তাদের কাজের জন্য?