মিশর: বিদ্রোহ শেষ হয়নি ওদিকে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করছে

এই পোস্ট আমাদের মিশর বিক্ষোভ ২০১১ সংক্রান্ত বিশেষ কাভারেজের অংশ।

এক মাস আগে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল এবং এক মাস পরে কায়রোর তাহরির স্কোয়ার আবার রক্তাক্ত সংঘর্ষের স্থানে পরিণত হয় যখন মিশরীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাগাতার বিক্ষোভ দমনে এগিয়ে আসে।

হাজার হাজার মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শাফিকের সরকারের অপসারন দাবি করেন।

হাজার হাজার মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শাফিকের সরকারের অপসারন দাবি করেন। তাহরির স্কোয়ার, কায়রো, মিশর। ছবি আধাম খোরশেদ এর, কপিরাইট ডেমোটিক্স (২৫/২/২০১১)।

স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বের করে দেয়ার দুই সপ্তাহ পরে, মিশর এখনও একটা দ্বন্ধ যুদ্ধে আছে – বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের দ্রুত গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি আর একটা নাছোড়বান্দা সেনাবাহিনী নিয়ে যারা ক্ষমতা ছাড়তে চাচ্ছে না।

এ সময় সেনা দ্বারা হাজার হাজার শান্তিপূর্ন বিক্ষোভকারীদের উপরে জোর প্রয়োগ করা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগের পরিস্থিতির সাথে দারুন বিসাদৃশ্যকর, যখন মনে হয়েছিল যে সেনারা মোবারকের পদত্যাগের জন্যে জনগণের ডাকের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল।

টুইটারে কায়রো থেকে নাগরিক সাংবাদিকরা জানিয়েছেন যে সেনা বিক্ষোভকারীদের লাঠি আর বৈদ্যুতিক লাঠি দিয়ে মেরেছেন আর নারীদের যৌন নিপীড়ন করেছেন।

গতকালের (২৫শে মার্চ) ভয়াবহ সংঘর্ষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে সকল স্তরের সহনশীলতা কমে আসছে, যখন বিক্ষোভকারীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি দেয়া গণতান্ত্রিক সংস্কার আসতে দেরি হওয়াতে।

এটাও পরিষ্কার যে, যদিও মোবারক এখন শাসক না, সেনা অধ্যুষিত যে ব্যবস্থা তার স্বৈরশাসন বিগত ৩০ বছর ধরে কায়েম রেখেছিল তা অনেকটাই অটুট আছে।

মিশরের বিদ্রোহ নতুন স্তরে পৌঁছেছে কারন এখন সংস্কারের লক্ষ্য হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যাপারে সেনার ভূমিকা কমানো। বিক্ষোভকারীদের লম্বা যুদ্ধে শামিল হতে পারে যেহেতু কালকের রক্তাক্ত দমন প্রমান করেছে যে সেনা এই গোলযোগপূর্ণ দেশে তাদের ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাচ্ছে।

মোনাএলতাহাউই: #মিশরী সেনাবাহিনী আর সেনা পুলিশ শান্তিপূর্ন গণতন্ত্রের পক্ষের প্রতিবাদকারীদের মেরেছে আর গ্রেপ্তার করেছে আজকে কায়রোতে। বিদ্রোহ চলছে। #জান ২৫#

মোনাসোশ: সেনারা খুবই উগ্র ছিল, আমাদেরকে লাগাতার ধরার ভয় দেখাচ্ছিল কিন্তু তা করেনি কারন আমাদের সাথে একজন বৃদ্ধা ছিলেন, আমার মা। #জান২৫।
মোনাসোশ: একজন বন্দী যাকে এইমাত্র মুক্তি দেয়া হয়েছে বলেছে যে অনেককে আটক করা হচ্ছে। সকলকেই খারাপভাবে মারা হচ্ছে। #জান ২৫
রুয়েলশিমি: নতুন পোস্ট: মিশরীয় সেনা তাদের আসল রঙ দেখিয়েছে- http://bit.ly/hHUHUM #জান ২৫ #তাহরির # মিশর
এল ফুলিও: সেনাবাহিনীর কমান্ডার ভদ্রভাবে মানুষকে সরে যেতে অনুরোধ করার প্রায় ৩০ সেকেন্ড পরে তারা আক্রমণ করেছে, অল্প কথার মানুষ না তারা #জান ২৫
এল ফুলিও: সেনা পুলিশ মূলত: বৈদ্যুতিক দন্ড হাতে ছিল, সেনাবাহিনী মূলত যাকেই পারছিল তাকেই লাথি আর চড় মারছিল #জান ২৫
মোনাসোশ: ভায়া @ মাসোয়াদ একজনকে টেজার গান মারা হয় যখন সে দৌড়াচ্ছিল, মাটিতে পড়ে অসাড় হয়ে গেল, শুনলো তারা বলছে যে তারা তাকে ধরতে পেরেছে, জানে না সে কোথায় # জান২৫
আলা: চিন্তার বিষয় যে সেনা সদস্যরা কি পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত, কোন পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করছেন আর নারীদের গালি দিচ্ছেন, ইত্যাদি# জান ২৫
আলা: সেনা পুলিশ বৈদ্যুতিক টেজার দন্ড ব্যবহার করেছে, এইবার নিয়মিত বাহিনী মারধরে অংশগ্রহন করেছে, অনেকেই আহত # জান২৫
আলা: তাহরিরে তারা বাক্লাভা পড়া সশস্ত্র বিশেষ বাহিনীর সেনাদের ব্যবহার করেছেন # জান ২৫
আলা: গ্রেপ্তারক্রতদের মধ্যে: শাদি এল ঘাজালি হার্ব, একজন তরুন নেতা যিনি সেনাদের সাথে আলোচনায় রপ্ত ছিলেন, আর তাকাদোম এল খাতিব একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক #জান ২৫।
আলা: সেনা তার আসল চেহারা আজকে দেখিয়েছে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে দুটো অবস্থান কর্মসূচিকে ভেঙ্গে দিয়ে অনেককে গ্রেপ্তার করে #জান ২৫
জিস্কোয়ার৮৬: প্রথমে তারা আমাদের ঘিরেছে, তারপরে থেমেছে, তারপরে আমাদের চলে যেতে বলেছে, তারপরে তারা আমদের মেরেছে আর অনেককে গ্রেপ্তার করেছে, আমরা জানিনা কাকে বা কোথায়
জানোচারবেল: সংসদের বাইরের বিক্ষোভ সেনা জোর করে ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাকে সেনারা ঘুষি, লাথি আর চড় মেরেছে। আমার মুখে বৈদ্যুতিক দন্ড দিয়ে তারা মেরেছে।
জিস্কোয়ার৮৬: আজ রাতে বিদ্রোহ তৃতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে, আমি টেসার বন্দুকের আওয়াজ শুনেছি, মারা দেখেছি আর সেনাদের গ্রেপ্তার করা দেখেছি।
জিস্কোয়ার৮৬: সেনাবাহিনীকে এক পর্যায়ে বেছে নিতে হতো জনগন আর পুরানো শাসকদের মধ্যে, আর আজ রাতে তারা পরিষ্কার পুরানো শাসকদের বেছে নিয়েছে!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .