আজ সন্ধ্যায় আরব বিশ্ব থেকে আরো বড় খবর এসেছে। লেবাননের মন্ত্রীসভার ১১ জন সদস্য আজ পদত্যাগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সরকারের পতন ঘটেছে। মন্ত্রীসভার সদস্য, সকল সদস্য অথবা হিজবুল্লার সহযোগিরা, লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতিসংঘ তদন্ত কমিটির প্রদান করা অনুসন্ধানের উপর উত্তপ্ত আলোচনার পর পদত্যাগ করে। আল জাজিরা এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ব্লগার আর টুইটার ব্যবহারকারীরা সংবাদটি লুফে নেয়, তারা ঘোষণা দেয়, লেবাননের ভেতরে কেবল প্রথম এই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর, টুইটারে তা প্রথম প্রকাশ হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদক দিমা খাতিব(@দিমা_খাতিব) বৈরুত সময় সন্ধ্যা ৬ টায় টুইট করেন:
আনুষ্ঠানিকভাবে লেবানন সরকারের পতন ঘটেছে। তার দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, এদিকে প্রধানমন্ত্রী হারিরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ওবামার সাথে দেখা করতে হোয়াইট হাউজে গেছেন, ।#লেবানন
ডিমার টুইটের সামান্য পরেই, চিকস গন টেক ব্লগের চান ভাটিয়া ব্লগ করে:
[সর্বশেষ সংবাদটি সকাল ১১.১৩ মিনিটে প্রকাশ হয়] [বিশেষ তথ্য: ইএসটি বা ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুসারে] বুধবার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আদনান সাইয়্যেদ হুসেইন তার পদত্যাগ পত্র পেশ করে, তারপরেই লেবাননের জোট সরকারের পতন ঘটে। আদনানের পথ ধরে ১১ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করে।
লেবাননের টুইটারকারীরা তাদের চিন্তা এবং মতামত টুইটারে জানানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি সময় নেয়নি। @লেবানিজ ভয়েসেস তার দুটি টুইটে মন্তব্য করেছে:
সরকার থাকা অথবা কোন সরকার না থাকা, আমাদের এখনো কোন অবকাঠামো নেই। #লেবানন
সরকার থাকা অথবা কোন সরকার না থাকা, এখনো ইজরায়েলি বিমান নিয়মিত আমাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।#লেবানন
@এমিল_হোকাইয়েম পদত্যাগের ক্ষেত্রে তার উপলব্ধির বিষয়ে মন্তব্য করেছেন:
যখন প্রধানমন্ত্রী হারিরি ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন, তখন বিরোধী দল থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী পদত্যাগ করল। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিকে ব্যবহার করে তিনি প্রমাণ করলেন যে, লেবাননের ঘটনায় তার কিছু যায় আসে না।
টুইটারে কয়েকজন, যেমন@এলসাল৯২, লেবাননের সাম্প্রতিক ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে আরো হতাশা পূর্ণ মনোভাব প্রকাশ করেছেন, তিনি টুইট করেছেন:
কাজেই আবার আমরা সরকার হারা হলাম? এ আর নতুন কি? #লেবানন।