তিউনিশিয়াতে জাতীয় মিডিয়াকে প্রচারণার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের বেশ অনেক নজির আছে এবং তা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। তথ্যকে বাড়িয়ে বলার অসংখ্য ঘটনা আর সরকারের সমালোচনা করা প্রকাশনা নিষিদ্ধ করার নিদর্শনগুলো অনুসরণ করতে তিউনিশিয়ার নাগরিক মিডিয়া বেশ পটু। গত ২০শে আগস্ট তিউনিশিয়ার ব্লগাররা মিডিয়া হস্তক্ষেপের প্রমান বের করেন লো টেম্পস সংবাদপত্রের আরবি সংস্করণ আসসাবাহর পাকিস্তানের বন্যা দুর্গতদের জন্য জেইতুনা ফাউন্ডেশনের মানবাধিকার খাদ্য সাহায্য পাঠানোর ব্যাপারে রিপোর্টের মধ্যে। রিপোর্টকে ব্যাখ্যা করার জন্য আর ব্যবসায়ী আর প্রেসিডেন্টের জামাই শাখর এল মাত্রির এই প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার ব্যাপারটি দেখাতে লো টেম্পস প্রকাশ করে এমন একটি ছবি যেখানে শেখর এল মাতরিকে দেখা যাচ্ছে ত্রাণসামগ্রী গুলো প্লেনে তোলার আগে পরীক্ষা করা অবস্থায়:
কমিউনিটি ব্লগ নাওয়াত উপরের ছবির কয়েকটি জিনিষ ব্যাখ্যা করেছেন যেটা ইশারা করছে যে ছবিটি পরে পরিবর্তন করা হয়েছে:
Il ne faut pas être un expert pour déceler au premier coup d’œil que la photo a été “retouchée” et que le gendre du président a “atterri” dans cette image par le biais d’un grossier copier-coller. En plus de l’exposition et du sens des ombres qui ne sont pas raccord avec l’exposition générale de la photo, on peut parfaitement déceler la manche de Sakhr El Matri qui cache une partie du coude de l’homme avec la chemise bleue alors que ce dernier est au premier plan !
নাওয়াত কিছুটা মজা খুঁজে পাচ্ছেন দেখতে যে অন্তত, সংবাদপত্রের আরবী সংস্করণ ছবিটা ঠিক করতে কিছুটা ভালো কাজ করেছে:
Assabah, la version arabe du quotidien, a publié la même photo mais avec un bidouillage légèrement amélioré mais qui reste tout de même parfaitement visible. Quand on agrandi à l’endroit de l’anomalie de la première photo on voit que le bras du mécène passe derrière le coude de l’homme en chemise bleue, comme le voudraient les lois de l’optique
পরিবর্তন করা ছবির ব্যাপারটি পরিষ্কার ভাবে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের কাছে পৌঁছে যায় মনে হয় কারণ ছবিগুলো দ্রুত প্রতিস্থাপন করা হয় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে। ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখিয়েছিল শাখির এল মাত্রি মানবিক সাহায্য নেয়া একটি প্লেন দেখছেন কিন্তু এটা স্পষ্ট না ভিডিও ছবি প্রকাশের আগে না পরে তোলা হয়েছে। আরো বেশী বিস্ময়কর হচ্ছে যে এমন পরিবর্তিত ছবি দুইটা জাতীয় পত্রিকা ব্যবহার করবে এমন খোলাভাবে যদি মনে হয় যে মূল ছবি পাওয়া যেতে পারে ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে। লক্ষ্য রাখা উচিত যে শাখের এল মাত্রি এই দুটো সংবাদপত্রের পরিচালনার কাজে পুরোপুরি সম্পৃক্ত। তিউনিশিয়ার ব্লগাররা ভাবছেন যে কোন ক্ষমতায় শেখের এল মাত্রি একজন বেসামরিক ব্যক্তি হয়ে, অনুমতি পেলেন যা দেখে মনে হচ্ছে সেনা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঢোকার। তিউনিশিয়ার টুইটার ব্যবহারকারী লিলোপাত্রা ভাবছেন কি ধরনের প্লেন জেইতুনা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে পাকিস্তানে মানবিক সাহায্যের খাদ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি আরো বলেছেন:
Si on se met dans la position du protecteur à chaque fois,cela retardera la maturité & la capacité de prise de décision du citoyen.#Tunisie
দুর্ভাগ্যক্রমে, এইসব পরিবর্তিত ছবি খুবই রক্ষণাত্মক তিউনিশিয়াতে তথ্য বিকৃত করার নিদর্শন মাত্র। যেমন ২০০৯ সালে, সংবাদ সংস্থা তুনিস আফ্রিক প্রেস (তাপ) রিপোর্ট করেছে যে দ্যা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক ১৬৫টি রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশের তালিকায় ৩২ নম্বরে ছিল তিউনিশিয়া। সমস্যা হচ্ছে যে এই তালিকা আসলে দেখিয়েছে যে তিউনিশিয়া এর অবস্থান ছিল ১৩৪, যা প্রতিবেদনের প্রথমে দেয়া স্থান থেকে ১০০ স্থান নীচে।
সর্বশেষ: একজন পাঠক বলেছেন যে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে পরিষ্কার করা যে এই তালিকা সব থেকে অস্থির দেশগুলোর আগে নাম রেখেছে। তাই এটা বলা ঠিক যে তিউনিশিয়া সব থেকে বেশী রাজনৈতিকভাবে স্থির দেশের মধ্যে ৩২ তম। ইআইইউর দেখানো র্যাঙ্কিং এর স্থলে উল্টো র্যান্কের ব্যবহারের ব্যাখ্যা নাওয়াত দিয়েছে নিম্নরূপে:
Bien que…renversante, cette « interprétation » de l’index est surement due à « un souci de clarté » de la part de la TAP. On les comprend. Parler « d’instabilité » dans le pays de « la sécurité et de la stabilité », selon la formule officielle, risque de… « déstabiliser » le lecteur
২০০৭ সালে একই এজেন্সি দোষী ছিল একটি রিপোর্টকে বাড়িয়ে বলার জন্য যেখানে দাবী করা হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক হেরাল্ড ট্রিবিউন একটা পুরো পাতা রিপোর্ট লিখেছে তিউনিশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে, যার মধ্যে দুটি আর্টিকেল আছে সরকার তার নাগরিকদের সব থেকে ভালো শিক্ষা দেয়ার আর জাতির উন্নয়নের জন্য শিক্ষার গুরুত্বের ব্যাপারে যে প্রচেষ্টা নিচ্ছেন তা নিয়ে। তারা অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বাদ দিয়েছিলেন, তারা ভুলে গেছেন বলতে যে আইএইচটি এর সংবাদ অংশে কখনো এমন কোন প্রতিবেদন ছিল না বরং এটি টাকা দিয়ে পূর্ণ পাতার একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ছিল।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার তালিকা নিয়ে মূল ট্যাপ এর প্রতিবেদন আর আইএইচটি রিপোর্টটি অনলাইনে জনগণ আর দেখতে পারছেন না।
তিউনিশিয়াকে প্রায় তাদের বাড়তে থাকা মুক্ত রপ্তানী-মুখী অর্থনীতি নিয়ে প্রশংসা করা হয় কিন্তু তার স্বৈরশাসক রাজনৈতিক আচরণের জন্য তিরস্কৃত হয়। ইকোনমিস্টের ২০০৮ সালের গণতন্ত্রের তালিকা তিউনিশিয়াকে স্বৈরশাসক রাষ্ট্র হিসাবে দেখিয়েছে ১৬৭টি দেশের মধ্যে ১৪১ স্থানে।